babubangla
April 15, 2006, 06:57 PM
দিনভর খাটুনি শেষে নির্জন সন্ধ্যায় মেঠো পথ ধরে বাড়ি ফেরার পথে গ্রাম্য হাটুরে প্রায়শঃই ভুত-পেত্নীর মুখোমুখি হয়। শ্যাওড়া কিংবা তেতুল গাছের তলায়, বটগাছের ডালে অথবা তাল্গাছের মাথায় সন্ধ্যার আধো-আলো অন্ধকারে “উনারা” একাকী ক্লান্ত পথিকের দেখা পেলেই আচ্ছা মতো পেয়ে বসেন। গত দশ মাসে একটানা ১৭টি টেস্ট ও ৩৫টি ওয়ান-ডে খেলে মহাপরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়ার দশা এখন আমাদের সেই ক্লান্ত গ্রাম্য হাটুরের মত। ফতুল্লার ধু ধু প্রান্তরে একাকী অসিদের ঘাড়ে চেপে বসেছিল কেরানীগঞ্জের বুড়ো ভুত। পরিশ্রান্ত দেহ, ক্লান্ত মন- এরই মাঝে ষোল-কলা পূর্ণ করতে সিন্দাবাদের ভুতের মতো কাঁধে চেপেছে একদল বঙ্গসন্তান। সব দেখে মনে হচ্ছে পন্টিংয়ের দল যেন নাকি সুরে গেয়ে চলেছে “স্নেহ ভরা কোলে তব, মা গো বল কবে শীতল হব”।
শীতল হবার আর সুযোগ কোথায়? চট্রগ্রামের মাটিতে আজই যে শুরু হতে চলেছে আবারো এক অগ্নিপরীক্ষা। “টেস্ট” এর যথার্থ বাংলা “অগ্নিপরীক্ষা” ছাড়া আর কি-ই বা হতে পারে? বৈশাখের তুমুল দাবদাহ আর অসহনীয় সামুদ্রিক আর্দ্রতার মাঝে পন্টিংকে ঘিরে ধরে বাঙ্গালীর দল আজ মেতে উঠবে জব্বরের বলি খেলায় !! হ্যাঁ, লালদীঘির মাঠে জব্বরের বলি খেলা চট্রগ্রামের সুপ্রাচীন বৈশাখী ঐতিহ্য—মাইকে আঞ্চলিক উচ্চারনে শহরময় প্রচার চলে “জব্বইয্যার” বলিখেলার। আমরাও চাই বাংলাদেশ আজ পন্টিংয়ের দলকে ঘিরে শুরু করুক তুমুল দাপাদাপি, মেতে উঠুক “জব্বইয্যার” বলিখেলায়।
বলিখেলা না হোক, তবে নৃত্যের ঝঙ্কার আজ উঠবেই। চট্রগ্রামের খটখটে, ঝকঝকে উইকেট দেখে অস্ট্রেলিয়ানদের নাকি মনে হয়েছে “উইকেট তো নয়, যেন ডান্সফ্লোর”। ডান্সফ্লোর!! তবে তা-ই হোক। রফিক-এনামুল-রাজ্জাকের হাতের কারুকাজে আজ বেজে উঠুক স্পিনের মায়াবী সুর। রফিকের স্পিনের জাদুতে সুতোয় বাঁধা পুতুলের মতো উইকেট নামের ডান্সফ্লোরে কোমর দুলিয়ে নাচুক আজ পন্টিংয়ের দল – “নাচো গো অঞ্জনা, নাচো গো কোমর দুলাইয়া”।
কোমর কি আদৌ দুলবে? নাকি জর্জরিত হবে শাহাদাতের বলের আঘাতে? ফতুল্লায় অন্তিম লগ্নেও শাহাদাতের বাউন্সারের আঘাত জর্জরিত করেছে রিকি পন্টিংকে। আজও আমরা দেখতে চাই শাহাদাতের আগ্রাসন। শ্রীলঙ্কার ফারনান্ডোর মতো রিকি পন্টিয়ের কানও যদি আজ শাহাদাতের বাউন্সারের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে উঠে- প্রবল সহানুভুতির মাঝে খানিকটা তৃপ্তির আবেশও কিন্তু লুকিয়ে থাকবে আমাদের মনে। কানকাটা রমজানের মতো “কানকাটা রিকি” –ই না হয় হোক টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের যোগ্যতার প্রতীক।
শীতল হবার আর সুযোগ কোথায়? চট্রগ্রামের মাটিতে আজই যে শুরু হতে চলেছে আবারো এক অগ্নিপরীক্ষা। “টেস্ট” এর যথার্থ বাংলা “অগ্নিপরীক্ষা” ছাড়া আর কি-ই বা হতে পারে? বৈশাখের তুমুল দাবদাহ আর অসহনীয় সামুদ্রিক আর্দ্রতার মাঝে পন্টিংকে ঘিরে ধরে বাঙ্গালীর দল আজ মেতে উঠবে জব্বরের বলি খেলায় !! হ্যাঁ, লালদীঘির মাঠে জব্বরের বলি খেলা চট্রগ্রামের সুপ্রাচীন বৈশাখী ঐতিহ্য—মাইকে আঞ্চলিক উচ্চারনে শহরময় প্রচার চলে “জব্বইয্যার” বলিখেলার। আমরাও চাই বাংলাদেশ আজ পন্টিংয়ের দলকে ঘিরে শুরু করুক তুমুল দাপাদাপি, মেতে উঠুক “জব্বইয্যার” বলিখেলায়।
বলিখেলা না হোক, তবে নৃত্যের ঝঙ্কার আজ উঠবেই। চট্রগ্রামের খটখটে, ঝকঝকে উইকেট দেখে অস্ট্রেলিয়ানদের নাকি মনে হয়েছে “উইকেট তো নয়, যেন ডান্সফ্লোর”। ডান্সফ্লোর!! তবে তা-ই হোক। রফিক-এনামুল-রাজ্জাকের হাতের কারুকাজে আজ বেজে উঠুক স্পিনের মায়াবী সুর। রফিকের স্পিনের জাদুতে সুতোয় বাঁধা পুতুলের মতো উইকেট নামের ডান্সফ্লোরে কোমর দুলিয়ে নাচুক আজ পন্টিংয়ের দল – “নাচো গো অঞ্জনা, নাচো গো কোমর দুলাইয়া”।
কোমর কি আদৌ দুলবে? নাকি জর্জরিত হবে শাহাদাতের বলের আঘাতে? ফতুল্লায় অন্তিম লগ্নেও শাহাদাতের বাউন্সারের আঘাত জর্জরিত করেছে রিকি পন্টিংকে। আজও আমরা দেখতে চাই শাহাদাতের আগ্রাসন। শ্রীলঙ্কার ফারনান্ডোর মতো রিকি পন্টিয়ের কানও যদি আজ শাহাদাতের বাউন্সারের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে উঠে- প্রবল সহানুভুতির মাঝে খানিকটা তৃপ্তির আবেশও কিন্তু লুকিয়ে থাকবে আমাদের মনে। কানকাটা রমজানের মতো “কানকাটা রিকি” –ই না হয় হোক টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের যোগ্যতার প্রতীক।