View Single Post
  #1  
Old March 9, 2010, 03:42 PM
Bondhu Bondhu is offline
Banned
 
Join Date: March 9, 2010
Location: Bangladesh
Favorite Player: Myself
Posts: 9
Default ঘরোয়া ক্রিকেট তাহলে মূল্যহীন!


Quote:
আপাতত টেস্ট খেলবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। চট্টগ্রামের প্রস্তুতি ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলের পারফরম্যান্সও ইঙ্গিত দিচ্ছিল তাঁর দলে না থাকার। এই দুজনের অনুপস্থিতি কোনো চমক নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দল তাই একরকম অনুমিতই ছিল। তবে অনুচ্চারে হলেও ছিল একটা কৌতূহল—জাতীয় ক্রিকেট লিগে ধারাবাহিকভাবে রান করে যাওয়া ফয়সাল হোসেন কি পাবেন পারফরম্যান্সের যোগ্য পুরস্কার?
ফয়সালের দুর্ভাগ্য, রফিকুল আলমের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির ১৪ সদস্যের দলে ঠাঁই হয়নি তাঁর। এবারের জাতীয় লিগের চার দিনের ম্যাচের ফাইনালের আগ পর্যন্ত ২টি সেঞ্চুরি আর ৬টি ফিফটিতে ৮ ম্যাচে ৮৫২ রান আর বল হাতে ১২ উইকেট নিয়েও না। ফয়সালের জন্য এটা নতুন কোনো অভিজ্ঞতা নয় অবশ্য। গত জাতীয় লিগেও চার দিনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭৭৫ রান করে উপেক্ষিতই ছিলেন। ২০০৪ সালে খেলা একটি টেস্ট ও ৪টি ওয়ানডেই এখনো স্মারক হয়ে আছে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক পার্থক্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে কেউ ভালো খেললেই তাকে হুট করে জাতীয় দলের ভিসা না দিয়ে দেওয়ার নীতি সেদিক দিয়ে ঠিকই আছে। কিন্তু জাতীয় দলে আসার যোগ্যতা আগেই প্রমাণ করাদের জন্যও কি সেই একই নীতিই প্রযোজ্য? তাহলে তো ফয়সালের মতো অলক কাপালি, হান্নান সরকার, রাজিন সালেহ বা এবারের লিগের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিয়ান নাজিমউদ্দিনেরও আবার জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন বাদ দিয়ে দেওয়াই ভালো!
জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের দলে ফেরার ক্ষেত্রে বিবেচ্য হওয়ার কথা দুটি বিষয়—ভালো ফর্ম এবং দলে উপযুক্ত একটি খালি জায়গা। ফয়সাল হোসেনের সামর্থ্য নিয়ে নির্বাচকদেরও সন্দেহ নেই। প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলম কাল তাঁকে টেস্ট দলে না রাখার কারণ হিসেবে বললেন পরের কথাটাই, ‘ও দলে আসলে কোথায় ব্যাট করবে? ও যেসব জায়গায় খেলে রান করছে সেখানে মাহমুদউল্লাহ আছে, নাঈম আছে। তার পরও ফয়সাল আমাদের বিবেচনায় ভালোভাবেই আছে। তবে তাঁকে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে হবে।’
অথচ এখন পর্যন্ত খেলা দুটি টেস্টে নাঈমের পারফরম্যান্স এমন উজ্জ্বল কিছু নয় যে তাঁর জায়গায় ঘরোয়া ক্রিকেটের একজন পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানকে আরেকবার বড় মঞ্চে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া যাবে না। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে নাঈমের উপযোগিতা নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকলেও দুই টেস্টে তাঁর অর্জন মাত্র ৪৪ রান আর ১টিই উইকেট। আর প্রধান নির্বাচক যে প্রক্রিয়ার কথা বললেন, সেখানেও তো সফল ফয়সাল! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত হোম সিরিজের আগে ফতুল্লায় এক দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে করেছিলেন অপরাজিত ৮১ রান। রান পেয়েছেন ‘এ’ দলের হয়ে মহারাষ্ট্র সফরের টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং তিন দিনের ম্যাচেও। নির্বাচকদের হয়তো এসব মনেই নেই। কিংবা জাতীয় দল গঠনযন্ত্রটা হয়তো তাঁর চেনাজানা গণ্ডির বাইরে যাওয়াটাকেই বিপদসংকুল মনে করছে।
নির্বাচকদের ‘নিরাপদে’ থাকার মানসিকতা দেশের আমজনতা ক্রিকেটারদের মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটের ওপর এনে দিচ্ছে এক ধরনের অনাস্থা। কাল রাজশাহীর ড্রেসিংরুমে বসেই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ প্রশ্নটা তুললেন, ‘একটা ছেলে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ভালো ব্যাটিং করেও জাতীয় দলে সুযোগ না পেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার তাহলে মূল্য থাকল কী? আর ফয়সাল তো নতুন ক্রিকেটার নয়, ও জাতীয় দলে একবার খেলেছে।’
ফয়সাল নিজে কী বলেন? নির্মম নিয়তির কাছে বারবার হেরে যাওয়া স্বপ্নটা যে আর পাখা মেলারই সাহস পায় না! টেলিফোনের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে ক্লান্ত কণ্ঠ, ‘আমি খেলতে চাই, এটা আমি বলব কেন? সব সময় তো দেখেছি ভালো খেললেই জাতীয় দলে ডাকে, যারা ভালো খেলে না তাদেরও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সুযোগ দেওয়া হয়। আমি যতই ভাবি আমার যোগ্যতা আছে, আমাকে সুযোগ না দিলে কী করার আছে?’


Title says it allঘরোয়া ক্রিকেট তাহলে মূল্যহীন!....YES...it is mullohin.

Sad really.....A guy who scoring runs like a machine in every format for last 3 yrs dont get a NT call but a guy who consistanly failing (Aftab) in every format getting chance in every series...Bah, Excellent selection. hats off to you selectors!!!
Reply With Quote