December 4, 2010, 11:50 AM
|
|
Cricket Legend ICC WT20 2016 Fantasy Winner
|
|
Join Date: March 8, 2008
Location: BanglaCricket.com
Favorite Player: Mashrafe Mortaza
Posts: 5,236
|
|
পেস বোলিং নিয়ে হতাশ ইয়ান পন্ট
স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্ িফোর.কম
ঢাকা: সুদূর বিলেত থেকে আনা হয়েছে ইয়ান পন্টকে। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের পেস আক্রমণের চেহারা খোল-নলচে পাল্টে ফেলা। দু’মাসেরও বেশি হয় মাশরাফিদের নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু উন্নতির লক্ষ্যণ নেই। যরপরনাই পেসারদের ওপর বিরক্ত ইয়ান।
পেসারদের কড়া সমালোচনাও করেছেন ইয়ান,“প্রত্যেকেই নেটে ফাটিয়ে ফেলেন। কিন্তু খেলায় ধার নেই।”
অবশ্য চোট থেকে ফেরায় মাশরাফি কিছুটা ছাড় পেয়েছেন। কোচের দৃষ্টিতে প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও তুলনামূলক দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো বল করেছেন সাবেক অধিনায়ক। আশার কথাও শোনান কোচ,“মাশরাফি বাংলাদেশের সেরা পেসার। আশা করি খুব শিগগিরই সে নিজেকে ফিরে পাবে।”
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছন্দ রেখে বোলিং হয়নি। ফলে অনায়াসে খেলছে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। ইয়ানের মতে,“পেস বোলিংয়ে ছন্দ এবং সময়ের সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ। এর ব্যতিক্রম হলে আত্মবিশ্বাস হারাবে। নেটে দুই হাজার বার বোলিং করে কেউ বলতে পারে না মূল উইকেট ভালো করবে।”
শুধু পেসারদের নয়, বোলিং কোচ হিসেবে এখন পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন ইয়ান। বিশেষ করে স্পিনারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এই ইংলিশ কোচ,“স্পিনাররা দারুণ করছে। পৃথিবীর কোন দলে এক সঙ্গে তিনজন বাঁহাতি বোলার খেলেনি। যাদের প্রত্যেকেই বিশ্বমানের। স্পিনারদের পারফরমেন্সে আমি খুশি। কারণ আমি বোলিং কোচ।”
বোলিং কোচের ভাষায় সাকিব আল হাসান অনেক বড় মাপের অধিনায়ক। বিশেষ করে বোলিংয়ে পরিবর্তন দেখে খুশি,“ প্রয়োজন মুহূর্তে কী সুন্দর বোলিংয়ে পরিবর্তন আনে সাকিব। সে খুবই মেধাবি একজন অধিনায়ক।”
সাবেক অধিনায়ক মাশরাফিও স্পিনারদের প্রশংসা করেছেন। তবে পেস বিভাগ নিয়ে তার মধ্যেও কিছুটা হতাশা কাজ করছে,“ বোলিংয়ের সুযোগই পাচ্ছি না। মাত্র কয়েক ওভার করে বল করার সুযোহ পেয়েছি। চোট থেকে ফেরায় সবকিছু আগের মতো হচ্ছে না। একটু সময় লাগবে। অনেকগুলো ম্যাচ খেলার দরকার ছিলো। তা সম্ভব হয়নি। এখান থেকেই আমাকে ফিরতে হবে।”
খেলার পরের দিন বলে ঐচ্ছিক অনুশীলন হয়েছে। তবুও চার পেসারকে নিয়ে আলাদা কাজ করেছেন বোলিং কোচ। সাকিব আর হাসান মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এসেছেন জিন্স টি-শার্ট পড়ে। অনুশীলনের প্রশ্নই আসে না। তামিম ইকবাল সেন্ট্রাল উইকেট মজা করে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেন। গ্রাউন্স ম্যানদের বোলিংয়ে চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন। অবশ্য ক্যাচ আউট হলে বোলার এবং ফিল্ডারকে পাঁচশত করে টাকা দেবেন তামিম নিজেই।
এছাড়া আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ ৬৫ রান করা রকিবুল হাসান, মুশফিকুর রহিমও অনুশীলন করেছন। প্রধান কোচ জেমি সিডন্স ছিলেন তাদের পাশে।
|