View Single Post
  #1  
Old June 29, 2011, 11:04 PM
nakedzero's Avatar
nakedzero nakedzero is offline
Cricket Legend
 
Join Date: February 3, 2011
Favorite Player: ShakTikMashNasir(ShakV2)
Posts: 2,024
Default Bangladesh is now buying security equipment for WorldCup 2011

বিশ্বকাপ ক্রিকেট তিন মাস আগে শেষ হয়ে গেলেও দর্শক ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার জন্য সরঞ্জাম কেনাকাটার প্রস্তুতি এখনো চলছে। যুক্তি, এখন এগুলোর দাম কম। বিশ্বকাপের জন্য বরাদ্দ থেকে বেঁচে যাওয়া অর্ধেকের বেশি টাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো ধরে রেখেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১১ উপলক্ষে নিরাপত্তাব্যবস্থ র জন্য দুটি বোমা অপসারণের বিশেষ সরঞ্জামযুক্ত যান (আইইডিডি রেসপন্স ভেহিকেল) আমদানির জন্য এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এ-সংক্রান্ত চিঠি অনুযায়ী গাড়ি দুটির দাম প্রায় সাত কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ছিল গত বিশ্বকাপের তিন সহ-আয়োজকের অন্যতম। এখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি খেলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয় যে কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেবে, সে কাজেই তা ব্যয় করার কথা। কিন্তু বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বরাদ্দ দেওয়া এ অর্থ সে সময় ব্যয় করা হয়নি। ব্যয় না হওয়া অর্থ ফেরতও পাঠানো হয়নি।
জানতে চাইলে অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনোভাবেই আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে দেওয়া বরাদ্দ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন খরচ করতে পারবে না। শর্তই রয়েছে, যে জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে, সে কাজের জন্য ব্যয় করতে হবে। ওই কাজে না লাগলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ফেরত পাঠাতে হবে। যদি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই টাকা ব্যয় করে থাকে, তবে অবশ্যই তারা নিয়ম ভঙ্গ করেছে।’
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনার জন্য ৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু তখন মাত্র ১০ কোটি টাকার সরঞ্জাম কেনা হয়।
সূত্র জানায়, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর এর আগেও পুলিশ সদর দপ্তর বেচে যাওয়া অর্থে মোটরসাইকেল, আইপি মনিটরিং সিস্টেমসহ নানা নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সূত্রমতে, পুলিশ বাহিনীর বর্তমান কাঠামোতেও এ ধরনের গাড়ির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়নি। তাই এভাবে অসময়ে এ গাড়ি কেনার অনুমোদন দেওয়া নিয়মবহির্ভূত।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২৬ জুন পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এম মাহবুব আলম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে জানান, সরকার বিদেশ থেকে দুটি বোমা অপসারণের সরঞ্জামযনথিপথে দেখা যায়, বিশ্বকাপের পর গাড়ি কেনার এ প্রস্তাবটিতেও পুলিশ শাখা সম্মতি দেয়নি। এ প্রস্তাবের ওপর মন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মন্তব্যসংবলিত পাতা বা নোটশিটে ১৬ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পুলিশ) নাজিমউদ্দিনও তাঁর মত দেন। তিনি লেখেন, যে উদ্দেশ্যে এ যান কেনার প্রয়োজন ছিল অর্থাৎ আইসিসি বিশ্বকাপ তা সমাপ্ত হয়েছে। তাই এত দামি মোটরযান যা পুলিশ বাহিনীর কাঠামোতে নেই, তা এ পর্যায়ে কেনার প্রয়োজন নেই।
কিন্তু এসব গাড়ির দরপত্র মূল্য কম এবং তা কেনার পরে পুলিশ বাহিনীর কাঠামোভুক্ত করা হবে, এমন মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্র সাহারা খাতুন ও স্বরাষ্ট্রসচিব আবদুস সোবহান সিকদার কেনার অনুমতি দেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
জানতে চাইলে পুলিশ শাখার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব গাড়ি কেনার অনুমোদন দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। আইসিসি বিশ্বকাপের দোহাই দিয়ে এগুলো কেনা এবং এ প্রস্তাবকে অনুমোদন দেওয়া যুক্তিসংগত নয়। পুলিশ শাখা থেকে এ বিষয়ে আগেই দ্বিমত পোষণ করা হয়েছিল।’
স্বরাষ্ট্রসচিবের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এলসি খোলার অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এম মাহবুব আলম গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে এর পক্ষে তাঁর যুক্তি তুলে ধরেন। এআইজি বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে না ব্যবহার হোক, আগামী বিশ্বকাপে অথবা পুলিশের কাজে এসব গাড়ি ব্যবহার করা হবে। তখন কিনতে পারিনি, তাই এখন কিনছি। অর্থ মন্ত্রণালয় তো টাকা খরচের জন্য দিয়েছে, সুতরাং আমরা এ টাকা পুলিশের জন্য ব্যয় করলে অসুবিধা কোথায়?’
এম মাহবুব আলম এ সময় আরও বলেন, তাঁরা এর আগেও (বিশ্বকাপের পর) বরাদ্দ দেওয়া অর্থে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার অনুমতি চেয়েছিলেন। তবে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়নি।
সূত্র জানায়, গত মাসে বিশ্বকাপের জন্য বরাদ্দ দেওয়া অর্থ থেকে আইপি মনিটরিং সিস্টেম কেনার প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কাছে এর দরপত্র প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই ব্যয়বহুল যন্ত্র কেনা আবশ্যক নয় বলেও মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখা থেকে বলা হয়


HOWZZAT ??


SOURCE
Reply With Quote