View Single Post
  #47  
Old September 14, 2011, 10:36 PM
PoorFan PoorFan is offline
Moderator
 
Join Date: June 15, 2004
Location: Tokyo <---> Dhaka
Posts: 14,850

Interesting report from Shamokal on Tista saga, Yet to know the truth why Momota took that U-turn in the last moment.


তিস্তা চুক্তি না হলে ক্ষতি হবে পশ্চিমবঙ্গেরই
11.36%


গড় রেটিং:


রেটিং :




গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিলি্ল
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিস্তা পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গেরই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দু'দেশের মধ্যে চুক্তি না হওয়ায় বিশ্বব্যাংক প্রস্তাবিত ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ স্থগিত হয়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এখন রাজনৈতিক দূতের মাধ্যমে এ আশঙ্কার কথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ক বোঝাতে শুরু করেছেন। ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। তার সঙ্গে ওই সময় বিশ্বব্যাংক কর্তাদের আলাপ-আলোচনা হতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ভাগের জেলাগুলোতে তিস্তার পানিতে চাষের জন্য
সেচব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারত সরকার বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সাহায্যের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু জাতিসংঘের ঘোষিত নীতি হলো, আন্তর্জাতিক নদীগুলোর উপর অববাহিকার রাষ্ট্র এমনভাবে পানি ব্যবহার করতে পারবে না যাতে নিম্ন অববাহিকার রাষ্ট্র কোনোভাবে বঞ্চিত হয়। তিস্তার ক্ষেত্রে ভারত (সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গে) উপর এবং বাংলাদেশ রয়েছে নিম্ন অববাহিকায়। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে যদি তিস্তা নিয়ে দু'দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতো তাহলে পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে একটি সুষম নীতি গৃহীত হতে পারত। এতে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গে সেচপ্রণালি বিস্তারে অর্থ সাহায্য করতে অসুবিধা হতো না। এ কারণে দিলি্লর জাতীয় কংগ্রেসের নেতারা বলতে শুরু করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এ বৃহত্তর বিষয়টি উপেক্ষা করেন তাহলে 'পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ' আদৌ কি রক্ষিত হবে?
পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের একাংশ এরই মধ্যে রাজধানী দিলি্ল এসে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর 'তিস্তা রাজনীতির' সমালোচনা করেন। এমনকি তারা আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট ভেঙে এককভাবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব দেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেল স্বীকার করেন, 'পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ পেয়েছি।'
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে গজলডোবায় ১৯৭৬ সালে তিস্তা নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়। উদ্দেশ্য উত্তরবঙ্গের প্রায় সাড়ে ৯ লাখ হেক্টর জমিতে সেচের পানি পেঁৗছে দেওয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। বর্তমানে মাত্র ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের জন্য পানি সরবরাহ করা হয়। কারণ এখনও সেচ-খাল নির্মিত হয়নি। এ সেচ-খাল নির্মাণের জন্য ভরত সরকার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। খাল নির্মিত না হওয়ায় এখন পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবায় মাত্র ২৫ শতাংশ তিস্তার পানি ব্যবহৃত হয়। অবশিষ্ট পানি অযথা হয় বাংলাদেশের দিকে নয়তো অব্যবহৃত হয়ে সমুদ্রে বয়ে যায়। এ খাল নির্মিত হলে পশ্চিমবঙ্গের আরও বৃহত্তর এলাকায় তিস্তার পানি সেচের জন্য পেঁৗছে দেওয়া যেত।
প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরসঙ্গী ভারত সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, তিস্তায় এখন কতটা পানি প্রবাহিত হয় তার উভয় দেশের মধ্যে গ্রহণযোগ্য কোনো পরিমাণ চিহ্নিত করা হয়নি। তিস্তার খসড়া চুক্তিতে বলা হয়েছিল, শুষ্ক মৌসুমে দু'দেশ ৫০-৫০ ভাগ পানি বণ্টন করে নেবে। বাংলাদেশের লালমনিরহাটের ডালিয়াতে তিস্তার পানি অন্যান্য ছোট নদী সূত্রে আরও বাড়তি পানি পাবে। এটাও চুক্তিতে উল্লেখ করার জন্য ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেষ মুহূর্তে ফের ঢাকা উড়ে গিয়েছিলেন। ভারত সরকারের মতে, এটাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নিয়েছিলেন। তার ঢাকা সফর বাতিল নিঃসন্দেহে বিস্ময় সৃষ্টি করে_ এটা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিজেই সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের কাছে গোপন করেননি।
ভারতের জাতীয় ইংরেজি দৈনিক 'দ্য হিন্দু'র কাছে এক সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা স্বীকার করেন, উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের ভোটব্যাংক দখল করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'জনপ্রিয়তা' অর্জনের জন্য তিস্তা চুক্তিকে ব্যবহার করেছেন; কিন্তু তারা বিশ্বাস করেন, এতে তার হিতে বিপরীত হতে পারে। কেননা কংগ্রেস নেতৃত্ব পাল্টা প্রচার করতে চায়, তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে উত্তরবঙ্গে আরও বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি পেঁৗছে দেওয়া যেত। যদি বিশ্বব্যাংক সেচপ্রণালি গড়তে অর্থ সাহায্য করতে রাজি হয়।
তবে ভারত সরকার বা জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব হাল ছাড়ছে না। ইউপিএ সরকারের অন্যতম প্রধান শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। দিলি্লতে সরকার চালাতে হলে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন অবশ্য প্রয়োজন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং একের পর এক শীর্ষস্তরের মন্ত্রীকে কলকাতা পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা শুরু করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে ঘনিষ্ঠ মহল দাবি করছে, তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের সাফল্য মুখ্যমন্ত্রী একাই নিতে চান। বাংলাদেশে তার জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রাখতে শেষ পর্যন্ত তিনি তিস্তা চুক্তিতে সম্মতি দেবেন।


Daily Shamokal
Reply With Quote