View Single Post
  #1  
Old May 24, 2012, 10:34 AM
cricheart's Avatar
cricheart cricheart is offline
Test Cricketer
 
Join Date: March 2, 2012
Location: Haowa Bhaban
Favorite Player: Any smart *** spot fixers
Posts: 1,591
Default facebook-কে মেরেজ স্টাটাস কেমন

এক-তৃতীয়াংশ বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছে ফেসবুক!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে। আর সেই ফেসবুকই কিনা এক-তৃতীয়াংশ বিচ্ছেদ ঘটাতে দায়ী। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপ অনুযায়ী এমন তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের আইনি প্রতিষ্ঠান ডিভোর্স-অনলাইন।
ডিভোর্স অনলাইনের জরিপে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দম্পতিদের পরস্পর-বিদ্বেষী বিবৃতি, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সন্দেহজনক ফেসবুক ব্যবহার ও ইন্টারনেটে আপত্তিকর ছবি প্রকাশ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। এতে বলা হয়, জুটিদের মধ্যকার আপত্তিকর বাক্যগুলো তাদের নিকটস্থ ব্যক্তি তথা বন্ধু-বান্ধবের কাছে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সম্পর্কে ফাটল ধরে।
ডিভোর্স অনলাইন জানায়, সম্প্রতি পাঁচ হাজার বিচ্ছেদ আবেদনের ৩৩ শতাংশের বেশি হয়েছে ফেসবুকের কারণে। অথচ ২০০৯ সালে এ হার ছিল ২০ শতাংশ। সংগঠনটির মুখপাত্র মার্ক কেনান ডেইলি মেইলকে জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে খুব সহজেই যে কেউ প্রেম নিবেদন কিংবা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যেতে পারেন। তাই ফেসবুকের ওয়ালে (প্রধান পৃষ্ঠা) কোনো কিছু প্রকাশ করার আগে সবার উচিত সতর্ক থাকা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আইনি প্রতিষ্ঠান, আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ম্যাট্রিমনিয়াল লয়িয়ারস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছেদ মামলা পরিচালনাকারী ৮০ শতাংশ আইনজীবী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে বিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ার কথা স্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ‘ফেসবুক অ্যান্ড ইউর ম্যারেজ’ গ্রন্থের লেখক কে জেসন ক্রাফস্কি বলেন, কর্মস্থল কিংবা বাড়ির বাইরের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাগুলো মাস কিংবা বছরের ব্যবধানে বাস্তব রূপ নেয়। ফেসবুকের ক্ষেত্রে কেবল একটি ক্লিকেই এ ঘটনা বাস্তব হয়। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো প্রচলিত প্রেম নিবেদনের সাইটগুলোর চেয়ে ভিন্ন। কারণ এর মাধ্যমে পুরোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু-বান্ধবের পাশাপাশি মাত্র এক বা দুই দিনের পরিচয় হয়েছে—এমন ব্যক্তির সঙ্গেও বন্ধুত্ব করা যায়। তা ছাড়া এর মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ে ধরে গোপনে প্রেম করেও ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকে না। এমন বাস্তবতায় কোনো জুটি ইন্টারনেট জগতের বাইরে প্রণয় সম্পর্কে আবদ্ধ হলেও ফেসবুক ব্যবহার পরস্পরের মধ্যে সন্দেহ-প্রবণতা তৈরি করে।
জানা গেছে, ফেসবুকের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম টুইটারও বিচ্ছেদের ঘটনার জন্য দায়ী। বিভিন্ন সময়ে করা বিচ্ছেদ আবেদনের ২০ শতাংশ হয়েছে টুইটারে প্রকাশিত বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে।


source
Reply With Quote