December 15, 2012, 11:19 AM
|
|
Cricket Sage
|
|
Join Date: March 26, 2007
Favorite Player: Bangladesh Team
Posts: 18,761
|
|
Views in Pakistan is changing ... Even though very slowly.
[[বাংলাদেশ সম্পর্কে গড়পড়তা পাকিস্তানিরা কী ভাবে? আমাদেরকে তারা কোন নজরে দেখে বা মূল্যায়ন করে? এর সহজ উত্তর— দু’একটি ব্যতিক্রম এবং বুদ্ধিজীবী মহলে ৭১’র ঘটনাবলী নিয়ে সত্যভাষণের কিছু চেষ্টা ছাড়া বাংলাদেশি তথা বাঙালিদের ব্যাপারে তারা নেতিবাচক ধারণায় তাড়িত। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন.কম এর ভাষায়— “পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের চোখের দিকে তাকাতে রাজি নয়। তারা ১৯৭১ সালের ঘটনাবলীর খুবই খেলো ধরনের এক গল্প-গাথার আড়ালে নিজেদের লুকোতে চায়, যে গল্পে সেই ঘটনাকে স্রেফ ষড়যন্ত্র হিসেবেই বোঝানো হয়েছে। খুব ভাল হতো যদি একত্রে থাকা যেত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কে ষড়যন্ত্র করেছিল কার বিরুদ্ধে? বাঙালিদের করার-ই বা কী ছিল তখন? কীভাবে তারা বিচ্ছিন্নতার মোড়ে পৌঁছালো?” এই কথাগুলো ডন বলেছে সম্প্রতি তাদের প্রকাশিত ‘দ্য ক্রো ইজ হোয়াইট, বেঙ্গল ইজ পাকিস্তান’ শিরোনামের একটি লেখায়। তাহির মেহদি রচিত ৪ পর্বের ওই লেখায় বাংলাদেশ তথা বাঙালিকে ভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। দু’একটি বিচ্যুতি ছাড়া বাংলাদেশ সম্পর্কে গড়পড়তা পাকিস্তানি মূল্যায়নের ব্যতিক্রম এ লেখাটি। আমাদের এখানে স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক মহলটি ’৭১-এ তাদের ভূমিকায় দোষ স্বীকার করতে না চাইলেও এ লেখায় একজন পাকিস্তানি হিসেবে লেখক ’৭১ ও এর আগের সব নেতিবাচক ঘটনাবলির জন্য প্রকারান্তরে প্রায় সব দায়ই পশ্চিম পাকিস্তানিদের বলে মেনে নিয়েছেন। আগ্রহোদ্দীপক এ লেখাটির প্রথম পর্বের ভাষান্তর লেখকের অনুমতি নিয়ে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য উপসস্থাপন করা হলো। বাকি পর্বগুলো ধারাবাহিকভাবে যাবে ]]
কাব্যে অতিরঞ্জন অনুমোদিত, ব্যবসায়ে অসততাও সহনীয়— তবে এসবেরও একটা সীমারেখা আছে। আপনি কালো একটি কাককে কখনো সাদা বলতে পারেন না। কিন্তু রাজনীতির মঞ্চে আসুন— এখানে সব অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে।
এখানে এমনকি ‘বিচার’-এর প্রতিশব্দ হিসেবে ‘অবিচার’কে দাঁড় করিয়ে দেয়া যায় অথবা কমপক্ষে ‘সমতা’ শব্দটির ব্যবহারে সহজেই ‘অসমতা’কে ঢেকে দেওয়া যায়। যদি আপনারা ভেবে থাকেন আমি অতিরঞ্জন করছি— তাহলে বলবো আমাদের দেশের অতীত ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় পুণর্ভ্রমণ করে আসতে।
১৯৪৭ সালে যেসব এলাকা নিয়ে পাকিস্তান গঠিত হয়, সেসব এলাকা আগে পৃথক পৃথক রীতি-কায়দায় শাসন করতো বৃটিশরা। বাংলা, পাঞ্জাব, সিন্ধু আর পাখতুনওয়া (তৎকালীন এনডব্লিউএফপি অর্থাৎ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত প্রদেশ) ছিল নির্বাচিত গণপরিষদ শাসিত প্রদেশ। বালুচিস্তান শাসিত হতো একজন অ্যাপয়েন্টেড কমিশনারের দ্বারা, উপজাতীয় এলাকাগুলো রাজনৈতিক প্রতিনিধির দ্বারা। আর এর বাইরে ছিল বেশকিছু বৃটিশ অনুগত ‘রাজা’ শাসিত অঞ্চল যেগুলোকে বলা হতো প্রিন্সলি স্টেট্স। আকারে এই রাজ্যগুলো ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সব পদেরই ছিল। এএমবি নামের রাজ্যটি এতই ক্ষুদ্র ছিল যে ১৯৭০-এ দেওয়া টারবেলা বাঁধের ফলে সৃষ্ট হ্রদে তলিয়ে যায় এটি................................।
MORE
|