October 3, 2012, 10:23 PM
|
Moderator
|
|
Join Date: June 15, 2004
Location: Tokyo <---> Dhaka
Posts: 14,850
|
|
Quote:
দেখা থেকে লেখা
এখন রাজনীতি নয়, ন্যায়বিচার জরুরি
মশিউল আলম | তারিখ: ০৪-১০-২০১২
পরের সংবাদ»
পুড়ে যাওয়া বাড়ির ধ্বংসচিহ্ন দেখছেন এক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী
কক্সবাজার জেলার তিনটি উপজেলায় বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণের তিন দিন পরেও কক্সবাজার শহরের পরিবেশ থমথমে। প্রায় জনবিরল, নিষ্প্রাণ লাগছে শহরটিকে। অথচ বছরের এ সময়টিতে পর্যটকদের ভিড়ে কোলাহলমুখর থাকে এই শহর। যেসব জনপ্রিয় হোটেলে স্থান সংকুলান হয় না, সেগুলো এখন ফাঁকা। পর্যটকেরা অনেক হোটেলের বুকিং বাতিল করেছেন, নতুন করে বুকিং দেওয়া হচ্ছে না। শহরের মানুষগুলোর চোখেমুখের অভিব্যক্তি বিষণ্ন। কোথাও বড় একটা ছন্দপতন ঘটে গেছে, এটা টের পাওয়া যায়।
এটা তবু ভালো। এই বিষণ্নতার মানে মানুষ নির্বিকার হয়ে পড়েনি। ক্ষুদ্র, নিরীহ একটি সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর বর্বর আক্রমণ হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর তাতে কিছুই এসে যায় না—বিষয়টি যে এ রকম নয়, এটা তারই প্রমাণ। গতকাল রামু শহরেও লক্ষ করেছি এমন থমথমে বিষণ্নতা। কথা বলেছি মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেক মানুষের সঙ্গে। তাঁরা সবাই বলেছেন, বিরাট অন্যায় হয়েছে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ওপর। ফেসবুকের যে ছবিটিকে কেন্দ্র করে এই ধ্বংসযজ্ঞ, সেটি স্বচক্ষে দেখেছেন, এমন মানুষ খুঁজে পেয়েছি মাত্র একজন। অন্যরা বলেছেন, তাঁরা ছবিটি দেখেননি, তবে শুনেছেন যে এ রকম একটি ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই কারণে পুরো বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ওপর এই বর্বর আক্রমণ চালানো মোটেও ঠিক হয়নি। কক্সবাজার শহরেও দোকানি, রিকশাচালক, পথচারী, হোটেলকর্মী, পথের পাশের ফল বিক্রেতাসহ অনেক সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি একই প্রতিক্রিয়া। আজ সকালে কক্সবাজার শহর থেকে উখিয়ার দিকে যেতে যেতে পথের একাধিক জায়গায় গাড়ি থেকে নেমে কথা বলেছি সাধারণ মানুষের সঙ্গে। বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ওপর গুরুতর অপরাধমূলক আচরণ করা হয়েছে—এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সবার কথায়। অপরাধ যারা করেছে, এখন গা ঢাকা দিয়ে আছে তারা। অপরাধ করেছে বলেই তাদের এখন পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অর্থাৎ সব আশা শেষ হয়ে যায়নি।
|
Read more in Prthom Alo
|