View Single Post
  #94  
Old December 10, 2011, 05:32 PM
idrinkh2O's Avatar
idrinkh2O idrinkh2O is offline
Test Cricketer
 
Join Date: April 9, 2011
Favorite Player: Performing Tigers
Posts: 1,879

বিজয়ের ৪০ বছর: বিদেশি সহযোদ্ধা
সম্পর্ক জন্মের সময় থেকেই
শওকত হোসেন | তারিখ: ১১-১২-২০১১

জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দেশটির জন্মের সময় থেকেই, যদিও সময়টা কারও জন্যই ভালো যাচ্ছিল না। দেশটিতে তখন মানবেতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম গণহত্যা ঘটে গেছে। লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয় নিয়েছে সীমান্তের ওপারে, ভারতে। দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তানি সেনারা। সঙ্গে আছে রাজাকার বাহিনী। এ রকম এক সময় স্বীকৃতি আর সহায়তার আশায় বাংলাদেশ তখন তাকিয়ে আছে সারা বিশ্বের দিকে।

দুনিয়া খ্যাত বিটলসের অন্যতম সদস্য জর্জ হ্যারিসনকে বলা হতো ‘কোয়ায়েট বিটল’। ষাটের দশকে দুনিয়াজুড়ে যে অস্থিরতা ও বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল তরুণদের মধ্যে, তারই প্রতিনিধি ছিলেন বিটলসরা। পুরো একটি প্রজন্মকে সংগীত দিয়ে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন তাঁরা। সেই বিটলস তখন ভেঙে গেছে। জর্জ হ্যারিসন একক ক্যারিয়ার করার কথা ভাবছেন। সে সময়ই জর্জ হ্যারিসন বাংলাদেশের সঙ্গে গড়লেন নতুন এক আত্মিক সম্পর্ক।

১৯৭১ সালের ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে হওয়া এই কনসার্টের মাধ্যমে পৃথিবীর বহু মানুষ প্রথম জেনেছিল বাংলাদেশের নাম, যদিও বাংলাদেশ নিয়ে কিছু একটা করার মূল পরিকল্পনা ছিল পণ্ডিত রবিশঙ্করের। রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসনের বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। বাংলাদেশ নিয়ে কনসার্ট করার কথা প্রথম রবিশঙ্কর ভাবলেও কাজটি সম্ভব হয়েছিল জর্জ হ্যারিসনের জন্যই। তিনিই উদ্যোগী হয়ে শিল্পীদের জোগাড় করেছিলেন। আত্মাভিমান ভুলে তিনি বিটলসের সহশিল্পীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়েছিলেন ড্রামার রিঙ্গো স্টার। বিল প্রেস্টন ও লিওন রাসেলও রাজি হন। তবে জর্জ হ্যারিসন ছাড়াও কনসার্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলেন বব ডিলান ও এরিক ক্ল্যাপটন। বিশেষ করে এরিক ক্ল্যাপটনের গিটারের ঝংকার আর বব ডিলানের বিখ্যাত সেই গান ‘ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড’ মানুষ আজীবন মনে রাখবে। একই দিনে দুটি কনসার্ট হয়েছিল, একই নামে।

কনসার্টটি শুরু হয়েছিল রবিশঙ্কর ও আলী আকবর খানের যুগলবন্দী দিয়ে। তবলায় ছিলেন আল্লারাখা। রবিশঙ্কর ‘বাংলা ধুন’ নামের নতুন একটি সুর সৃষ্টি করেছিলেন। সেটি দিয়েই শুরু হয়েছিল কনসার্ট। আর শেষ পরিবেশনা ছিল জর্জ হ্যারিসনের অবিস্মরণীয় সেই গান ‘বাংলাদেশ’। এই গানটির মধ্য দিয়ে জর্জ হ্যারিসন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সংকটের প্রকৃত চিত্র। গানটি কিন্তু শুরু হয়েছিল বন্ধু রবিশঙ্করের কথা দিয়েই। ‘মাই ফ্রেন্ড কেইম টু মি/ উইথ স্যাডনেস ইন হিজ আইজ/ টোল্ড মি দ্যাট হি ওয়ান্টেড হেল্প/ বিফোর হিজ কান্ট্রি ডাইজ’।

‘আই মি মাইন’ বিটলসের একটি গান, লিখেছিলেন জর্জ হ্যারিসন। এই নামে তাঁর একটি আত্মজীবনীও আছে। সেখানে দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কিছুই লিখেছেন। রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসনের প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জন্য কনসার্ট থেকে ২৫ হাজার ডলার তোলা যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা উঠেছিল। টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছিল আড়াই লাখ ডলার। এর বাইরে কনসার্টের অ্যালবাম ও কনসার্ট নিয়ে তৈরি ফিল্ম বিক্রি করে আরও অর্থ আয় হয়। বাংলাদেশকে কখনোই ভুলে যাননি জর্জ হ্যারিসন। ১৯৮২ সালে এক মার্কিন টিভি অনুষ্ঠানে জর্জ হ্যারিসন বাংলাদেশের শিশুদের জন্য আবারও কয়েক লাখ ডলারের একটি চেক তুলে দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশকে সব সময় মনে রাখলেও জর্জ হ্যারিসনকে সেভাবে মনে রাখেনি বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানায়নি কখনোই। এমনকি বাংলাদেশে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, এমনটিও কখনো শোনা যায়নি। অথচ কঠিন এক দুঃসময়ে সারা বিশ্বে ‘বাংলাদেশ’ নামটি তুলে ধরেছিলেন এই জর্জ হ্যারিসন। রাষ্ট্র মনে না রাখুক, বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে সব সময়ই থেকে যাবে জর্জ হ্যারিসনের নাম। ২০০১ সালের ৩০ নভেম্বর মাত্র ৫৮ বছর বয়সে তিনি মারা যান, ক্যানসারে ভুগে।

----------------------------------------

I own a copy of the Concert for Bangladesh. It's really amazing. Thank you, George Harrison and thank you, Ravi Shankar. We are grateful to you.
__________________
-- Alwayz with !!! Champions are made from something they have deep inside them - a desire, a dream, and a vision!
-- Bangladesh are the Runners-up in the 2012 ASIA Cup!
Reply With Quote