April 24, 2011, 12:10 AM
|
Cricket Legend
|
|
Join Date: June 8, 2009
Posts: 3,934
|
|
‘না খেললে বসেই তো থাকতাম’
বিশ্বকাপে মাত্র দুটি ম্যাচ খেললেও দলের সঙ্গেই ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেললেন তিন ম্যাচই। কিন্তু বিশ্রাম না নিয়েই শাহরিয়ার নাফীস খেলতে নেমে গেলেন জাতীয় লিগে! ভুল করেননি; বরিশালের হয়ে মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরে দারুণ খুশি জাতীয় দলের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর জাতীয় লিগে খেলতে নেমেও রান পাচ্ছেন। নিজেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ নিশ্চয়ই আছে...
শাহরিয়ার নাফীস: ভালো লাগছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজটা ভালো গেছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা, আমি ১১ মাস পর আবার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলছি। সর্বশেষ খেলেছিলাম গত বছরের মে মাসের শেষ দিকে। এত দিন পর খেলতে নেমে জাতীয় লিগে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেলাম, ভালো লাগার এটাও একটা কারণ। এর আগে ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলাম।
বিশ্বকাপ আর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর তো বেশির ভাগ ক্রিকেটার বিশ্রামে। আপনি জাতীয় লিগে খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?
শাহরিয়ার: প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অনেক দিন ধরে দূরে আছি, ম্যাচটা খেলছি শুধু এ কারণেই। সামনে তো আবার লম্বা সময় প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট পাব না। যদি জিম্বাবুয়ে সিরিজে সুযোগ পাই, সেখানে টেস্ট ম্যাচ থাকবে। এ ছাড়া বরিশাল দলের পক্ষে খেলতে সব সময়ই পছন্দ করি। না খেললে বসেই তো থাকতাম। তাই ভাবলাম, জাতীয় লিগে খেলি।
খেলে সেঞ্চুরি করলেন। আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও নিশ্চয়ই কাজ করছে এই ম্যাচটা...
শাহরিয়ার: অবশ্যই।্রএখানে ভালো খেলতে পারলে মৌসুমের শেষটা আমার জন্য ভালো হবে।
জাতীয় দলে ফিরে নিজেকে প্রমাণ করতে শুরু করেছেন। জায়গা ধরে রাখার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
শাহরিয়ার: আমি চেষ্টা করি সব জায়গাতেই ভালো খেলার। জাতীয় লিগে এসেও সেটা করেছি এবং একটা ইনিংস ভালো খেলেছি। এই চেষ্টা সব সময়ই থাকবে।
বিশ্বকাপ ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট?
শাহরিয়ার: অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে অবশ্যই সন্তুষ্ট। বিশ্বকাপে একটা ম্যাচ মোটামুটি হয়েছে, আরেকটা ম্যাচে রান করতে পারিনি; কাজেই বিশ্বকাপটা আমার জন্য খুব ভালো গেছে বলব না।
বিশ্বকাপ, অস্ট্রেলিয়া সিরিজ, এরপর জাতীয় লিগ—ব্যাটিং অর্ডারে কখনো ওপরে, কখনো নিচে নেমে খেলেছেন। আপনি স্বস্তি বোধ করেন কোন জায়গায়?
শাহরিয়ার: অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর জাতীয় লিগেও আমি তিন নম্বরে ব্যাট করছি এবং এ জায়গাতেই খেলতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করি। অনেক দিন ধরে তিন নম্বরে খেলছি বলে এখানেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তবে ওপেনিংয়েও সমস্যা নেই।
জাতীয় লিগে বরিশালের হয়ে ছোট ভাই ইফতেখার নাঈমের সঙ্গে খেলছেন। অভিজ্ঞতাটা কেমন?
শাহরিয়ার: মজার ব্যাপার হলো, যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই আমরা এই প্রথম একসঙ্গে ব্যাটিং করলাম। এর আগে একই দলে খেললেও একই সঙ্গে উইকেটে থেকে ব্যাটিং করা বা জুটি বাঁধা হয়নি। দুজন প্রথম একসঙ্গে ব্যাটিং করে ১০৩ রানের জুটি গড়েছি; অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই ভালো।
ছোট ভাইয়ের ব্যাটিং কেমন লাগল?
শাহরিয়ার: সত্যি বলতে কি, একসঙ্গে খেলা তো হয়ইনি, এর আগে মাঠের বাইরে বসেও আমি ওর খেলা খুব বেশি দেখিনি। মনে পড়ে না আজ পর্যন্ত ওর খুব বেশি ম্যাচ দেখেছি। গত মৌসুমে মনে হয় একটা দেখেছিলাম। আমার সঙ্গে গতকাল (পরশু) ও খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে ওর ব্যাটিং। আমার মনে হয়, এত দিন ওর জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়া।
ব্যাটিংয়ের সময় উইকেটে কী কথাবার্তা হলো দুই ভাইয়ে? মাঝেমধ্যে পরামর্শ দিয়েছেন নিশ্চয়ই...
শাহরিয়ার: ও যেহেতু ভালো ফর্মে আছে, আমি শুধু ওকে বলেছি ঝুঁকিপূর্ণ শট না খেলতে। স্বাভাবিক ব্যাটিং করলেই রান পাবে।
|