View Single Post
  #1  
Old December 6, 2012, 02:44 AM
WarWolf WarWolf is offline
Cricket Guru
 
Join Date: March 3, 2007
Favorite Player: Love them all....
Posts: 14,685
Default Every Thing About BCB President: Nazmul Hasan Papon

The current news doesn't look to be good.


বিতর্কিত গঠনতন্ত্রে আরও ক্লাবশাসিত বিসিবি!

ক্রীড়া প্রতিবেদক | তারিখ: ০৬-১২-২০১২




বিসিবির গঠনতন্ত্রের সংশোধনী অনুমোদিত হতে হয় সাধারণ পরিষদে। সেটা না করেই সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে দেড় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধন করা হলো গঠনতন্ত্র। সেই সংশোধিত গঠনতন্ত্রে আবার এমন সব পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা আইসিসির নির্দেশনা এবং ক্রিকেটে গণতন্ত্রচর্চারও পরিপন্থী।
সব কাউন্সিলরের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার বদলে বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হবেন শুধু পরিচালকদের ভোটে—এই বিতর্কিত ধারার চেয়েও পরিবর্তিত গঠনতন্ত্রে সবচেয়ে বিস্ময়কর সংযোজন হলো, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুপার লিগের দলগুলো থেকে দুজন করে কাউন্সিলর থাকার বিধান। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশে শুধু ৫০ ওভারের একটি টুর্নামেন্ট খেলে, এমন ক্লাবগুলোর এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার উদাহরণ ক্রিকেট ইতিহাসে আর নেই। অনুমিতভাবেই ক্রিকেটাঙ্গনে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিতর্কিত এই সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অনেকে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে নানা সূত্রে।
বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে গত দুই-আড়াই বছরে কম আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার পর সাধারণ পরিষদের অনুমোদন নিয়ে প্রস্তাবিত সংশোধনী পাঠানো হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি)। গত ২১ অক্টোবর প্রস্তাবিত সংশোধনীতে কিছু পরিবর্তন-পরিবর্ধন করে বিসিবিকে সেগুলো গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেয় এনএসসি। অন্যান্য পরিবর্তনকে স্বাগত জানানো হলেও পরিচালনা পর্ষদে একজনের জায়গায় তিনজন সরকারি প্রতিনিধি রাখার সিদ্ধান্তটি মেনে নিতে পারেনি পরিচালনা পর্ষদ। নতুন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানও তখন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আইসিসির নির্দেশনার পরিপন্থী বলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য তাঁরা এনএসসিকে অনুরোধ করবেন।
মজার ব্যাপার হলো, দ্বিতীয়বার সংশোধিত হয়ে আসা গঠনতন্ত্রে সবার অগোচরে কয়েকটি বিতর্কিত পরিবর্তন যোগ হয়ে গেলেও সরকারি প্রতিনিধির সংখ্যা তিনজনই রয়ে গেছে। পরিবর্তন বলতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে প্রতিনিধিদের মনোনয়ন দেবে এনএসসি।
গঠনতন্ত্রে শেষ পর্যন্ত যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, সাধারণ পরিষদ দূরে থাক, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়নি বিসিবির পরিচালনা পর্ষদেও। গঠনতন্ত্রের অনেক সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হলেও এই বিষয়গুলোর কথা কোথাও শোনা যায়নি। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল বিসিবির বিগত গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটিও। বর্তমান অ্যাডহক কমিটিতেও আছেন, আবার সর্বশেষ পরিচালনা পর্ষদেও ছিলেন, এমন একাধিক বোর্ড কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব পরিবর্তন সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার অভিযোগ, নতুন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান এককভাবেই এসব পরিবর্তন এনেছেন। তাঁর প্রভাবের কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা ক্রীড়ামন্ত্রী এটি অনুমোদন করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ ব্যাপারে কাল বিসিবি সভাপতির মন্তব্য জানার জন্য মুঠোফোনে অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে ধরা যায়নি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল আইসিসির সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে বিসিবির সভাপতির পদ ছাড়তে হবে—এটি নিশ্চিত হওয়ার পরই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলো নাজমুল হাসানকে সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি তোলে। গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে নাজমুল হাসান সেটিরই প্রতিদান দিচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরও ক্লাবশাসিত করার এই চেষ্টা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের ধারণারও পরিপন্থী। ২০০৮ সালের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলার কাউন্সিলর হিসেবে নিজ নিজ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যদের আনার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটিও। এখন ক্রিকেটীয় সংশ্লিষ্টতা থাকলে যে কেউ যেকোনো জেলা থেকে বিসিবির সদস্য হয়ে যেতে পারবেন। সব মিলিয়ে বিকেন্দ্রীকরণের বদলে ক্ষমতা আরও ঢাকায় কেন্দ্রীভূত করার রাস্তাই খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রথম সংশোধনী অনুযায়ী বোর্ড সভাপতির নির্বাচিত হওয়ার কথা সাধারণ পরিষদের সদস্যদের ভোটে। নতুন সংশোধনীতে এই ভোটে ভোটার হবেন শুধু পরিচালকেরা। এ ছাড়া উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সিনিয়র সহসভাপতির পদও।
গঠনতন্ত্র সংশোধনীর প্রক্রিয়া এবং আনীত সংশোধনীগুলোর কঠোর সমালোচনা করেছেন বিসিবির সাবেক পরিচালক ও বিগত গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটির প্রধান দেওয়ান শফিউল আরেফিন। কাল তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় পড়েছি, বিসিবির গঠনতন্ত্র আবারও সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু সংশোধনী সাধারণ পরিষদে পাস হয়ে এনএসসিতে যেতে হয়। এসব সংশোধনী সাধারণ পরিষদ বা বোর্ড সভায়ও আলোচনা হয়নি। আমরা জানিই না কোন প্রক্রিয়ায় এটা হলো!’ সংশোধনীগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘এতে করে দেশের ক্রিকেটে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আপনি যখন একটা জেলার কাউন্সিলর হিসেবে অন্য একটি জেলা থেকে কাউকে দিয়ে দেবেন, তখন সংশ্লিষ্ট জেলা ক্রীড়া সংস্থা তার বিরুদ্ধাচরণ করতে পারে।’ সুপার লিগের ক্লাবগুলো থেকে দুজন করে কাউন্সিলর দেওয়ার ব্যাপারটিও মেনে নিতে পারছেন না তিনি, ‘ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে জেলা আর বিভাগকেই বেশি অবদান রাখতে হবে। একটা জেলা বা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অসংখ্য প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। ক্লাবগুলো সেসবে অংশ নেয় মাত্র। তাহলে কোনো ক্লাবের কাউন্সিলর সংখ্যা জেলা বা বিভাগ থেকে বেশি হয় কীভাবে?’ শফিউল আরেফিন প্রশ্ন তুলেছেন সভাপতি নির্বাচন-প্রক্রিয়া নিয়েও, ‘বোর্ড সভাপতি মানে সারা দেশের ক্রিকেটের সভাপতি। তাঁর সারা দেশের কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসাই যুক্তিযুক্ত।’
মাঠের ক্রিকেটে যখন খেলোয়াড়েরা প্রতিনিয়তই নতুন দিনের গান শোনাচ্ছেন, তখন মাঠের বাইরের ক্রিকেটে এই অগণতান্ত্রিক চর্চা একটা প্রশ্নই বড় করে তুলছে—ক্রিকেট উন্নয়নের প্রতিবন্ধক ক্রিকেট কর্মকর্তারাই নন তো?


http://www.prothom-alo.com/detail/da...06/news/311039
__________________
And Allah Knows the best
Reply With Quote