View Single Post
  #29  
Old April 27, 2010, 11:26 AM
Nocturnal's Avatar
Nocturnal Nocturnal is offline
Cricket Guru
T20 WC 2010 Fantasy Winner
 
Join Date: June 18, 2005
Location: Canada
Favorite Player: ABD / Kalam / Musta
Posts: 9,787

Saw the main killer's (BDR soldier Salim Reza) face today in different news channel! Now he grows "sunnoti" beard and looks like a saint!! He said he is not even repentant. SHAME on you- Ruthless Killer. purai k*ttar bachcha ekta!
================================================== ====================

'অফিসারদের বলা হয়- গো, ওয়ান বাই ওয়ান'

ঢাকা, এপ্রিল ২৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- "সিপাহী তাজুল ও অন্যরা দরবার হলে বিদ্রোহ করে। সেলিম রেজা মাইক্রোফোনে ডিজি ও অন্য অফিসারদের এক লাইনে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়ে বলে- গো, ওয়ান বাই ওয়ান। একজন সিপাহীর নির্দেশ মানতে ডিজি বাধ্য হলেও সে সময় তাকে এ খুনিরাই হত্যা করে।"

মঙ্গলবার আদালতে এভাবেই বিদ্রোহের দিনের ঘটনা তুলে ধরেন ৪৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী অনিরুদ্ধ।

বিদ্রোহের বিচারে বিডিআরের বিশেষ আদালত-৫ এ এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরা হয়। এরপর আদালত প্রধান বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ১ নভেম্বর তারিখ ঠিক করেছেন।

পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সকাল পৌনে ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত শুনানিতে ৬৭৫ আসামিই উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই ৪৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের সদস্য। এর মধ্যে হত্যা, লুণ্ঠনের মতো গুরুতর অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে, সে ধরনের ২৮ জনের হাতে পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা হয়।

বিডিআর কর্মকর্তা কাজী অনিরুদ্ধ বলেন, ১৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সিপাহী মইনকে বিদ্রোহের সূচনাকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হলেও মূল মদদদাতারা আজ এখানে উপস্থিত রয়েছে। তারাই বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে।"

"২৪ তারিখ অন্ধকার ঘরে শপথ নিয়ে ২৫ ফেব্র"য়ারি সকালে বিদ্রোহীদের প্যারেড মাঠে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিলো। সে অনুযায়ী ৪৪ ব্যাটালিয়নের সিপাহী সেলিম রেজা প্রথমে মাঠে আসে।"

উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) নাসিরের নির্দেশে বিদ্রোহীরা সব কাজ করেছে দাবি করে প্রসিকিউটর কাজী অনিরুদ্ধ বলেন, সেলিম রেজা, সিপাহী আলতাফ ও অন্যরা অস্ত্রাগার লুট করে। সিপাহী তাজুল ও অন্যরা দরবার হলে বিদ্রোহ সংঘটিত করে।

তিনি জানান, সেলিম, তাজুল, হাবিবুর, জসিম, রফিকুল ও ওবায়দুল্লাহ ডিজির বাসভবনে লুটপাট চালায়।

বিদ্রোহের সাতদিন আগে ৪৪ ব্যাটালিয়নের পেছনের একটি পানির ট্যাংকে একটি গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিলো জানিয়ে কাজী অনিরুদ্ধ বলেন, "বিদ্রোহের সময় এটি ছিল তাদের কমান্ড পোস্ট। এদের সিসিক্লাব রুমে তিনজন অফিসারকে হত্যা করা হয়। এরাই ৫৭ সেনা কর্মকতার অধিকাংশের হত্যাকারী।"

বিদ্রোহীদের শাস্তি দাবি করে তিনি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি উদ্বৃতি তুলে ধরে বলেন, "মানুষের দেহে প্রেতের তাণ্ডব......। এরা সে সময় অমানুষ হয়ে গিয়েছিলো। সে অমানুষদের উপযুক্ত সাজা দিতে হবে।"

অভিযোগ উত্থাপনের পর মইনুল ইসলাম আদালতের আইনকানুন, আসামিদের সুবিধা ও অধিকার সম্পর্কে সবাইকে জানান।

কারো কোনো প্রশ্ন আছে কি না তিনি জানতে চাইলে আসামিদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন, "বিদ্রোহের সময় মেজর কামরুজ্জামানকে আমার ঘরে আশ্রয় দিয়েছিলাম। আমি তাকে সাক্ষী মানতে পারবো কিনা?"

তখন আদালত তাতে সম্মতিসূচক বক্তব্যে বলে, যে কাউকে সাক্ষী করা যাবে।

অন্য একজন তিন মাস ধরে বেতন না পাওয়ার কথা জানালে আদালত এ বিষয়টি সমাধানের জন্যে প্রসিকিউটরকে নির্দেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে এক হাবিলদার জানতে চান, তার হৃৎপিণ্ডে চারটি ব্লক ধরা পড়েছে। এক্ষেত্রে বিডিআরের অনুদান তিনি পাবেন কি না।

তখন মেজর জেনারেল মইনুল বলেন, "কর্মরত অবস্থায় বা কারাগারে থাকুন না কেন, সবাই চিকিৎসার সব সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে সব খরচও দেওয়া হবে।"

আসামিদের উদ্দেশে আদালত প্রধান বলেন, "আপনাদের অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন, কখনো আর কোনো আইনের আওতায় আসবেন না। কিন্তু এই আদালত এটাই প্রমাণ করবে, যে কেউ আইনের বাইরে নয়। সব অনিয়মের বিচার হবে।"

আদালতের কার্যক্রমের শুরুতেই নিয়মকানুন বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে মেজর জেনারেল মইনুল বলেন, এখানে অনেকগুলো সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। কারো কোনো আপত্তিজনক কার্যক্রম দেখা গেলে ৬ মাস পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া হতে পারে।

বিচার কাজে আদালত প্রধানকে সহায়তা করেন বিডিআর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম গোলাম রব্বানী ও মেজর সাইদ হাসান তাপস।

অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ উল্লাহ কিসলু।

আদালতে প্রসিকিউটরকে সহায়তা করেন স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ টিপু ও অ্যাডভোকেট মঞ্জুর-ই আলম।

গত বছরের ২৫-২৬ ফেব্র"য়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরে নিযুক্ত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৩ জন নিহত হন।

গত বছরের ২৫-২৬ ফেব্র"য়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরে নিযুক্ত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৩ জন নিহত হন।

এরপর বিডিআর আইনে বিদ্রোহের বিচারে গত বছরের নভেম্বরে সরকার ঢাকায় দুটিসহ ছয়টি বিশেষ আদালত গঠন করে। বিদ্রোহের সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর কারাদণ্ড। হত্যাকাণ্ড ও লুটপাটের বিচার হবে প্রচলিত আইনে।

বিদ্রোহের ঘটনায় ইতিমধ্যে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, ফেনী ও সাতক্ষীরায় চারটি মামলার রায় হয়েছে।
__________________
Armchair selectors name their XI and conduct heated selection meetings on internet. Blood young players, some experts cry. Pick the best players, regardless of age, insist others.
Reply With Quote