অতি পরিশ্রমেই সাকিবের চোট!
খুলনা থেকে প্রতিনিধি | তারিখ: ২৭-১১-২০১২
০ মন্তব্য
প্রিন্ট
ShareThis
Share on Facebook
prothom-alojobs news details small ad
« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
হূদয়ে পরাজয়ের ক্ষত, কিন্তু মুখে সেটা আড়াল করে কলকাতা নাইট রাইডার্স সতীর্থ সুনীল নারাইনের রোদচশম
হূদয়ে পরাজয়ের ক্ষত, কিন্তু মুখে সেটা আড়াল করে কলকাতা নাইট রাইডার্স সতীর্থ সুনীল নারাইনের রোদচশমা নিয়ে খুনসুটি করছেন সাকিব আল হাসান। গত পরশু খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে
প্রথম আলো
বড়সড় একটা ক্রেস্ট। দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট উইকেট নেওয়ায় ক্রিকেট বোর্ডের উপহার স্মারক। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ থেকে ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন সাকিব ওই ক্রেস্টটা মাথায় নিয়ে। এর আগেই ঘোষণা এসে গেছে চোটের কারণে প্রথম দুই ওয়ানডেতে নেই সাকিব। ক্রেস্ট মাথায় করে ফেরার দৃশ্যটা যেন দারুণ প্রতীকী হয়ে উঠল। দেশের বোঝা মাথায় নিয়েই তো চোটটা বাঁধিয়েছেন সাকিব আল হাসান!
সাকিবের ‘ওয়ার্কলোড’ নিয়ে ফিসফাস কিছুদিন ধরেই। সিরিজ শুরুর আগে সাকিবের চাপ কমানোর জন্য অন্যদের আরও বেশি দায়িত্ব নেওয়ার তাগিদ দিয়েছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সর্বনাশ এর মধ্যেই হয়ে গেছে। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, দীর্ঘদিন ধরে অতি পরিশ্রমের কারণেই সাকিবের এই চোট। প্রাথমিকভাবে প্রথম দুই ওয়ানডের বাইরে রাখা হলেও আসলে এই সিরিজে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। সাকিবের পরিবর্ত হিসেবে প্রতিশ্রুতিশীল বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মমিনুল হকের দলে আসাটা অনেকটাই নিশ্চিত। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে আজ।
খুলনা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে হঠাৎ জানা যায়, ডান পায়ের শিনবোনে চোট নিয়ে এমআরআই করাতে গিয়েছেন সাকিব। পরদিন সকালেই প্রথম দুই ওয়ানডে থেকে ছিটকে যাওয়ার ঘোষণা আসে। চোটটা নিয়ে একটু ধন্দ ছিল। কারণ মাঠে কোনো আঘাত পেতে দেখা যায়নি সাকিবকে। এখন জানা যাচ্ছে, এই চোট দীর্ঘদিনের অতি পরিশ্রমের অবধারিত কুফল। একটা তথ্যে আরও ভালো করে বোঝা যায় পরিশ্রমের মাত্রা। এ চোটটা সাধারণত হয় পেসারদের, কিন্তু স্পিনার হয়েও সাকিব এটার শিকার!
প্রাথমিকভাবে খুলনার চিকিৎসকেরা দেখেছেন, কিন্তু এখানকার চিকিৎসকেরা এ ধরনের চোট আগে কখনো দেখেনইনি। গতকাল তাই ঢাকা ফিরে গেছেন সাকিব। আপাতত থাকবেন বিশ্রামে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীর আবার খুলনায় চলে আসার কথা দলের সঙ্গে থাকতে। সাকিবের সঙ্গে তাঁর দেখা হতে হতে তাই ১ ডিসেম্বর। এরপর ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এ ধরনের চোটের সর্বোচ্চ দাওয়াই সাধারণত দুই মাসের বিশ্রাম। তবে ক্ষেত্রবিশেষে অস্ত্রোপচারও করাতে হয়। সে ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। সাকিবের চোটের মাত্রার ওপর নির্ভর করছে আপাতত সবকিছু।
তিন ধরনের ক্রিকেটেই দলের ব্যাটিং ও বোলিংয়ের মূল ভরসা তিনি, ফিল্ডিংয়েও দলের অন্যতম সেরা। সোনার ডিম পাড়া হাঁসের ‘পেট কাটার’ প্রক্রিয়া চলেছে তাই আস্তে আস্তে। বাংলাদেশ অধিনায়কও আসলে অসহায়, সবে ধন এই নীলমণির ওপর ভরসা না করলে যে চলেই না! শুধু বোলিংয়ের একটা পরিসংখ্যান দেওয়া যেতে পারে, দেশের একসময়ের মূল স্পিনার মোহাম্মদ রফিক অবসর নেওয়ার পর (২০০৮ সালের মার্চ থেকে) তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে ১০৫১.৩ ওভার বোলিং করেছেন সাকিব। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, সবচেয়ে বেশি ওভার করা নিকটতম বোলারের চেয়ে যা ৫৮২.১ ওভার বেশি!
অতি ব্যবহারের খেসারত দিতে হচ্ছে সাকিবকে হারিয়ে। কত দিনের জন্য, এখন শুধু শঙ্কাভরে সেদিকে তাকিয়ে থাকা।
পাঠকের মন্তব্য
পাঠকদের নির্বাচিত মন্তব্য প্রতি সোমবার প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত হচ্ছে।
সাইনইন
মন্তব্য প্রদানের জন্য সাইনইন করুন
|