View Single Post
  #18  
Old February 3, 2012, 12:34 AM
idrinkh2O's Avatar
idrinkh2O idrinkh2O is offline
Test Cricketer
 
Join Date: April 9, 2011
Favorite Player: Performing Tigers
Posts: 1,879

শিক্ষক একজন, শিক্ষার্থী দুই শতাধিক!
--------------------------------------------------------------------------------
নান্দাইল সংবাদদাতা
বাংলানিউজটোয়েন্ট ফোর.কম



নান্দাইল (ময়মনসিংহ): শিক্ষক একজন, শিক্ষার্থী দুই শতাধিক! ভাবতেই অবাক লাগে। এমনই দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নের চরকমর ভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বিগত ২ বছর ধরে বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক একাই পুরো বিদ্যালয়ের ধকল সামলাচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক ছিলেন মাত্র ৩ জন। এর মধ্যে ২ শিক্ষক দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষা অফিস ম্যানেজ করে সুবিধাজনক স্কুলে চলে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে দিন দিন ঝরে যাচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

একমাত্র শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসে মাসিক সমন্বয় সভা ও অন্যান্য দাপ্তরিক কাজে চলে গেলে স্কুল চালান চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক রহিমা আক্তার (৩৬)।

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা থেকে জনপ্রতি ২০ টাকা করে কেটে নিয়ে দেওয়া হয় রহিমার সম্মানী ভাতা।

বুধবার সরজমিনে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে আসেনি একমাত্র সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। ফলে বহিরাগত শিক্ষক রহিমা আক্তার (৩৬) দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর হট্টগোল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাসে ৪২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৬ জন উপস্থিত। তাদের কাছে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম জানতে চাইলে কেউ সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।

বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষকের অভাব থাকায় আমরা জ্ঞানার্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’

চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসে ৩৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ জন উপস্থিত। তাদের দেশের রাষ্ট্রপতির নাম জিজ্ঞেস করলে এক নম্বর রোলধারী তাওহিদা আক্তার জানায়, এরশাদ। ৪ নম্বর রোলধারী আফজাল হোসেন সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন এরশাদ নয়, আরেক জন। তবে রাষ্ট্রপতি কে তা সে বলতে পারেনি।

পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাসে ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত রয়েছে ৮ জন। ওই ক্লাসে জাতির জনকের নাম বলতে পারেনি কেউ। একাত্তরে কার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল প্রশ্ন করা হলে ৪ নম্বর রোলধারী সুমী আক্তার উত্তর দেয় জিয়াউর রহমান।

উপজেলার চরকমর ভাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদিন মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, ‘এটা আমাদের ছেলেমেয়েদের ভাগ্যের দোষ। শিক্ষকরা এ বিদ্যালয়ে কিছুদিন থাকার পর অন্য বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে চলে যায়। ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ে আসে আর যায়।’

চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক রহিমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, ‘এলাকার ছেলেমেয়েরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় বিবেকের তাড়নায় বিদ্যালয়ে যাচ্ছি।’

সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ১ম শ্রেণীতে ৮০, ২য় শ্রেণীতে ৬০, ৩য় শ্রেণীতে ৪২, ৪র্থ শ্রেণীতে ৩৬ এবং ৫ম শ্রেণীতে ১৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আতাউল মজিদ বাংলানিউজকে জানান, ১৯৭৩ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ বিদ্যালয়ে ১ জন শিক্ষক রয়েছে।

মাঝেমধ্যে ডেপুটেশনে একজন আসেন আবার কীভাবে যেন চলেও যান।

বিষয়টি উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।

এদিকে, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ এমদাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, শিগগিরই ওই বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে একজন শিক্ষক দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা কেটে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের বেতন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পাশে বসা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এটিও) মাকসুদা বেগম উত্তেজিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানান।
__________________
-- Alwayz with !!! Champions are made from something they have deep inside them - a desire, a dream, and a vision!
-- Bangladesh are the Runners-up in the 2012 ASIA Cup!
Reply With Quote