টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে জাতীয় দলের পরিকল্পনা
বাংলানিউজ২৪: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমস্ত কার্যক্রম এখন থেকে আবর্তিত হবে সেপ্টেম্বরের টি-টোয়েন্টিবিশ্বকাপ ঘিরে। অন্তত আগামী তিন মাস জাতীয় দলের কোনো বড় দৈর্ঘ্যরে ম্যাচ থাকবে না। জুনে জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি, ইউরোপে ওয়ানডে এবং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সীমিত থাকছে জাতীয় দলের কার্যক্রম।
২৭ জন ক্রিকেটার নিয়ে ২০ মে থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের আয়োজন করছে বিসিবি। পর্যায়ক্রমে তালিকা ছোট করে আনবেন নির্বাচকরা। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্যস্কোয়াড ঘোষণা করা হতে পারে। ১২ অথবা ১৩ জুন হারারের উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন ক্রিকেটাররা। সেখানে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটি ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে ১৮ থেকে ২৪ জুন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে বাংলাদশ। পরের দিন ১৯ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিও বাংলাদেশের। দ্বিতীয় লেগে বাংলাদেশের ম্যাচ দুটি হবে ২১ ও ২২ জুন। দুই লেগের খেলায় পয়েন্টে এগিয়ে থাকা দুই দলের মধ্যে ফাইনাল হবে ২৪ জুন। লিগে জিম্বাবুয়ে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে পয়েন্ট বাগাতে পারলে বাংলাদেশের ফাইনালে খেলাওঅসম্ভব হবে না। ফাইনালে উঠতে পারলে সফরে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলা হবে বাংলাদেশের।
পরের মাসে আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে ১০ থেকে ১২ জুলাই এর মধ্যে আয়ারল্যান্ডে পৌঁছাতে। একটু আগে যেতে পারলে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ক্রিকেটারদের জন্য কিছুটা সহজ হবে। আপাতত ২০,২২ ও ২৪ জুলাই আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ ঠিক হয়ে আছে। শেষপর্যন্ত ম্যাচগুলো এগিয়েও আসতে পারে। বর্তমান সূচি ঠিক থাকলে ২৬ ও ২৭ জুলাই স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলে দেশে ফিরবে জাতীয় দল।
২৫ আগস্টে বিসিবি একাদশ যাবে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপ দেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে তাদের দলের সঙ্গে। প্রথম ম্যাচ হবে ৩০ আগস্ট। ১ ও ২ সেপ্টেম্বর হবে বাকি ম্যাচ দুটি।
সেখান থেকে ফিরে জাতীয় দল চলে যাবে শ্রীলঙ্কায়। সম্ভব হলে একটু আগেই বিশ্বকাপ ভেন্যুতে দল পাঠাবে বিসিবি। বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে এবং আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দুটিপ্রস্তুতি ম্যাচের সুযোগ রেখেছে আইসিসি। তারও আগে আফগানিস্তান ও আইরিশদের সঙ্গে দুটি ২০ ওভারের ম্যাচের ব্যবস্থা হলে মন্দ হয় না।
__________________
ক্রিকেট ই আমার একমাত্র প্রেয়সি। ক্রিকেট আমার ধ্যান, ক্রিকেট আমার জ্ঞান।
|