Wow!!! Sometimes people like me just take everything for granted! Alhamdulillah for all the privileges God has given me!
-----------------
‘এবার মামা শু কিনে দিয়েছেন’
ক্রীড়া প্রতিবেদক | তারিখ: ২৮-০৫-২০১১
আরিফুল ইসলাম (অরেঞ্জ)
গতবার রানিং শু ছিল না। খালি পায়ে দৌড়ে তৃতীয়। এবার মামার দেওয়া শু নিয়ে দৌড়ে প্রথম হয়েছে কুড়িগ্রামের তরুণ আরিফুল ইসলাম (অরেঞ্জ)। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকসের দ্রুততম মানব বলল তার আশা আর স্বপ্নের কথা
একটু আগে প্রথম হওয়ার পর তুমি কাঁদছিলে। বিশেষ কিছু মনে পড়েছিল?
আরিফুল ইসলাম: ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, কী বলব। এত ভালো লাগছে, গুছিয়ে বলা কঠিন। আসলে আমি অনেক কষ্ট করে আজকের এই জায়গায় এসেছি তো, তাই আনন্দে কেঁদে ফেলেছি।
অনেক কষ্ট করে এই জায়গায় এসেছ বললে। কী ধরনের কষ্ট?
আরিফুল: আমাদের পরিবারের অবস্থা বেশি ভালো নয়। চার ভাইয়ের মধ্যে আমি দ্বিতীয়। বড় ভাই অনার্সে, তারপর আমি এসএসসি পাস করেছি, সেজো ভাই নাইনে, ছোটটি কেজিতে পড়ে। বাবা রেলে চাকরি করেন। বেতন পান সাত হাজার টাকা। গতবার অভাবের কারণে একটা শু পর্যন্ত ছিল না আমার। এটা অনেক দুঃখের ব্যাপার।
এবার তো শু আছে। এটা কে দিয়েছে?
আরিফুল: ৫০০ টাকা দিয়ে এবার আমার মামা নুরন্নবী সরকার শু কিনে দিয়েছেন। তিনি আমাকে অনেক হেল্প করেছেন। মামা আগে খেলোয়াড় ছিলেন। তাই খেলা সম্পর্কে জানেন। আমাকে অনেক কিছু শেখান।
তুমি অ্যাথলেটিকসে এলে কীভাবে?
আরিফুল: এমনিতে ফুটবলের পাশাপাশি টুকটাক অ্যাথলেটিকস করতাম। ইন্টার স্কুলে খেলেছি। স্থানীয় বাবু ভাই আমাকে অ্যাথলেটিকসে নিয়ে এসেছেন গত বছর। বলতে পারেন, বাসা থেকে ধরে এনেছেন বাবু ভাই।
ফৌজিয়া হুদা জুঁইকে চেনো? কুড়িগ্রামের বিখ্যাত মেয়ে...
আরিফুল: চিনব না আবার! তাঁর (এসএ গেমসে লং জাম্পে রুপাজয়ী) কাছে আমি মাস খানেক প্র্যাকটিস করেছি। কুড়িগ্রাম সদরের দালালিপাড়ায় আমাদের বাড়ির পাশেই তাঁর বাড়ি। উনি আমার আদর্শ। আমার প্রিয় অ্যাথলেট।
তোমার ভবিষ্যৎ ইচ্ছা কী?
আরিফুল: জুঁই আপার মতো বড় অ্যাথলেট হওয়ার স্বপ্ন দেখি। হানড্রেড মিটারে দেশের সেরা হয়ে কুড়িগ্রামের মুখ উজ্জ্বল করার স্বপ্নও আছে। বিজেএমসিতে একটা চাকরি চাই এবং তাদের হয়ে খেলার ইচ্ছা আমার।
বিজেএমসিতে যাওয়ার আগ্রহটা কেন?
আরিফুল: বিজেএমসির কোচ ফরিদ খান চৌধুরী আমাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। বিজেএমসিতে এর আগে আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার জন্য গ্যাপ যাওয়ায় সেখানে আমার চাকরিটা হয়নি। আমাদের পরিবারের অভাব-অনটন থাকায় বিজেএমসিতে চাকরিটা পেলে খুবই উপকার হবে। আমার খেলাধুলার জন্যও এটা ভালো হবে।
গতবার এই প্রতিযোগিতায় খেলেছ। এবার এসে কেমন লাগছে?
আরিফুল: গতবার আনন্দটা বেশি ছিল। এবার একটু কম। তবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে আবার দৌড়াতে পারা অনেক বড় প্রাপ্তি আমার জন্য।
এ দেশে তো অনেক সমস্যা। পারবে সব বাধা এড়িয়ে এগিয়ে যেতে?
আরিফুল: সব বাধা পেরিয়েই এগিয়ে যাব। আমি পারব। আমি নিজের আগ্রহেই কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে অনুশীলন করি। সাতসকালে যখন স্টেডিয়ামে যাই, কেউ থাকে না। দারোয়ানকে স্যাররা বলে দিয়েছেন, আমি এলে যেন গেট খুলে দেয়।
Source