'অপারেশন ওয়ার্ল্ড কাপ' শিরোনামে ইন্ডিয়া টিভির গোপনে ধারণ করা এই প্রতিবেদনে এসেছে আরো এক বাংলাদেশির নাম। বিপিএলের দল ঢাকা ওয়ারিয়র্সের মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজউদ্দিন খান আড্ডাচ্ছলে বলেছেন, পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ ম্যাচ পাতানোয় রাজি। কিন্তু শেষমেশ এসএলপিএলে খেলেননি এই পাকিস্তানি। বিপিএল চলাকালে তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি, রানা নাভিদ-উল হাসান এবং আহমেদ শেহজাদের অনৈতিক কার্যকলাপের কথাও একই আড্ডায় বলেছেন মিনহাজ। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য, 'ওরা নিজেদের এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। সে কারণেই বাংলাদেশি আম্পায়ারদের এসএলপিএলে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টির জন্য আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু আলাপকালে তাদের সন্দেহ হওয়াতে আমি সরে আসি। নাদির ভাই আগেই কথা বলে ফেলেছিলেন। তবে আমার নিষেধ শুনে সৈকত ভাই (শরফুদ্দৌলা) আর ওদের সঙ্গে কথা বলেননি।'
এদিকে ইন্ডিয়া টিভির গোপনে ধারণ করা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ গতকাল বিকেলেই ই-মেইলের মাধ্যমে চলে আসে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে ক্রিকেট মহলে। এখনই এই 'টেক্সট'কে সব কিছু মনে করতে রাজি নন বিসিবি পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, 'ওই টিভি তো আমাদের দেশে দেখা যায় না। আগে ফুটেজ দেখি, এরপর মন্তব্য করা যাবে।' উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সময় গতকাল রাত সাড়ে ৭টায় সম্প্রচারিত হয়েছে ইন্ডিয়া টিভির 'অপারেশন ওয়ার্ল্ড কাপ'।
নাদির শাহের কথোপকথনের অংশবিশেষ
ইন্ডিয়া টিভি : স্যার, বিপিএলে তো অনেক ম্যাচ পাতানো হয়েছে, তাই না?
নাদির : হ্যাঁ, হয়েছে। দুজনকে ধরাও হয়েছিল। ফিক্সিং কে করেছে জানি না। একজনের নাম শুনেছি, জামশেদ। ওই বাঁহাতি ওপেনার।
প্রশ্ন : নাসির জামশেদ।
নাদির : হ্যাঁ, নাসির জামশেদ।
প্রশ্ন : পাকিস্তানি ওপেনার?
নাদির : হ্যাঁ।
প্রশ্ন : তার পরও পাকিস্তান কেন নাসিরকে নিষিদ্ধ করল না?
নাদির : প্রয়োজনীয় তথ্য না পাওয়ার কারণে পাকিস্তান এটা করেনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড হাতে প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করেছে। ক্রিকেট বোর্ড এবং বিপিএলের দুর্নাম হবে বলে এটা করেনি।
প্রশ্ন : এসএলপিএলে আমাদের খেলোয়াড়কে আপনি কিভাবে সাহায্য করতে পারেন?
নাদির : এলবিডাবি্লউ।
প্রশ্ন : আর?
নাদির : রান আউট, হালকা ইনসাইড এজ- শুনি নাই, তাই আউট দেব না। কাউকে ফেভার করতে চাইলে আম্পায়ার যা খুশি করতে পারে।
|