[Naimul_Hd]

জাতীয় দল নির্বাচনে টেকনিক্যাল কমিটির সম্পৃক্ততা বাতিল

---

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্ট� �ফোর.কম
ঢাকা: জাতীয় দল নির্বাচকদের জন্য গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছিলো টেকনিক্যাল ও মূল্যায়ন কমিটি। নির্বাচকদের কাজে অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ লেগেই থাকতো। জাতীয় দল নির্বাচনে এখন থেকে টেকনিক্যাল ও মূল্যায়ন কমিটি অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। জাতীয় দল নির্বাচনে বিশেষ কমিটির সম্পৃক্ততা আর থাকছে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র কার্যনির্বাহী কমিটির ৩২তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য জাতীয় দল গঠন নিয়ে টেকনিক্যাল ও মূল্যায়ন কমিটির একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপের পর অনেকটা বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আকরাম খানের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি হাঁফছেড়ে বাঁচলেন।

জাতীয় দল চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে টেকনিক্যাল ও মূল্যায়ন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ম রেখেছিলো বিসিবি। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়ে জাতীয় দল নির্বাচনের অংশ থেকে টেকনিক্যাল কমিটিকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিচালক বাংলানিউজকে বলেন,“নির্বাচকদের সহযোগিতার জন্য টেকনিক্যাল কমিটিকে সম্পৃক্ত করা হলেও পরে দেখা গেছে অযাচিত হস্তক্ষেপ বেশি হচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় নির্বাহী কমিটি বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচকরা এখন থেকে স্বাধীন ভাবে কাজ করবে।”

এই একটি বিষয় ছাড়া বাকি কাজে টেকনিক্যাল কমিটির সম্পৃক্ততা থাকবে। প্রথমবারের মতো (শুক্রবার) সিলেটে অনুষ্ঠিত বিসিবি নির্বাহী কমিটির সভায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যতম হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)‘র প্রস্তুতি কমিটি স্থগিত। বিসিবি সহ-সভাপতি আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকে প্রধান করে বিপিএল প্রস্তুতি কমিটির প্রস্তাবনা ছিলো। সূত্র জানায় সভায় বিপিএল প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে পরিচালকদের একটি প্রভাবশালী মহল হট্টগোল বাঁধান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিপিএল প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন হয়নি। ভেতরের খবর হলো সাজ্জাদুল আলমকে কমিটির প্রধান হিসেবে বিদ্রোহী পরিচালকদের পছন্দ নয়। ফোরাম থেকে নির্বাচিত পরিচালকদের দিয়ে বিপিএল কমিটি গঠনের জন্য চাপ দেওয়া হয় সভায়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয় জিম্বাবুয়ে সফরে জাতীয় দলের সঙ্গে একজন নির্বাচককে পাঠানো হবে। টিম-ম্যানেজমেন্টের অতিরিক্ত সদস্য হিসেবে যাচ্ছেন নির্বাচক। হেড অব ডেলিগেশন করা হয়েছে বিসিবির গ্রাউন্ডস এন্ড ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান মুন্নাকে। টিম-ম্যানেজমেন্টের আট সদস্য হলেন: প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল, সহকারী কোচ সারওয়ার ইমরান, ফিল্ডিং কোচ জেসন সুইফট, ট্রেনার গ্র্যান্ট লুডেন, ভিডিও অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদ, ফিজিও এবং ম্যানেজার তানজিব আহমেদ সাদ।

এদিকে বিসিবি মিডিয়া বিভাগে সাংবাদিকদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রস্তাব করেন পরিচালক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। বিসিবিতে সাংবাদিকদের উপস্থিতি পছন্দ নয় তার। সূত্র জানায়, এ নিয়ে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে টুটুলের তীব্র বাকযুদ্ধ চলে। গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর সঙ্গেও একচোট হয় টুটুলের। একাডেমির কাজে লিপুকে সম্পৃক্তকরণ এবং কাজের স্বচ্ছতা দাবি করে বোর্ড পরিচালক এবং গেম-ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন টুটুল।

বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য খসড়া কপি প্রদান করা হয়েছে পরিচালকদের মধ্যে। টুটুল জানান, গঠনতন্ত্র পর্যবেক্ষণ শেষে বোর্ডের পববর্তী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

বিশেষ একজন পরিচালকের অশালীন মন্তব্য এবং কাজের পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় কয়েকজন সিনিয়র পরিচালক পদত্যাগের কথা ভাবছেন। তাদের একজন বাংলানিউজকে বলেন,“নির্বাহী কমিটির সভায় যেভাবে একজন পরিচালক কথা বলেন এবং অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন এতে করে মানসম্মান নিয়ে কাজ করা যাবে না। শিগগিরই দেখতে পাবেন কয়েকজন পরিচালক পদত্যাগ করছেন।“

উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনকে পদন্নোতি দিয়ে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় দলের ভিডিও অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয় সভায়।

http://www.banglanews24.com/detailsn...49369&toppos=1