March 21, 2011, 11:07 PM
|
|
Cricket Guru
|
|
Join Date: August 27, 2007
Posts: 14,497
|
|
আলোচনায় তাঁদের জীবনযাত্রাও
Quote:
বাংলাদেশ দলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, দলের অনেক ক্রিকেটারই ব্যক্তিগত জীবনের নিয়মশৃঙ্খলাগুলো ঠিক মানেন না। রাত জাগার অভ্যাস আছে অনেকের, সকালে ঘুম থেকে উঠতেও তাই দেরি হয়। সময়মতো খাওয়া-টাওয়া নিয়েও অনেকের গাফিলতি আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগের রাতে ম্যানেজারের অনুমতি না নিয়ে দলের দুই ক্রিকেটার অনেক রাত পর্যন্ত একজন ক্লাব কর্মকর্তার আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।
ঢাকায় ৫৮ আর ৭৮-এর অঘটন ঘটলেও চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ সাফল্য এক শতে এক শ। চট্টগ্রামে খেলার বাইরের দিনগুলোতেও বেশির ভাগ সময় দলের সবাই একসঙ্গে কাটিয়েছেন। কোথাও গেলে দল বেঁধে গেছেন। দুই ম্যাচ জেতার পর অনেক খেলোয়াড়ও বলেছেন, চট্টগ্রাম তাঁদের অন্য রকম অভিজ্ঞতা দিয়েছে। একসঙ্গে থাকায় পারস্পরিক বোঝাপড়াটা দৃঢ় ছিল সেখানে। ঢাকায় সেটারই অভাব থেকে গেছে। দলীয় বন্ধন এখানে কিছুটা যেন শিথিল। একই শহরে বলে ছুটির দিনগুলোতে বেশির ভাগ ক্রিকেটার, টিম স্টাফ্রচলে গেছেন নিজ নিজ বাসায়। সারা দিন বাসায় থেকে রাতে ফিরেছেন হোটেলে। টিম ডিনার, খেলা আর অনুশীলন ছাড়া ক্রিকেটাররা একজন আরেকজনের খোঁজখবর খুব কমই রেখেছেন। মাঠের বাইরে ‘টিম বাংলাদেশ’ হয়ে ওঠাটা সে কারণেই হয়তো হয়নি। কে জানে, মাঠের পারফরম্যান্সেও হয়তো প্রভাব পড়েছে এসবের।
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার তানজীব আহসানের অভিজ্ঞতা বলছে, দলের কোনো ক্রিকেটার কখনোই শৃঙ্খলাবহির্ভূত কিছু করেন না। অন্য দলের অনেক খেলোয়াড়ের শৃঙ্খলা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন থাকলেও বাংলাদেশ দলে সে রকম ক্রিকেটার একজনও নেই। তবে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবনের প্রশ্নটা তিনিও এড়িয়ে যেতে চাইলেন, ‘একেক জনের জীবন একেক রকম হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সময়ে আমরা বই পড়ে, একসঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়েছি। এখন হয়তো ছেলেরা রুমে বসে গেমস খেলে। এখানে তো কিছু বলার নেই।’
|
|