Prothom-alo published similar report:
হেইন্সকে রস টার্নারের ‘সৌজন্য’!
বিসিবির শ্রীলঙ্কান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার নিকটাত্মীয় একজন, খেলেন শ্রীলঙ্কায় বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে। ঢাকার প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে খেলা বাকি পাঁচ বোলারও মাঝারিমানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অনুশীলনের জন্য এই ছয় নেট বোলারকে নির্বাচন করা হয়েছে একটা নীতি মেনে—এঁদের কেউই বাঁহাতি স্পিনার নন। বাংলাদেশ দলের মূল শক্তি বাঁহাতি স্পিন। সিরিজের আগে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের সেটাতে অভ্যস্ত হতে দিতে চায়নি বিসিবি।
কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অনুশীলনে কাল ‘সাহায্যের হাত’ বাড়িয়ে দিলেন জিপি-বিসিবি একাডেমির প্রধান কোচ রস টার্নার। কাল সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নেট প্র্যাকটিসে ওই ছয়জনের বাইরেও পাঠিয়ে দিলেন একাডেমির পাঁচ স্পিনারকে! তাঁদের মধ্যে তিনজনই বাঁহাতি—সানজামুল ইসলাম, শাকের আহমেদ ও ফজলে রাব্বী। সঙ্গে ছিলেন লেগ স্পিনার সাব্বির রহমান ও অফ স্পিনার আসিফ আহমেদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেটে এই বোলারদের পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্ট কাউকেই জানাননি রস টার্নার। অথচ সফরকারী দলের নেটে কারা বল করবে, কৌশলগত কারণে সেটা তাঁরাই নির্ধারণ করেন।
একাডেমির বোলারদের বল করতে দিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের সুবিধা করে দেওয়া হলো কি না—জানতে চাইলে চটেই গেলেন টার্নার। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘এটা কী ধরনের প্রশ্ন হলো...!’ পরে অবশ্য দিলেন ব্যাখ্যাটা, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং কোচ ডেসমন্ড হেইন্স আমাকে কয়েকজন স্পিন বোলার দিতে অনুরোধ করেন। আমারও মনে হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের ব্যাটসম্যানদের বল করাটা আমাদের বোলারদের জন্য বোনাস হবে। আর একাডেমির বোলাররা যেহেতু জাতীয় দলে নেই, এতে আমাদের শক্তিমত্তা প্রকাশ পাবে না।’
রস টার্নারের কথা হয়তো একদিক দিয়ে ঠিক। কিন্তু নির্বাচকেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনুশীলনে বাঁহাতি স্পিনার না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও একাডেমির পাঁচ স্পিনার নেটে পাঠানোটা মানতে পারছেন না কেউ। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক সাব্বির খান বলেছেন, ‘গেম ডেভেলপমেন্টের কাছে আমরা নেট বোলার চাইলেও তারা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছিল। একাডেমি থেকে যে নেটে বোলার দেওয়া হবে, এটাও ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগ জানত না।’ বিসিবি থেকে দেওয়া হয়েছিল ৬ নেট বোলার। রস টার্নারের ‘সৌজন্যে’ কাল সংখ্যাটা ১১ হয়ে যাওয়ায়ও চিন্তিত সাব্বির। এখন তো প্রতিদিনই নেটে ১১ জন বোলার চাইবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক আকরাম খানও, ‘বিদেশে গেলে আমরা সব সুযোগ-সুবিধা পাই না। আমরাও বিদেশি দল এলে অনেক সময় এটা করি। ব্যাপারটা ওনার (রস টার্নার) বোঝা উচিত ছিল।’ সঙ্গে বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নেটে আমরা ইচ্ছা করেই বাঁহাতি স্পিনার রাখিনি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা না বলে একাডেমির বোলারদের ওখানে পাঠানো ঠিক হয়নি। আমাদের পলিসির বাইরে গিয়ে তিনি কাজটা করেছেন।’
http://www.prothom-alo.com/detail/da...07/news/191809