September 7, 2011, 02:05 PM
|
|
Cricket Legend
|
|
Join Date: March 11, 2004
Location: somewhere in the GaLaXy
Favorite Player: TIGERS !!
Posts: 5,039
|
|
more news on the issue:
Quote:
হোম খেলার খবর হার্ডলাইনে যাচ্ছে বিসিবি
হার্ডলাইনে যাচ্ছে বিসিবি
লেখক: স্পোর্টস রিপোর্টার | বৃহস্পতি, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১১, ২৪ ভাদ্র ১৪১৮
প্রসঙ্গ : ক্রিকেটারদের আচরণবিধি লংঘন
ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে আরো হার্ডলাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অতীতে ক্রিকেটাররা কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙ্গার পরও বিসিবি উদাসীনতা দেখিয়েছে, তবে এখন থেকে আর ছাড় দিবে না তারা। টিম ম্যানেজমেন্টের রিপোর্টের উপরভিত্তি করে বিসিবি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবালকে তাদের পদ থেকে অপসারণ করে। এবার তারা কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙ্গার কারণে ক্রিকেটারদের শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। টিম ম্যানেজমেন্টের রিপোর্টে ক্রিকেটাররা আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। সেই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে বিসিবির ডিসিপ্লিন কমিটি ব্যবস্থা নিবে। কোড অব কন্ডাক্টের আইন অনুযায়ী কোন খেলোয়াড় যদি আচরণবিধি ভঙ্গ করে তাহলে সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে। ডিসিপ্লিন কমিটির চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর জানালেন, ‘আমরা কোর্ড অব কন্ডাক্ট ভাঙ্গার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। সেখানে আচরণবিধি পরিমাপ করে কার কি ধরনের শাস্তি দেয়া উচিত সেটির ব্যবস্থা করবো’।
জানা যায়, অতীতের মত জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ওপেনার ও সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ তিন-চারজন ক্রিকেটার কোড অব কন্ডাক্ট ভেঙ্গেছেন। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিবে বলে জানালেন বিসিবির ডিসিপ্লিন কমিটির চেয়ারম্যান। গত সোমবার বিসিবির সভায় অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ককে অপসারণের পর গত মঙ্গলবার অধিনায়ক সাকিব মিডিয়াতে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সেখানে তিনি বেশ কিছু কথা বলেছেন যা ডিসিপ্লিন কমিটি দেখছে কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙ্গার সামিল হিসেবে। সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর গতকাল বলেন, ‘অধিনায়ক যেসব কথাবার্তা বলেছেন, সেটিও কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙ্গার আওতায় পড়ে। আগে ক্রিকেটারদের অনেক ছাড় দেয়া হয়েছে, কিন্তু এখন থেকে বিসিবি কঠিন পদক্ষেপ নিবে। অতীতের মত আর তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না’।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ একমাত্র টেস্ট ও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি হেরে যায়। মূলত ক্রিকেটাররা শৃংখলা ভঙ্গ এবং বাজে পারফর্মেন্সের কারণে দল হেরেছে। তাছাড়া টিম ম্যানেজমেন্টের পারফর্মেন্স মূল্যায়ন কমিটির রিপোর্টের কারণেই বিসিবি এবার হার্ডলাইনে যাচ্ছে। টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকে জানালেন, আমাদের রিপোর্টে অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক এবং ম্যানেজারের ভূমিকার ব্যাপারে কথা রয়েছে। তারা মাঠে এবং মাঠের বাইরে কি ধরনের আচরণ করেছেন সেসব উল্লেখ করা হয়েছে। এখন বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তো বলেনি অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ককে অপসারণ করতে। জানা যায়, প্রথম টেস্টের আগে মোহাম্মদ আশরাফুলকে দলে ঢোকা নিয়ে অধিনায়কের সাথে কোচ, নির্বাচক এবং হেড অব ডেলিগেটেডের সাথে বাকবিতন্ডা লাগে। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, অধিনায়ক সাকিব ও তামিম আশরাফুলকে টেস্টে না খেলানোর ব্যাপারে একমত ছিলেন। এমনকি অধিনায়ক নিজের তৈরি একটি দলও ঠিক করে রেখেছিলেন। পরে বোর্ড পরিচালকদের সহায়তায় এবং প্রধান নির্বাচক আকরাম খানের হস্তক্ষেপের কারণে আশরাফুল টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তি হয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, টেস্টে একমাত্র সফল পারফর্মার আশরাফুলই।
বিশ্বস্ত সূত্র আরো জানায়, নির্বাচক হিসেবে হাবিবুল বাশার সুমনের কথা শুনতেন না অধিনায়ক। ড্রেসিংরুমে তামিম কোচ ষ্টুয়ার্ট ল’র সাথে খারাপ আচরণ করেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রথম ওয়ানডে পর ড্রেসিংরুমে কোচ ল’ ক্রিকেটারদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন কেন এমন হল। উল্টো তামিম তার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। এই কথাগুলো টিম ম্যানেজমেন্টের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ ক্রিকেট, অস্ট্রেলিয়া সিরিজ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এবং ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট খেলার জন্য অধিনায়ককে মাঠে আনফিট লেগেছে। অধিনায়ক হিসেবে তার বিচক্ষণতাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মাঠে নেতৃত্বের গুণাবলীর ঘাটতি দেখা গেছে যা দলের পারফর্মেন্সে প্রভাব পড়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের রিপোর্টে অধিনায়কের ব্যাপারে এসবই উল্লেখ রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়। সেখানে আরো লেখা রয়েছে, অধিনায়ক দলের সতীর্থদের উত্সাহ যোগাবেন অথচ সেটি করতে তিনি ব্যর্থ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক পরিচালক জানালেন, ‘ক্রিকেটারদের আগে দেশের ক্রিকেটের কথা চিন্তা করতে হবে। কিন্তু তারা সেসব ভুলে গেছেন। অধিনায়ক কাউন্টি ক্রিকেট খেলে আসার পর নতুন কোচের সাথে দেখা না করে শ্যুটিং করতে চলে যান, বোর্ডকে তোয়াক্কা করেন না। তিনি দলের জন্য কি করবেন। আমরা অতীতে তাদেরকে শুধরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু তারা সেটি শোনেননি। নিঃসন্দেহে তারা ভালো পারফর্মার, কিন্তু খারাপ মুহূর্ত যে কোন সময় আসতে পারে, তার জন্য তাদেরকে প্রস্তুত থাকা উচিত ছিল’।
আজ থেকে ক্যারিবিয়ান সফরের জন্য প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে। হোম সিরিজের জন্য নতুন অধিনায়কের নাম খুব শীঘ্রই ঘোষণা হবে। ধারণা করা যাচ্ছে, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাপারে বোর্ডের সবুজ সংকেত রয়েছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বোর্ডের সভায় অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা যায়।
|
source: Ittefaq
__________________
GO BANGLADESH GO!!!
------------------------------
Fav.Int.Players: Sachin/Lara/Sir.viv/Ponting/Ambrose/W.Akram/R.Hadlee
|