June 30, 2011, 08:38 AM
|
|
Cricket Legend
|
|
Join Date: February 3, 2011
Favorite Player: ShakTikMashNasir(ShakV2)
Posts: 2,024
|
|
আইসিসির নীতিমালায় ২০১২ সালে বিসিবির নির্বাচন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)‘র পরিচালনা পর্ষদ আগে থেকেই নির্বাচিত। যদিও সর্বোচ্চ পদে আদিষ্ট হন সরকার মনোনীত ব্যক্তি। গঠনতন্ত্রের এই একটি জায়গাতে সংশোধন করতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’কে।
আপত্তি নেই সংশোধন করে নেওয়া হবে বলে হংকং থেকে মুঠোফোনে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। মূলত পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের অপ্রত্যাশিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে ফিফার মতো সদস্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচিত কমিটি চাচ্ছে আইসিসি। হংকংয়ে বার্ষিক সভায় অনুমোদও হয়েছে।
এই একটি জায়গায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানকে ক্রিকেট বোর্ডকে। পিসিবি এবং এসএলসিতে সরকার মনোনিত ব্যক্তিরা নির্বাহী কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের ক্রীড়ামন্ত্রনালয় র অনুমোদন ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত হয় না। আইসিসির এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা গেলে ক্রিকেটও ফিফার মতো কঠিন হতে পারবে। সরকারের হস্তক্ষেপ মুক্ত থাকতে পারবে দেশ দুটির নির্বাচিত কমিটি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
আইসিসি সময় বেঁধে দিয়েছে ২০১২ সালের জুনের মধ্যে সদস্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য। পরের বছর জুনের মধ্যে কমিটি করতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই বিসিবিতে নির্বাচিত সভাপতি দেখা যাবে। ২০১২ সালের নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হবে। আইসিসির এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্পর্কে বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বাংলানিউজকে বলেন,“আইসিসি যদি নির্বাচিত বোর্ড বহাল রাখতে পারে এবং সিদ্ধান্তে কঠোর থাকে তবে আমাদের জন্য ভালো হবে। এখন যেমন কেউ চাইলেই মামলা করে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে দিতে পারে। সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিন্তু আইসিসির নিয়মে কমিটি হলে তার সুযোগ থাকবে না।”
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ১৯৭৪ সালের ক্রীড়া নীতি অনুযায়ী যে কোন ক্রীড়া ফেডারেশনে নির্বাচিত বা মনোনিত কমিটি দায়িত্ব পালন করতে পারবে। সভাপতির বেলাতেও একই নিয়ম প্রযোজন্য। সেক্ষেত্রে বিসিবি সভাপতির পদে নির্বাচন নিয়ে সরকারী ক্রীড়া নীতিমালাতেও পরিপন্থী কিছু নেই।
বিসিবি সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহাবুবুল আনাম আইসিরি এই নিয়ম কার্যকর সম্পর্কে বলেন,“যেহেতু আগামী বছর নির্বাচন আছে। যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি ২০১৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। সরকার পরিবর্তন হলেও কোন সমস্যা হবে না।”
সদস্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচনের নিয়ম কার্যকর করা সম্পর্কে আইসিসির সাবেক সভপতি এহসান মামি বলেছেন,“আইসিসির এই সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্ক এবং বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। বিশেষ করে ক্রিকেট বোর্ড অ্যাফেয়ার্সে সরকারের হস্তক্ষেপ মুক্ত থাকতে পারবে।”
এদিকে আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত বলেছেন,“আইসিসির এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। এর ফলে কার্যকর বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা যাবে।”
ফিফার নীতি বিরোধী কোন কাজ করলে বা নির্বাচিত ফুটবল কমিটিতে সরকারী হস্তক্ষেপ থাকলে সংশ্লিষ্ট দেশের ফুটবল ফেডারেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফিফা। ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম হতে যাচ্ছে।
নির্বাচনের নীতিমালা গঠন এবং নির্বাচিত কমিটি গঠনের জন্য যথেষ্ট সময়ও দিয়েছে আইসিসি।
SOURCE
|