October 7, 2012, 02:12 PM
|
|
Cricket Guru BPL 2015 Fantasy Winner
|
|
Join Date: July 18, 2004
Location: New York
Favorite Player: Shakib, Tamim, Mash
Posts: 14,088
|
|
http://dailykalerkantho.com/?view=de...e_id=1&index=2
বন্ধ হয়েই আবার চালু সাকলায়েনের স্পিন ক্যাম্পবোর্ড-কোচ-ম্যাকিন্স জটিলতা বাড়ছেই
ক্রীড়া প্রতিবেদক : 'কার অনুমতি নিয়ে স্পিন বোলিং ক্যাম্প করাচ্ছেন সাকলায়েন'- ই-মেইল বার্তায় বজ নিনাদ শুনিয়ে দেওয়ার উপায় নেই, তবে রিচার্ড পাইবাসের ভাষার গজরানি ঠিকই আছড়ে পড়েছে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিতে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় সাকলায়েন মুশতাকের অধীনে আবদুর রাজ্জাক, মাহমুদ উল্লাহ এবং ইলিয়াস সানির বিশেষ স্পিন শিক্ষা কার্যক্রম। তবে সন্ধ্যায় জাতীয় দলের কোচের স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিরোধে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার শুরুতেই ওই স্পিন ক্যাম্প পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস। একইসঙ্গে জাতীয় দলের জন্য পরবর্তী পরিকল্পনাও দ্রুত জানাতে বলা হবে রিচার্ড পাইবাসকে।
জাতীয় দলের প্রতিটি সফরের পরই ছুটিতে যান রিচার্ড পাইবাস। তবে সেই ছুটি কার কাছ থেকে নেন কিংবা কবে ফিরবেন, তা কাউকে আগাম জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। এবারও দেশে পৌঁছে ক্রিকেট অপারেশন্সকে এক ই-মেইল বার্তায় পাইবাস জানিয়েছেন, 'কবে ফিরব এখনো ঠিক করে উঠতে পারিনি।' এমনকি, আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতি কবে শুরু হবে, সেটিও জানাননি তিনি, যে আচরণে বোর্ডের সম্মিলিত উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন জালাল ইউনুস, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রস্তুতি কবে শুরু হবে, সেটি কোচ জানাননি। প্রধান নির্বাহীকে বলা হয়েছে যেন তাঁর কাছ থেকে দ্রুত একটা প্রোগ্রাম জেনে নেন।' ছুটির বিষয়টি পাইবাস অন্ধকারে রেখে দেওয়ায় স্পষ্টই বিরক্ত বিসিবির এই পরিচালক, 'চুক্তিতে বছরে ৪৫ দিন ছুটি পাবেন তিনি। এর বেশি ছুটি বিসিবি অনুমোদন দেবে না।'
অনুমোদন তো পরের কথা, রিচার্ড পাইবাস তো অনুমতি নেওয়ারই প্রয়োজন মনে করছেন না! বুধবার বিকেলে বোর্ড সভায় হাজিরা দেওয়ার পরই সবাই জানতে পারেন যে কোচ ছুটিতে যাচ্ছেন। জাতীয় দল এবং এর টিম ম্যানেজমেন্টের চিরন্তন অভিভাবক ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল যেন নথি হিসেবেও ছুটির কথা জানিয়ে একটি ই-মেইল করেন তিনি। সেটি করতেও রাজি হননি পাইবাস। অবশ্য হবেন কেন? ক্রিকেট অপারেশন্সের কর্তৃত্বই যে স্বীকার করেন না পাইবাস!
সম্প্রতি আরেকটি ই-মেইল বার্তায় তা নাকি সাফ জানিয়েও দিয়েছেন রিচার্ড পাইবাস। নিজের তো বটেই, জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের দায়িত্ব থেকে শুরু করে ছুটি-ছাঁটাও নির্ধারণ করবেন- নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় নাকি বোর্ডের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে এমনই আশ্বাস পেয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশে জবাবদিহিতার একটা 'জায়গা'ই চেনেন পাইবাস- বোর্ড সভাপতি। এর মাঝখানে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব মানেন না পাইবাস। অবশ্য কোচকে এমন কর্তৃত্ব দেওয়ার কথা নাকি সহকর্মীদের কাছে অস্বীকার করেছেন বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। 'কোচকে সর্বময় ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন', জানিয়েছেন জালাল ইউনুস। তবে বোর্ডেরই একটি অংশ মনে করে স্টুয়ার্ট ল হুট করে চলে যাওয়ায় খ্যাতিমান কোচ নিয়োগে মরিয়া বিসিবি সভাপতি মৌখিক কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েও থাকতে পারেন। সে কারণেই কিনা চুক্তিতে জাতীয় দলের সর্বময় ক্ষমতা এবং ছুটির ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা না থাকায় তাতে সই করছেন না রিচার্ড পাইবাস। সে ক্ষেত্রে কোচের চাহিদা পূরণের জন্য চুক্তির শর্তে পরিবর্তন করা হবে বলেই কাল জানিয়েছেন জালাল, 'সেই সম্ভাবনা নেই। তাঁর কাছে আমরা কাজ চাই। এত শর্ত পূরণ করে সেটি আদায় করা সম্ভব হবে না।'
এদিকে শুধু হুটহাট ছুটিই নয়, আরো কয়েকটি কারণে বিসিবির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন রিচার্ড পাইবাস। নিজে ছুটিতে গিয়ে একাডেমীর হেড কোচ রিচার্ড ম্যাকিন্সের ওপর ছেড়ে দিয়ে গেছেন 'বাংলাদেশের ক্রিকেট'। ম্যাকিন্সের নির্দেশই আমার নির্দেশ- পাইবাসের এমন একটি 'অনুমোদন' পেয়ে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির কর্তৃত্বের ওপর সওয়ার হয়েছেন একাডেমীর কোচ। এতে করে একটা ভজঘট অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বিসিবির ব্যবস্থাপনায়। আবার ম্যাকিন্স বিশেষ অনুমোদন পেলেও সাকলায়েন মুশতাক কেন তিনজনকে নিয়ে আলাদা অনুশীলন করছেন, এ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন পাইবাস। তাঁর কথা, 'আমি ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ার পরও কেন তাদের মাঠে পরিশ্রম করানো হচ্ছে?' মজার ব্যাপার হলো, সাকলায়েনের স্পিন ক্যাম্পে 'এ' দলের এনামুল হক জুনিয়রসহ আরো কয়েকজনকে এনে ভিড়িয়েছেন ম্যাকিন্স। প্রশ্ন হলো, বিশ্বকাপ শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরা রাজ্জাকদের যদি আরো বিশ্রামের দরকার হয়ে থাকে, তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হাই পারফরম্যান্সের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করার দুই দিন পরই কেন মাঠে এনামুলরা?
কোচের বিশ্রাম ফেলে গতকাল অনুশীলন করেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। তা ছাড়া জাতীয় দলের প্রতিটি সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা ট্রেনিং শিডিউলও তৈরি করে দিয়েছেন ট্রেনার গ্রান্ট লুডেন। তাহলে নিরবচ্ছিন্ন বিশ্রাম আর পাচ্ছেন কোথায় ক্রিকেটাররা? উল্টো লম্বা ছুটিকে নাকি দরকার মনে করছেন না ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে প্রায় আট দিন আগে। জাতীয় লিগ ২০ অক্টোবরের আগে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। ছুটি আরো দীর্ঘায়িত হচ্ছে জেনেই মাঠে নেমে পড়েছেন মুশফিক। কিন্তু কোচ বিশ্রামের পক্ষে।
তবে কি নিজের ছুটি জায়েজ করতেই শিষ্যদের 'বাধ্যতামূলক' ছুটি দিয়েছেন কোচ?
__________________
The mind is like a parachute, it only works when open.....Thomas Dewey
|