June 16, 2012, 06:55 AM
|
|
Cricket Legend
|
|
Join Date: February 3, 2011
Favorite Player: ShakTikMashNasir(ShakV2)
Posts: 2,024
|
|
চুটিয়ে প্রেম করছেন ইমরুল কায়েস
ক্রিকেট প্রেমে মজে নারী হৃদয় জয় করার সময়সুযোগ হয়ে উঠেনি ইমরুল কায়েসের। যদিও এখন তিনি চুটিয়ে প্রেম করছেন বাগদত্তার সঙ্গে। জাতীয় দলের ওপেনার জীবনের ইনিংস শুরুর আগে ওয়ার্মআপ করে নিচ্ছেন বাবা-মার পছন্দের পাত্রীর সঙ্গে। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো ইমরুলের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু কথা।
প্রশ্ন: আপনার গ্রামজীবন সম্পর্কে বলেন?
ইমরুল: মেহেরপুরে এলে নিজেকে হালকা লাগে, কোনো দুঃখ কষ্ট থাকে না। আমার কাছে মনে হয় উজলপুর বিশ্বের সবচেয়ে ভালো জায়গায়। সময় পেলেই আমি ঢাকা থেকে ছুটে আসি। প্রতিবার ঢাকায় ফেরার সময় মন খারাপ হয়। দুই দিনের জন্য গ্রামে এসেছি। মা আমার সঙ্গে ঢাকায় যাবো। এবার মন খারাপ হবে না।
প্রশ্ন: উজলপুরের মানুষের কাছে আপনি নিশ্চয়ই খুব আদরের?
ইমরুল: গ্রামের সবাই আমাকে সাগর হিসেবে চেনেন। তাদের কাছে আমি এখনও সেই ছোট বেলার সাগর। ছোট বয়স থেকে আমি খুব শান্তশিষ্ট। সে জন্য গ্রামের মুরব্বিরা আমাকে বেশি ভালোবাসেন। আমাকে নিয়ে তারা গর্ব করেন।
প্রশ্ন: আপনার গ্রামের বন্ধুরা কেমন আছেন, তারাও কি আপনার মতো প্রতিষ্ঠিত?
ইমরুল: সবাই ব্যস্ত। বেশির ভাগ ঢাকায় চাকরি করে। কেউ কেউ জেলা শহরে ব্যবসা করে। উজলপুরে এলে বন্ধুদের খুব মিস করি। তাদের আগের মতো পাই না। তবে ঈদের ছুটিতে সবার সঙ্গে দেখা হয়।
প্রশ্ন: স্কুলের মধ্যে এমন কেউ আছে যারা প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন নি?
ইমরুল: বেশ কয়েকজন আছে যারা আমার চেয়ে ভালো খেলতো, পড়াশোনায় ভালো ছিলো, কিন্তু ওপরে উঠতে পারেনি। আগের জায়গায় পড়ে আছে। দেখা হলে তারা কিছু বলতে পারে না। ওদের জন্য খারাপ লাগে। সুযোগ পেলে তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: উজলপুর গ্রামে তো একটা ক্রিকেট একাডেমি খুলেছেন। কি ভাবে চলে আপনার একাডেমি?
ইমরুল: আমি যে খেলার সামগ্রীগুলো ব্যবহার করি, তা পরে একাডেমিতে দিয়ে দেই। মনিরুজ্জামান মন্দা ভাই নামে একজন আছেন, তিনি একাডেমি দেখেন। যারা ক্রিকেট শিখতে আসে তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেই না। মন্দা ভাই‘র কোনো লোভ নেই। কোনো কিছু পাওয়ার জন্য তিনি ক্রিকেট শেখান না। এখান থেকে খেলা শিখে যদি কেউ ওপরে উঠতে পারে তাতেই আমাদের আনন্দ।
প্রশ্ন: পরিবারের কথা বলেন?
ইমরুল: আমরা যৌথ পরিবার। ২৪ জন একসঙ্গে থাকি, খাওয়া দাওয়া হয় একসঙ্গে। পরিবারে আমি একমাত্র ভাই। বুঝতেই পারেন পরিবারের সবাই আমাকে একটু বেশি পছন্দ করে। যখন খেলি তখন খুব আনন্দ পায়। আউট হলে কষ্ট পায়। দল থেকে বাদ পড়লে ভীষণ হতাশ হয়।
প্রশ্ন: অনেক ভালো খেলেও যখন জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তখন নিশ্চয় আপনারও মন খারাপ হয়েছে?
ইমরুল: খারাপ কিছু লাগে। মাঝখানে খারাপ খেলেছি। এবার ‘এ’ দলে রান করেছি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলেছি। তারপরেও যখন সুযোগ পাইনি তখন খারাপ তো লাগেই।
প্রশ্ন: এমন পরিস্থিতিতে আপনি কি করেন?
ইমরুল: বাসা থেকে বের হই না। কারণ অনেকে জানতে চায় কেন বাদ পড়লাম। তাদের বোঝাতে হয়। কি আর করা এটা তো বাস্তবতা।
প্রশ্ন: আপনার লেখাপড়া শেষ?
ইমরুল: গ্রীন ইউনিভার্সিটিতে সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স করছি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে?
ইমরুল: সব সময় ক্লাস করার সুযোগ পাই না। যাদের সঙ্গে পড়ি তারা খুব ভালো। তারা আমাকে নিয়ে অনেক গর্ব করে। আবার খুব মজাও করে।
প্রশ্ন: আপনি ২৫ বছরের তরুণ, হৃদয় ঘটিত কোনো সম্পর্ক..?
ইমরুল: আমার এঙ্গেজমেন্ট হয়ে গেছে। বাবা-মা পছন্দ করেছেন। আগে প্রেম করিনি। তেমন সুযোগও হয়নি। যাকে আংটি পড়িয়েছি তার সঙ্গে প্রেম করিছ।
প্রশ্ন: কতজন মেয়ের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন?
ইমরুল: সত্যি বলছি, কেউ কোনো দিন আমাকে প্রস্তাব দেয়নি। কেউ আমাকে বলেও নি বিয়ে করতে চায়।
প্রশ্ন: ক্রিকেটের বাইরে গান শোনা, সিনেমা দেখা এসব হয়ে ওঠে?
ইমরুল: হিন্দি গান শুনি। ইংলিশ ফিল্ম দেখি। বই পড়ি না।
প্রশ্ন: ক্রিকেট এবং ক্রিকেটের বাইরে কাকে আদর্শ মনে করেন?
প্রশ্ন: ক্রিকেটে কুমার সাঙ্গাকারা এবং শচীন টেন্ডুলকার। আর সব মিলে আমার আদর্শ আমার বাবা।
SOURCE
|