April 5, 2012, 04:09 PM
|
|
Test Cricketer
|
|
Join Date: March 2, 2012
Location: Haowa Bhaban
Favorite Player: Any smart *** spot fixers
Posts: 1,591
|
|
অল্পস্বল্প
‘এখানে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত’
ক্রীড়া প্রতিবেদক | তারিখ: ০৬-০৪-২০১২
ক্রিকেটের জন্য নাকি দারুণ অর্থকরী টুর্নামেন্ট বিপিএল। কিন্তু যাঁরা টুর্নামেন্টটা মাতিয়ে রাখলেন, সেই ক্রিকেটাররাই দুশ্চিন্তায় আছেন অর্থ নিয়ে। এখন পর্যন্ত কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই প্রতিশ্রুত পুরো অর্থ দেয়নি খেলোয়াড়দের। বিসিবির পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সচিব সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর জানালেন, খেলোয়াড়দের সব টাকা পরিশোধ করতে ১৪ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের
বিপিএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই এখনো খেলোয়াড়দের পুরো টাকা দেয়নি। কোনো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি মাত্র ২৫ শতাংশ টাকা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনারা কি কিছু করছেন?
সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর: অভিযোগটা আমাদের কানেও এসেছে। দেশি-বিদেশি অনেক খেলোয়াড়ই এখনো পুরো টাকা পায়নি। তবে তিন-চার দিন আগে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় আমরা এ ব্যাপারে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খেলোয়াড়দের টাকা পরিশোধের জন্য ১৪ দিন সময় দিয়ে আজ (গতকাল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুল কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া রাজস্ব বোর্ড আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে খেলোয়াড়দের ট্যাক্স পরিশোধ করতে বলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুল কে। পাওনা পরিশোধ না করলে তো তারা ট্যাক্সও দিতে পারবে না।
এর পরও যদি কারও পাওনা বাকি থেকে যায়, কী ব্যবস্থা নেবেন আপনারা?
আলমগীর: সে ক্ষেত্রে পরের বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়টি আমরা নতুন করে চিন্তা করব। খেলোয়াড়দের টাকাপয়সা পাওয়া নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। এখানে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত। কাজেই এ ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থান নেব।
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে তো প্রথম মৌসুমের চুক্তিই এখনো স্বাক্ষর করা হয়নি। নবায়নের প্রশ্ন আসে কীভাবে?
আলমগীর: আসলে সময়স্বল্পতার কারণে কিছু কাজ বাকি থেকে গিয়েছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে আলোচনা করে সেগুলো আমরা গুছিয়ে এনেছি। আমরা যে চিঠিটি তাদের দিচ্ছি, সেখানেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা আছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে সাত দিনের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং ২১ দিনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
কথা ছিল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ২৫ শতাংশ, টুর্নামেন্ট চলাকালে মোট ৭৫ শতাংশ এবং টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে খেলোয়াড়দের বাকি ২৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুল এটা না মানায় কি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
আলমগীর: এটা সত্যি, প্রথম বছরে আমরা চুক্তির অনেক শর্তই পুরোপুরি মেনে চলতে পারিনি। সেভাবে মনিটরিংও হয়নি। লোকবলের অভাবে সব কাজ ঠিকভাবে করতে পারিনি। তবে এ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। পরেরবার থেকে এসব ব্যাপারে কঠোর হব।
কোনো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তিপ্রক্রিয়া শেষ করেনি। খেলোয়াড়দের কাছে চুক্তির কপিও নেই...
আলমগীর: নিলামে বিক্রি হওয়া সব খেলোয়াড়ের চুক্তির কপিই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে আছে। তবে খেলোয়াড়দেরও উচিত, তাদের কপি সংগ্রহ করে রাখা। আমরাও এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য করতে পারি।
অভিযোগ ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আছে। আয়োজক গেম অনের আয়ের ৪০ শতাংশ অর্থ ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ভাগ করে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা নাকি পায়নি তারা। চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপরা পায়নি প্রাইজমানিও...
আলমগীর: কেউ যদি বলে, তারা এক টাকাও পায়নি, সেটা ঠিক না। প্রাইজমানির টাকাও দেওয়া হয়েছে। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকই ফ্র্যাঞ্চাইজির দামের পুরো টাকা দেয়নি। এছাড়া চ্যাম্পিয়নদের প্রতিষ্ঠান শিহাব ট্রেডিংয়ের কাছে গেম অনের পাওনা ১১ কোটি টাকা। যে টাকা বাকি আছে, সেটা ওই টাকার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপের প্রাইজমানি সেভাবেই পেয়ে গেছে তারা।
গেম অনের কাছ থেকে বিসিবি কি প্রথম মৌসুমের পাওনা বুঝে পেয়েছে?
আলমগীর: হ্যাঁ, এই টাকা বিসিবির অ্যাকাউন্টে এর মধ্যেই জমা হয়েছে। প্রথম মৌসুমে আমরা তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩২ কোটি টাকা পেয়েছি।
|