November 12, 2011, 06:03 PM
|
|
Test Cricketer
|
|
Join Date: April 9, 2011
Favorite Player: Performing Tigers
Posts: 1,879
|
|
রুবেল ও বাংলাদেশের পেস বোলিং
| তারিখ: ১৩-১১-২০১১
বিশপের সাক্ষাৎকারটা যখন নিচ্ছি, বল করছেন রুবেল হোসেন। সেদিকে তাকিয়ে বিশপ বললেন, ‘এই ছেলেটা খুব ভালো বোলার। ১৪০ কিলোমিটার বেগে বল করে। ওই স্লিংগি অ্যাকশনেও খুব ভালো নিয়ন্ত্রণ। টিভি কমেন্ট্রিতেও আমি বলেছি, ওকে ঠিকভাবে তৈরি করলে ও বিশ্বমানের ফাস্ট বোলার হতে পারবে।’
সেই ‘ভালোভাবে তৈরি করা’র প্রথম শর্ত বলে মনে করেন, পেস সহায়ক উইকেট তৈরি করা, ‘আমি জানি, স্পিনই বাংলাদেশের মূল শক্তি। কিন্তু মাঝেমধ্যে রুবেল-শফিউলদের কথা ভেবে একটু গতিময় উইকেট তৈরি করা উচিত। নইলে তো ফাস্ট বোলাররা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। মনে রাখতে হবে, ক্রিকেটে ফাস্ট বোলিংয়ের মতো কষ্ট আর কিছুতে নেই। দিনের পর দিন এমন মরা উইকেটে বল করতে হলে যেকোনো ফাস্ট বোলারই হতোদ্যম হয়ে পড়তে বাধ্য।’
বাংলাদেশের ক্লাব ক্রিকেটেও স্পিনারদেরই রাজত্ব, পেসাররা সেখানে ‘সৎভাই’—এ কথা শুনে নিজের দেশ ত্রিনিদাদের সঙ্গে মিল খুঁজে পেলেন। ‘ত্রিনিদাদেও একই অবস্থা ছিল। ওখানকার উইকেটও স্পিন সহায়ক, সব ক্লাবই তাই ট্রফি জেতার জন্য তিন-চারজন স্পিনারকে খেলাত। এখন অবস্থাটা একটু বদলেছে।’
তরুণ প্রজন্মকে ফাস্ট বোলিংয়ে উৎসাহিত করার উপায়ও বাতলে দিলেন, ‘রুবেলের মতো কাউকে আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব-তামিম যে মর্যাদাটা ভোগ করে, একজন ফাস্ট বোলারকেও তেমন তারকা বানাতে হবে। তাহলে কিশোর-তরুণেরা একদিন তাঁর মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখবে। বাংলাদেশ ফাস্ট বোলার পাবে। সেটা খুব জরুরি, কারণ টেস্ট ক্রিকেটে সত্যিকার একজন ফাস্ট বোলার যেকোনো সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে।’
তরুণদের সামনে আদর্শ হিসেবে কেউ থাকাটা কতটা জরুরি, তা বোঝাতেও ত্রিনিদাদের উদাহরণ, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ এত ফাস্ট বোলারের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু ত্রিনিদাদ থেকে কোনো ফাস্ট বোলারই ছিল না। আশির দশকে এলেন টনি গ্রে, ত্রিনিদাদ থেকে প্রথম ফাস্ট বোলার। আমি নিজে তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমার পর যেমন এসেছে মারভিন ডিলন। বাংলাদেশেও এমন কাউকে দরকার।’
পথপ্রদর্শকদের সেই কাজটা রুবেল হোসেনই করতে পারেন বলে বিশপের বিশ্বাস।
__________________
-- Alwayz with !!! Champions are made from something they have deep inside them - a desire, a dream, and a vision!
-- Bangladesh are the Runners-up in the 2012 ASIA Cup!
|