View Single Post
  #31  
Old April 24, 2013, 08:00 AM
KaaL-PurusH KaaL-PurusH is offline
ODI Cricketer
 
Join Date: March 14, 2006
Favorite Player: Viv - he made all scared
Posts: 935

Quote:
পেস বোলার আছে কিন্তু দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না

হারারে থেকে প্রতিনিধি : বিকেলে প্র্যাকটিস থেকে উঠে স্বাগতিক দলের অধিনায়ক হিসেবে নিজের দাবির কথা জানিয়ে দিয়েছেন ব্রেন্ডন টেলর, 'প্রথম টেস্টের মতো পরেরটার উইকেটে একইরকম ঘাস থাকলে খুব খুশি হব।' বলার অপেক্ষা রাখে না যে অধিনায়ককে 'খুশি' রাখতে জানবাজি দেবেন হারারে স্পোর্টস ক্লাবের কিউরেটর। সে তাঁরা দিচ্ছেনও। আর তাতে আরো দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি পেসারদের। প্রথম টেস্টের নৈপুণ্য দেখে আশাবাদী শেন জার্গেনসেনও। তবে পেসারদের ঘিরে বাংলাদেশ কোচের মনেও জমে আছে দুঃখের খণ্ড মেঘ!
নিয়ম করে এক বেলা বৃষ্টিতে শীতের আবাহন। এতে আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট বোধগম্য কারণেই বেশি উপভোগ্য মনে হবে পেসারদের। অথচ জার্গেনসেনকে কাল সন্ধ্যার ফ্লাইটেই দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে হয়েছে শাহাদাত হোসেনকে। সুইং বোলিংয়ের আদর্শ ২২ গজে একজন রবিউল ইসলামের সঙ্গে তাঁকে জুড়ে দিতে হচ্ছে এমন দুজনকে, যাঁদের ওপর চোখ বুজে আস্থা রাখাও কঠিন। কারণ রবিউলের সম্ভাব্য 'পেসসঙ্গী' হিসেবে যাঁদের কথা ভাবা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে সাজেদুল ইসলাম সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন পাঁচ বছর আগে। জিয়াউর রহমানের তো টেস্ট অভিষেকই হয়নি! টেস্ট অভিজ্ঞ শফিউল ইসলাম উড়ে এসেছেন জিয়ার সঙ্গেই। কিন্তু নির্দিষ্ট একটা জায়গায় বল ফেলতে পারার ক্ষমতা টেস্ট অভিষেকের দোরগোড়ায় এনে দাঁড় করিয়েছে জিয়াকে। তো, এমন বোলিং আক্রমণের ওপর কি আর নিশ্চিতভাবে বাজি ধরা যায়!
কিন্তু অনন্যোপায় শেন জার্গেনসেন। প্রথম টেস্টে কাঁধের পুরনো ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় রুবেল হোসেনকে দ্বিতীয় টেস্টে খেলানোর উপায় নেই। অপরিবর্তিত পেস আক্রমণ নিয়ে পরপর দুটি টেস্ট খেলতে না পারার হতাশা আছে শেন জার্গেনসেনের, 'প্রথম টেস্টে দারুণ বোলিং করেছে রবিউল ও রুবেল। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে রুবেলকে খেলাতে পারছি না। অনেক দিন হলো ইনজুরির কারণে পরপর দুই ম্যাচ একই বোলারকে খেলানো যাচ্ছে না।' হারারের উইকেট দেখে বাংলাদেশ কোচের মনে আরেকটি আক্ষেপও আছে, 'আমি নিশ্চিত এই উইকেটে সফল হতো মাশরাফি। দিনে ১০-১২ ওভারও যদি বল করতে পারত, তাহলে ম্যাচের চেহারা পাল্টে যেত। ওর বোলিং এবং নেতৃত্বগুণ দলকে জাগিয়ে তুলত।'
কিন্তু সেই ইনজুরির কারণে এখনো জিম্বাবুয়েতে আসতে পারেননি মাশরাফি বিন মর্তুজা, ওয়ানডে সিরিজের আগে আসবেনই, এরও কোনো নিশ্চয়তা নেই। উল্টো প্রথম টেস্টে টানা স্পেলে বোলিং করে না আবার ফুরিয়ে যান রবিউল, সে আশঙ্কা ছিল। প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে রবিউল নিজেও বলছিলেন, 'ভাই, দলকে জেতাতে হবে। মরি-বাঁচি এই ম্যাচটা জান দিয়ে বোলিং করব!' সে তিনি করেওছিলেন। জিম্বাবুয়ের দুই ইনিংসেই তাঁর শুরুর স্পেল যথাক্রমে ৮ ও ৯ ওভারের, যা দেখে আপ্লুত বাংলাদেশ কোচ, 'ছেলেটা লম্বা স্পেলে বোলিং করতে পারে কিন্তু গতি কমে না। ওর লাইন-লেন্থও নিখুঁত। তাই যেকোনো সময় ওর হাতে বল তুলে দেওয়া যায়। অদূর ভবিষ্যতে ও হবে দলের মূল পেসার।'
অন্যরা যখন ইনজুরি আর লাইন-লেন্থ হারিয়ে নির্বিষ হয়ে উঠছেন, সেখানে রবিউলের এ সাফল্যের রহস্য কী? একদা দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করা জার্গেনসেন নিজেই ভেদ করেছেন সে রহস্য, 'পরিশ্রম। আপনারা ভাবতেও পারবেন না গত চারটা মাস একাডেমিতে থেকে একা একা কী কষ্ট ছেলেটা করেছে। আমরা একটা রুটিন ধরিয়ে দিয়েছিলাম শুধু। সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে ছেলেটা। আজ ও যা, তা সেসব দিনের কর্মফল।' পরক্ষণে জুড়ে দেওয়া কোচের মন্তব্যে প্রকারান্তরে কটাক্ষ রয়েছে বাকি পেসারদের প্রতি, 'আমি আশা করব, বাংলাদেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পেসাররা রবিউলের মতো পরিশ্রমী হবে।'
একের পর এক ইনজুরির ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে উদাহরণ হয়ে আছেন মাশরাফি। আর পরিশ্রমের অনুপ্রেরণা এখন রবিউল ইসলাম। অথচ একই ড্রেসিংরুমে থেকে ঠিক উল্টো পথে হাঁটেন শাহাদাত হোসেন। অনুশীলনে দেরি করে আসা, অবসরে ফিজিও-ট্রেনারের রুটিন মেনে না চলার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই আছে। প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গিয়ে জার্গেনসেন যা বলেছেন, তাতে সতর্কবাণী আছে শাহাদাত কিংবা জাতীয় দলে খেলতে আগ্রহী পেসারদের, 'পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। সত্যি বলতে কী, ইনজুরির কারণে অনেকে এখন সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি কিছু তরুণের নাম জানি, যারা দ্রুত উঠে আসছে।' উঠে আসার দিনগুলোতে তরুণরা যদি পরিশ্রমটা ঠিকঠাক করেন, তাহলে আর ফাঁকতালে বাংলাদেশ দলে ঢুকে পড়ার দিন ফুরিয়ে যাবে তাঁদের, যাঁদের নিতান্ত বাধ্য হয়ে এ সফরে নিয়ে এসেছেন জার্গেনসেন।
এই ফাঁকতালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলা অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে ব্যাটসম্যানদের জন্য। 'খেয়াল করে দেখবেন আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো করছে। তাই প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। একজন আরেকজনকে পুশ করছে। এতে করে সচেতনতা বাড়ে। স্পিনারদের ক্ষেত্রেও জায়গা নিয়ে লড়াই আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টে সেটা এখনো হয়নি', আফসোস শেন জার্গেনসেনের। আর দেশে রেখে আসা কিছু তরুণের কথা ভেবে আশাবাদী তিনি, 'ওই যে বললাম কিছু তরুণ উঠে আসছে। ওরা তৈরি হয়ে গেলে পেসারদের মাঝেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হবে। দেখবেন, তখন সবাই পরিশ্রম করছে। পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম করলে রবিউলের মতো সুফল পাবে সবাই।'

সুদিন তাহলে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসছে!
http://www.kalerkantho.com/?view=det..._id=1&index=10

Last edited by shuziburo; April 24, 2013 at 09:50 AM.. Reason: Added Bangla tag for better readability
Reply With Quote