েজাজ হারিয়ে দর্শকের গায়ে হাত তুললেন আশরাফুল
ঢাকা, ১৬ মার্চ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) --- মেজাজ হারিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল রোববার পিটিয়েছেন এক দর্শককে। প্রত্যক্ষদর্শীদে ভাষ্য অনুযায়ী, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের নয় নাম্বার গেট দিয়ে দুপুরে ইনডোরে যাওয়ার সময় দর্শকরা তার উপর গালিগালাজের বৃষ্টি ঝরাচ্ছিলেন। তাতেই মেজাজ হারিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক চড়াও হন জালাল নামের এক গার্মেন্টস কর্মীর ওপর। তাকে গোটাতিনেক চড়-থাপ্পড় লাগানোর পর ফুঁসে ওঠা দর্শকদের নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
মাঠে তখন প্রিমিয়ার লিগের টোয়েন্টি টোয়েন্টির ফাইনালে আবাহনীর সঙ্গে খেলছে সিটি ক্লাব। সেসময়েই প্র্যাকটিসের জন্য স্টেডিয়ামে আসা জাতীয় দলের সদস্যরা নয় নাম্বার গেট দিয়ে যাচ্ছিলেন ইনডোরে। আর ওই গেট দিয়েই রোববার গ্যালারিতে ঢোকার সুযোগ পেয়েছেন দর্শকরাও। ইনডোর আর তার আশপাশের জায়গাতেও দর্শকদের অবাধ বিচরণ। গত কিছুদিনে বাংলাদেশ দলের মাঠের খারাপ পারফরম্যান্সের প্রেক্ষিতে এসব বিষয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি করেছে।
যার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটেছে রোববার। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগেরদিনও ইনডোরের সামনে গালিগালাজ শুনে এক দর্শকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। যদিও আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী এটা ব্যাপক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবু গত কিছুদিনে এসব মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল বলেই জানালেন বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক, "সহ্যের তো একটা সীমা আছে নাকি! আমিও তো মানুষ। রাগ-ক্ষোভ আমারও আছে। মা-বাবা তুলে গালি দেওয়ার পর কী কারো পক্ষে সহ্য করা সম্ভব।"
মাশরাফি অসম্ভব বলে মনে করলেও এদিন মাঠে থাকা অনেক সাবেক ক্রিকেটারই বলেছেন, আশরাফুলের ওভাবে দর্শকের ওপর চড়াও হওয়াটা ঠিক হয়নি। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক এবং বর্তমানে নির্বাচক নাঈমুর রহমানের ভাষ্য, "এরচেয়েও অনেক বেশি গালিগালাজ আমরা শুনেছি। কিন্তু কখনো এভাবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছি বলে মনে পড়ে না।" কেন? সেটার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ, "আমাদের দেশের মানুষের আবেগটা খুব বেশি। ভালো খেললে এরাই আবার আপনাকে মাথায় তুলে নাচবে। আবার খারাপ খেললে এরাই গালি দেয়। কাজেই এদের সঙ্গে ঝামেলায় না যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।" আশরাফুল অবশ্য এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্যই করতে রাজী হননি।
কিন্তু ক্রিকেট দলের ওপর দর্শক রোষ তো একেবারে অজানা নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের পরও মিরপুর স্টেডিয়ামে সামনে দর্শকরা আশরাফুলের পদত্যাগ দাবি করে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে রোববার যে নয় নাম্বার গেটে ঘটনা, সে জায়গাটা একদমই অরক্ষিত। সেখানে যে কারো পক্ষেই ক্রিকেটারদের ওপর চড়াও হওয়া সম্ভব ছিল। ইদানীং মাঠেও অবাধে লোকজন ঢুকে পড়তে পারছেন। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগেরদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি আশরাফুলকে একের পর এক অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নে জর্জরিত করছিলেন সাংবাদিকদের কাছেও অচেনা একজন। পরের জেরার মুখে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন তিনি মিরপুরের একটি কলেজের ছাত্র। সুযোগ পেয়ে ঢুকে পড়েছেন মাঠে। এসব ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ভেন্যু প্রশাসক কর্নেল একেএম জাকি (অব.) বলেন, "নিরাপত্তার বিষয়টা দেখে বিসিবির নিরাপত্তা কমিটি।" কিন্তু নিরাপত্তা কমিটির সদস্য সচিব মেজর (অব.) ইমরোজের সঙ্গে টেলিফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জালাল নামের দর্শকটিকে ঘটনার পর পুলিশ আটক করলেও পরে ছেড়ে দিয়েছে।
This is not good. This is totally a negative impact.
He is not performing well, but why did he go against fans. Fans would be disappointed about his batting and can tell bad things to him. This is reality, you have to face it. Ash lost his reputation to the people.