October 6, 2011, 09:46 AM
|
|
Cricket Legend
|
|
Join Date: February 3, 2011
Favorite Player: ShakTikMashNasir(ShakV2)
Posts: 2,024
|
|
Was it rational Ross Turner ???
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট সেশনে ছয়জন নেট বোলার আগে থেকেই দেওয়া ছিলো। জিপি-বিসিবি একাডেমির প্রধান কোচ প্রধান রস টার্নার উপহার হিসেবে দেন আরো পাঁচজন বোলার, তিনজন বাঁহাতি অফ স্পিনার, একজন ডান হাতি অফব্রেক এবং একজন লেগ স্পিনার।
একসঙ্গে ১১ জন বোলার নেটে পেয়ে ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানদের পোয়াবারো। বিশেষ করে একাডেমির পাঁচ স্পিনারকে খেলার সুযোগ পাওয়া তাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। তিনজন আবার বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশের স্পিনে অভ্যস্ত হওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানরা পালা কররে নেট বদল করেন। খুশিতে খুশিতে একাডেমির পাঁচ বোলার লগ স্পিনার সাব্বির রহমান রুম্মন, বাঁহাতি অফ স্পিনার সানজামুল ইসলাম, ডান হাতি অফ স্পিনার আসিফ আহমেদ, বাঁহাতি অফ স্পিনার শাকের আহমেদ ও বাঁহাতি অফ স্পিনার ফজলে রাব্বি আপন মনে হাত ঘোড়াতে থাকেন।
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে যে ছয়জন নেট বোলার দেওয়া হয়েছিলো তারা খুব একটা মানের ছিলেন না। কৌশলগত কারণেই ভালো মানের বোলার প্রতিপক্ষ দলের নেটে দেওয়া হয় না। রস টার্নারের বোকামির কারণে গোপনীয়তা আর বিসিবি রাখতে পারলো কোথায়!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেটে বোলারদের পাঠানোর আগে বিসিবির কোন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন পর্যন্ত মনে করেননি একাডেমির প্রধান কোচ। বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের নেটে তার দলের বোলারদের ব্যবহার করতে পেরে খুশিই হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে বলেন,“ছেলেরা এত বড় ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করতে পেরেছে, অনেক বড় ব্যাপার। এতে আমাদের লাভই হয়েছে।”
অবশ্য তিনি যখন জানতে পান বিসিবির পরিকল্পনায় হস্তক্ষেপ করেছেন, তখন সুর পাল্টে ফেলেন। “এভাবে দেখলে তো হবে না। ছেলেরা পাশে দাঁড়িয়ে প্র্যাকটিস দেখছিলো। আমি এগিয়ে যেতেই ডেসমন্ড হেইন্স বললেন তোমার কাছে বাঁহতি স্পিনার থাকলে আমাকে দাও। সে জন্যই আমি তাকে পাঁচজন বোলার দিয়েছি।”
এতে যে জাতীয় দলের পরিকল্পনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তা নিয়ে একবিন্দুও ভাবেননি একাডেমির অস্ট্রেলিয়ান কোচ রস টার্নার। উল্টো তাকে এবিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে রেগে যান।
আসলে সাতপাঁচ না ভেবে রস টার্নারের মতো একজন চতুর কোচ যে ডেসমন্ড হেইন্সর ফাঁদে পা দেবেন ভাবা যায় না। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার সাব্বির খানও রস টার্নারের কান্ডজ্ঞন দেখে হতবিহবল। বাংলানিউজকে তিনি বলেন,“অনেক কিছু ভেবে প্রতিপক্ষ দলের নেটে বোলার দেওয়া হয়। আমরা কোন হোমে কোন দলকেই ভালো মানের স্পিনার দেই না নেটে। জাতীয় দলকে খেলায় কিছুটা সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই তো বিসিবি এই নিয়মে চলে আসছে। এছাড়া আজ যদি বেশি বোলার পায় কাল তো আরো বেশি চাবে। বলা নেই কওয়া নেই রস পাঁচজন বোলার দিয়ে দিলেন!”
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক আকরাম খানও বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না। তিনি বলেন,“রস টার্নার কাজটা ভালো করেননি। আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। আমরা প্র্যাকটিস ম্যাচের জন্য বিসিবি একাদশে পর্যন্ত কোন ভালো বোলার রাখিনি। তিনি বোলারদের দেওয়ার আগে আলোচনা করলে পারতেন। তার উচিৎ ছিলো কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা।”
বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন,“সৌজন্য বোধ থেকে হয়তো তিনি বোলারদের দিয়েছেন। কিন্তু কৌশলগত দিক থেকে তার বোলারদের দেওয়া উচিৎ হয়নি।”
অদ্ভুত দেশের অদ্ভুত ক্রিকেট কার্যক্রম। বিদেশি দলগুলোকে আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। অথচ জাতীয় দল বিদেশে গেলে ভোগান্তির শেষ নেই। এই তো জিম্বাবুয়ে সফরের আগে শত চেষ্টা করেও একটি অতিরিক্ত প্র্যাকটিস ম্যাচ আদায় করতে পারেনি বিসিবি। এমন কি দুইদিন আগে গিয়ে অনুশীলনের সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। অথচ এই জিম্বাবুয়েকে ২০১০ সালে ঢাকায় অতিরিক্ত একদিন থাকার সুব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি ভাতা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিলো।
SOURCE
|