প্রতীক্ষার প্রহর আমার আজ-ও শেষ হয়না
আজ-ও সো্নার বাংলা ভেসে যায় রক্তগঙ্গায়।
সেই স্রোতে আমার সত্তাও তো হারিয়ে যায়
লুটিয়ে পরে নরপিশাচের পায়ের তলায়।
পিষ্ট হয় আমার মর্যাদা,
আমার সম্মান, আর… আমার লজ্জা!!
তবে কেন আমার এই পথচলা?
মানবীয় জীবনধর্ম পালন?
তবে আমিও কি যোগ দিয়েছি সেই নপুংসকের দল?
নিভৃতে দাড়িয়ে শুধু দেখা
আমার বাংলার সর্বাঙ্গ ঝলসে যাওয়া !!
দেখা, শকুনের আমার লাল সবুজটাকে
ছিবলে খুবলে খাওয়া !!
নিরব এক ফোটা অশ্রু আর অসীম দীর্ঘশ্বাস
তাতেই আমার গুমরে মরা কষ্টের সাচ্ছন্দ্য প্রকাশ।
এমন মানবজন্ম তো আমার কাম্য্ ছিল না
স্বাধীনতার জয়মাল্য গলায় পরে
শুধু সভ্যতাভিমানী হওয়াই আমার বাসনা ছিল না।
আমিতো চাই এই অমানিশা থেকে
সো্নার বাংলাকে মুক্ত করতে,
জাতির সমষ্টিকরণে, সতেয়্যর সংবহন
সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে।
সেই দিনটির কথা আমার মনে হলে এখনো সর্বাঙ্গ কাটা দিয়ে উঠে !! বিশ্হাশ ই করতে পারিনা যে আমাদের নিজের লোক এর হাত এও আমরা নিরাপদ নই ... সেই ২ দিন আর রাত আমরা প্রতিটি বাঙালি, দেশে কিনবা বিদেশে বসে কিভাবে কাটিয়েছি আমরা জানি .. একটি গৃহযুধ্হের আভাস পাচ্ছিলাম যেন .. পাক হানাদারদের আমরা নরপিশাচ বলি কিন্তু সেদিন এত্তগুলো আর্মি অফিসার খুন করে ড্রেন এ যারা ছুড়ে ফেলেছিল তাদের আমরা কি বলব !! একটি ছোট দেশের ১০০ জন আর্মি অফিসার কে খুন করে ফেললে সেই দেশের আর কি থাকে.. ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ আমাদের একবার পঙ্গু করেছিল আর ২৫ শে ফেব্রুয়ারী, ২০০৯ আমাদের আরেকবার পঙ্গু করে দিয়ে গেছে!! সেই সব আর্মি অফিসাররা মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন সেই বিচারে আমি যেতে চাইনা .. আমি শুধু জানি সেদিন কতগুলো শিশু এতিম হয়েছে, জানি কত নারী বিধবা হয়েছে, কত পিতামাতা তাদের সন্তান হারিয়েছে, জানি একজন নববধু তার বিয়ের ২ মাসের মাঝেই তার স্বামী কে হারিয়েছে !! তাদের এই ক্ষতিগুলো কোনদিন পূরণ হবে না আর আমাদের হৃদয়েও সেই ক্ষতগুলো কোনদিন শুকিয়ে যাবে না !!! আজও বিচার এর অপেক্খ্হাই আছি ! প্রতীক্ষার সেই প্রহর কবে শেষ হবে তাও জানিনা ..
এই ফোরাম এ আমার প্রথম থ্রেড তাদের কে উত্সর্গ করে গেলাম !!!