আজ বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হচ্ছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। ম্যাচের আগে চিন্তিত নাইট শিবির। জয়পুরের হার এখনো গৌতম গাম্ভীরের দলকে ভাবাচ্ছে। সাথে যোগ হয়েছে ক্রিস গেইল ও বিরাট কোহলির দানবীয় ব্যাটিংয়ের চিন্তা।
একা গেইলে রক্ষে নেই, আবার কোহলি তার দোসর! ‘ক্যারিবিয়ান কিং’ কী বস্তু, ঠিকঠাক ব্যাট চললে টিমের হাড়গোড় ভাঙার শব্দ শুনতে কেমন লাগে, নাইটরা জানে। জানে বলেই ভাবনায় দাঁড়ি। বরং মঙ্গলবার সন্ধেয় বেঙ্গালোরে জনৈক নাইটের বলে ফেলা আছে, “ভেবে লাভ? ব্যাটে লাগলে তো যে কোনও প্ল্যানই কচুকাটা।” বরং জানা ছিল না, গেইল শুধু নন, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের অভিন্নহৃদয় বন্ধু একেবারে মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠেছেন। ইনি বিরাট কোহলি।
গেইলের সঙ্গে ধ্যানধারণা মেলে, ক্যারিবিয়ান দৈত্যের মতো লেট-নাইট পার্টিতেও ওস্তাদ। একসঙ্গে যানও। আবার টিম স্পনসরের ‘জিঙ্গল’য়েও একজনকে ছাড়া আর এক জনকে ভাবাই যায় না। মঙ্গলবার থেকে এই দুইয়ের মধ্যে আবার একটা অদৃশ্য ‘যুদ্ধ’-ও শুরু হল। কমলা টুপি দখলের যুদ্ধ। এ দিন যেমন কয়েক ঘণ্টার এ দিক-ও দিকে দুই বন্ধুতে আইপিএলের ‘প্রাইসলেস ক্যাপ’-এর হাত বদলাবদলি হল, দেখলে নাইট যোদ্ধাদের খুব নিশ্চিন্ত থাকার কথা নয়।
চিন্নাস্বামীতে তখন আরসিবি ইনিংস মাঝপথে। গেইলের হাতে সদ্য কমলা টুপি তুলে দিয়েছেন ড্যানি মরিসন। গেইল যখন সবে “এ বার এটা ধরে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে” বলে একটু জিরোচ্ছেন, জলজ্যান্ত ‘চ্যালেঞ্জ’ উপস্থিত হয়ে গেল! বিরাটের উন্মত্ত ব্যাটিং-বিস্ফোরণে টুপির মালিক পাল্টাপাল্টি আর শেষে কোহলির বলে যাওয়া, “গত বছরটা আইপিএলে ভাল যায়নি। তাই এ বার নিজের উপর প্রত্যাশার চাপটা আর রাখছি না। খোলা মনে খেলার চেষ্টায় আছি।”
রাজস্থানের কাছে হারার পর সাংবাদিকদের তো বটেই, ড্রেসিংরুমেও নাকি নাইট অধিনায়ক বলে ফেলেছেন, “অর্থহীন ব্যাটিং। এই লাইন আপ নিয়েও একশো চুয়াল্লিশ তাড়া করা যাবে না?” জয়পুর ছাড়ার সময় এয়ারপোর্টেও কোচ ট্রেভর বেলিসের সঙ্গে তাঁকে আলোচনায় ডুবে থাকতে দেখা গিয়েছে। পরবর্তী ম্যাচে সামনে আবার গেইল। কোহলি এ দিন দুর্দান্ত খেললেও পুরনো নাইটকেই এক নম্বর শত্রু হিসেবে ধরা হচ্ছে শিবিরে।
একটা প্রাথমিক খসড়ারও সন্ধান পাওয়া গেল গেইলকে ফেরাতে হলে শুরুতেই ফেরাতে হবে। খুব বেশি হলে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে। কারণ ওই সময়টা একটু ও নড়বড়ে থাকে। বল দেখে খেলে। আর তাই শুরুর দিকেই আনা যেতে পারে সুনীল নারিনকে। চিন্নাস্বামীর পিচে বাউন্স আছে, যেটা পেসার নয় স্পিনারদেরও সাহায্য করবে নাকি ভাল রকম। অতএব, ফেরালে ওই ছ’সাত ওভারের মধ্যে, নইলে...। আর গেইলের ব্যাটে মঙ্গলবার সাইক্লোন ওঠেনি বলে বৃহস্পতিবারও উঠবে না, এমন চিন্তারও কোনও কারণ নেই। তবে গেইলের পাল্টা ওষুধ যিনি হতে পারেন, সেই ব্রেন্ডন ম্যাকালামের মঙ্গলবার রাতেই বেঙ্গালুরুতে ঢুকে পড়েছেন।
আর গেইল? গ্যাংনাম নাচ নেচে বুধবার চিন্নাস্বামীর গ্যালারিকে মত্ত করে দিয়ে তো শুনিয়ে গেলেন, “বেঙ্গালুরুতে বেশ আছি। এখানে খেলাটা এনজয়ও করি। আজ ইশান্তের বলে খোঁচাটা লেগে গেল। পরের দিন ঠিকঠাক খেলতে হবে।” মানে? বোধহয় মূর্খেও বুঝবে!
http://www.natunbarta.com/sports/201...1418837b6896f6