সময়ের ধ্বনি তোরা শুনতে কি পাস্?
'টীন-এজ' সময়টা বড়ই অদ্ভুত। ছেলেবেলার দুরন্তপনার সব তেজ তখনো সারা বুক জুড়ে। কারো চাল-চলন পছন্দ না হলে বাড়ি মেরে তার মাথাটা ফাটিয়ে দেবার সাহস আর ইচ্ছা দুটাই অদম্য! অন্ততঃ কথার মারপ্যাচে ভরা মজলিসে তাকে নিয়ে তামাসা করার মজা তো মিস্ করা যায়-ই না। দিন-রাতের ঠিক নাই, ফ্রেন্ডস্-গ্রুপের আড্ডাবাজির মত মজা এই দুনিয়ায় আর কোথায়? সময়মত ঘুমাতে যাও, সকালে ঊঠে এটা কর সেটা কর... ইত্যাদি ইত্যাদি -এসব বোরিং লাইফ-স্টাইল জাহান্নামে যাক্।
কিন্তু আবার তাও তো সব না। স্কুল-পড়ুয়া ছেলে-মেয়ের মত দায়ীত্ব-বিহীন সময়ও তো না। বাবা কিম্বা মায়ের অমুক আত্বীয়ের তমুক বার্ষিকীতে 'দায়ীত্বশীল' সন্তানের ভঙ্গিতে গিয়ে বসে থাকা... অথবা বাড়ীর নিতান্ত বোরিং সব দায়ীত্ব, যেটা বাবা-মা করতে পারলেও নিজে না করে সেই টীন-এজারকে পাঠিয়ে দেন। কারন আর কিছুই না -ও বড় হয়েছে, করে খাক্! এ বড়ই মিশ্র এক অনুভুতি।
কিন্তু কোথায় যেন চেঞ্জ্ আসে সময়ের সাথে। টীন-এজ মাইন্ড নিজে থেকেই যেন বুঝতে শুরু করে আশেপাশের মানুষগুলোর চাওয়া-না-চাওয়ার ব্যাপারটা। সময় থেমে থাকে না। সেই বিরক্তিকর (!) টীন-এজারই কবে যেন নিজের অজান্তেই হয়ে ওঠে বিজ্ঞ অবলম্বন। কথায়, কাজে, চিন্তায়, সাহসে সে হয়ে ওঠে তার অগ্রজদের চাইতে অনেক বেশী পরিণত। সময়ের ভেল্কিতে কখন যে তার প্রতিটা মুহুর্ত আর প্রতিটা কাজ হয়ে ওঠে অন্য রকম অর্থবহ... তা দেখে নিজেই অবাক হয় সেই 'কেয়ারলেস্ মাইন্ড'।
হ্যাঁ...বড়ই ধানাই-পানাই করে আমি আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কথাই বলছি। নাহ্... এই দলের একগাদা টীন-মেম্বারের জীবন কাহিনী বলছি না! বলছি প্রায় টীন-এজ স্ট্যাটাস পার হয়ে যাওয়া পুরো বাংলাদেশ দলের কথাই! এরা প্রমান করে ফেলেছে যে এরা অকম্মার ধাড়ী না। সিরিয়াস খেলা খেললে এরা দু-চারটা বুড়ো হাড় ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে পারে! সেই বয়সও এই দলের পার হয়ে গেছে, যখন মাসের পর মাস শুয়ে বসে কাটালে কেউ মাইন্ড করবে না। পাড়ার লোকজন এখন বলা শুরু করেছে "ছিহ্! ধাড়ী ছেলে কোথাকার! কাজ নাই কাম নাই খালি আড্ডাবাজী!
একটাই কথা বলার আছে এদের প্রতিঃ দল হিসেবে তোমাদের টীন-এজ অনন্দের কোটা শেষ হয়ে গেছে বাছারা! এবার কিছু দিতে শুরু কর। যদি বুঝতাম তোমাদের বয়েস বায়ো-কি-তেয়... এত দাবী রাখতাম না মোটেও। মেঘে মেঘে বেলা তো কম হল না। পাড়ার লোকে হাসাহাসি... ফ্লাড্-লাইটের আলোর নীচে শত ক্যামেরার রক্তচক্ষুর ফোকাসে এমন খেলা কেন খেল? ছেলেখেলার দিন তো প্রায় শেষ বাছারা!
এবার তোরা সিরিয়াস হ...!!
__________________
Well...you only get one chance to make your first impression somewhere...!
Last edited by Ahmed_B; September 19, 2007 at 04:12 PM..
|