Match Thread: 2nd Test: Bangladesh vs Pakistan at Dhaka, Dec 17 - 21, 2011!!!

[idrinkh2O]

17 Dec 2011 09:03:40 PM Saturday BdST
নান্দনিক ক্রিকেট খেললেন সাকিব-শাহরিয়ার (MashAllah)



ঢাকা: অনেকদিন পর স্কোরকার্ডে বাংলাদেশ বেশ ঝরঝরে। দিনের খেলা শেষে হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে না। বরং পুর্নগঠিত হওয়ার রসদ পেয়েছে।

দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ২৩৪ রান। একটি শতকও আছে। এবং শতক পাওয়া ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান অপরাজিত। ১৬৮ বলে ১৪ চারে ১০৮ রান করেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। আরেকটি ইনিংস ৯৭ রানের। শাহরিয়ার নাফিস ওই রান করেছেন। অল্পের জন্য ইনিংসে দ্বিতীয় শতক হয়নি। দিনের খেলা শেষ হওয়ার ৪.৪ ওভার বাকি থাকতে উমর গুলের বাউন্সর বল থেকে শাহরিয়ার না পারলেন নিজেকে বাঁচাতে, না পারলেন ছেড়ে দিতে। দুর্ভাগ্যক্রমে গ্লাবসে লেগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ-আউট হলেন।

প্রথম সেশনেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো বাংলাদেশ দল। আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কা ভিড় করছিলো। সেখান থেকে সাকিব এবং শাহরিয়ার নাফিস পাঁচ উইকেটে ১৮০ রান যোগ করলে দলের স্কোর শোভন দেখাচ্ছে। পঞ্চম উইকেটে তাদের এই অর্জন বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে কোন আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ।

ষষ্ট জুটিতে সাকিব এবং মুশফিকুর রহিম দিনের বাকি সময়টা নিরাপদেই পার করেছেন। দ্বিতীয় দিন সকালে ফের সংগ্রাম করতে হবে তাদেরকে।

টসে হারাটা বোধহয় সাপেবর হয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। পাকিস্তান চেয়েছিলো শিশিরের সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে প্রথম দিনই বাংলাদেশ দলের ইনিংস মুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। দুই পেসার উমর গুল এবং আজিজ চিমা যেভাবে উইকেট ফেলছিলেন তাতে করে সে দিকেই যাচ্ছিলো। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় একটি বড় জুটি হয়। আফসোস থেকে যায় শাহরিয়ার নাফিসের আউট নিয়ে।

সকাল সাড়ে নয়টায় খেলা শুরুর কথা থাকলেও কুয়াশার কারণে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে খেলা মাঠে গড়ায়। সময় কমে যাওয়ায় ২২ ওভার কম খেলা হয়। একঘন্টার মধ্যেই উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হয়ে গিয়েছিলো। শীতের সকালকে বিশ্বাস করতে নেই। কুয়াশা এবং শিশিরে ভেসে যেতে পারে আউটফিল্ড। দ্বিতীয় দিনটা পাকিস্তানের বোলারদের জন্য আর্শিবাদ হয়ে আসতে পারে।

অভিষেক টেস্টে দারুণ পারফরমেন্স করা নাজিমউদ্দিনকে সাজঘরে ফিরতে হয় হতাশা নিয়ে। আজিজ চিমার অফ স্ট্যাম্পের বল ভেতরে ঢুকলে নাজিমউদ্দিনের উরুতে গিয়ে আঘাত করে। পাকিস্তান দলের অযৌক্তিক আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারতীয় আম্পায়ার শাভির তারাপোরে আঙ্গুল তুলে দেন।

তামিমকে দেখে কারো মনে হয়নি তিনি ওভাবে ক্যাচ দেবেন। আত্মবিশ্বাসে ফেরা হয়নি জাতীয় দলের এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের। দুটি চারে ২৪ বলে ১৪ রান করেন তামিম। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পাওয়া মাহমুদউল্লাহ শূন্য এবং নাসির হোসেন ৭ রানে আউট হয়েছেন।

বোঝাগেলো হুট করে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনও ক্রিকেটারদের জন্য ভরাডুবির কারণ হয়ে আসতে পারে। পাকিস্তানের বিপক্ষে নাঈম ইসলামের যেমন হয়েছে। এখন একাদশেই নেই তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১১
---------------------------------------------------------

Cool & Cool Cup
Fight at long last
Bishwajit Roy

Under the morning fog the same old batting collapse from Bangladesh was revisited at the Sher-e-Bangla National Stadium in Mirpur yesterday. But this year's best batting display from ton-maker Shakib Al Hasan and Shahriar Nafees saw normalcy finally returning to Bangladesh's batting on the first day of the second Test against Pakistan.

Recovering from 43 for four Bangladesh scored 234 for five, before bad light caused a premature end to the day's play that was truncated by early morning fog, thanks to Shakib's brilliant unbeaten hundred and Nafees's 97. Statistically speaking, it was an even day but still there was much more for the dejected Bangladesh cricket team to cheer after their poor showing thus far in the series, which threatened to completely shatter their confidence. Shakib and Nafees batted almost two sessions on the day with great determination and temperament, showing critics who often question the country's Test status that there was another side of the coin other than that witnessed in the host's innings and 184-run capitulation in Chittagong.

If it was satisfying to see Shakib walking back to the dressing room with an unbeaten 108, then the dismissal of Nafees at the fag end of the day had dulled a bit of the sheen as the left-hander missed his deserved hundred by just three runs. It would have been his second Test hundred five and a half years after he scored his maiden ton against Australia in Fatullah.

In the end, the fact was that the record 180-run partnership for the fifth wicket between Nafees and Shakib gave Bangladeshi batsmen the much-needed self-belief that it was not impossible to stay at the crease and even score at a reasonable clip against this versatile Pakistan bowling attack, who wrapped them up for 135 in the first innings in Chittagong.

In the ongoing series, Bangladesh's batting had been crying out for a semblance of fight and the two batsmen finally showed how it should be done. The way they picked up singles and punished the bad balls during their scintillating partnership to frustrate the Pakistan bowlers for the first time in the series must be a source of encouragement for other members of the team.

Bangladesh went into the match, the start of which was delayed by more than an hour due to dense fog in the morning, almost without hope and the crisis deepened when they lost four quick wickets for 43 runs.

The in-form Nazimuddin was unlucky when Indian umpire SK Tarapore gave him out leg before wicket in response to a modest appeal from Pakistan -- the ball would have gone over the top of the stumps -- but Tamim Iqbal, Mahmudullah Riyad and Nasir Hossain could have saved their wickets. Aizaz Cheema was the wrecker-in-chief, taking three wickets.

The continuous shuffling in the batting order could have been a talking point of the Bangladesh innings, but Shakib joined Nafees to hog the end-of-day spotlight. The duo's century partnership, the first by Bangladesh since June 2010, changed the whole scenario.

The southpaw batsmen didn't take any risks over the entire length of the partnership and at no stage were subdued. It was fantastic to see Bangladesh play out the second session without any loss and thereafter losing only one wicket late in the third session, which brought captain Mushfiqur Rahim to finish the day with Shakib.

Shakib tapped one down to third-man to complete his second Test hundred. His first one came against New Zealand last year in Hamilton. During his 168-ball unbeaten 108, his highest in Tests, the left-hander smashed 14 boundaries that included some eye-catching cover drives.

Nafees, at the other hand, was more sedate and there was not a single reckless shot during his 177-ball 97 that contained 12 boundaries.

A short ball from Umar Gul shattered his dream of making his second Test hundred as the ball kissed his gloves before reaching the safe hands of wicketkeeper Adnan Akmal.

True, it could have been more satisfying if Bangladesh finished the day with Nafees at the crease but still for the first time in the series they brought some life in their performance.

[idrinkh2O]

17 Dec 2011 10:28:45 AM Saturday BdST
স্বস্তির ব্যাটিং (MashAllah, Alhamdulillah)



ঢাকা: সকালে শিশির থাকায় খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক পর। শিশির কমলেও তখনো শীত কমেনি! প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ৪৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকে বাংলাদেশ! তবে শাহরিয়ার নাফিস ও সাকিব আল হাসানের স্বস্তির ব্যাটিংয়ে গরম অনুভূত হয় স্বাগতিক শিবিরে। শেষপর্যন্ত ৫ উইকেটে প্রথম দিন শেষে ২৩৪ রান করেছে বাংলাদেশ।

ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান (১০৮) ও মুশফিকুর রহিম (৫)।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলীয় ও ব্যক্তিগত শূন্যরানে আইজাজ চিমার বলে এলবিডাব্লু’র ফাঁদে পড়েন অভিষিক্ত নাজিমউদ্দিন।

নাজিমের বিদায়ের পর মারকাটারি তামিম ইকবাল বেশ রক্ষণাত্মক খেলছিলেন! ২৪ বল খেলে ১৪ রান করেছেন। কিন্তু সপ্তম ওভারে উমর গুলকে যেন পাত্তাই দিলেন না। ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডাব্লু’র আবেদন করেন গুল। অবশ্য আম্পায়ার তাতে সাড়ে দেননি। তারপরও সর্তক হননি তামিম। হুক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন চিমার হাতে।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি সহঅধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ব্যক্তিগত শূন্যরানে দলকে আরও বিপদে ফেলে চিমার দ্বিতীয় শিকার হন এই অলরাউন্ডার। জ্বলে উঠতে পারেননি পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকার মাঠে শতক হাঁকানো নাসির হোসেন। তাকেও (৭) সাজঘরে ফেরান একই বোলার।

পঞ্চম উইকেটে বিপর্যয় সামাল দেয় বাংলাদেশ। শাহরিয়ার নাফিসের সঙ্গে ১৮০ রানের জুটি গড়েন সাকিব। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেননি ওপেনার নাফিস। উইকেট কামড়ে পড়ে থাকার ফল পেয়েছেন। আগের টেস্টে দুই ইনিংস মিলে ২৮ রান করা এই বাঁহাতি ক্রিকেটার পূর্ণ করেছেন ক্যারিয়ারের সপ্তম অর্ধশতক। দুভার্গ্য, মাত্র তিন রানের জন্য শতক বঞ্চিত হয়েছেন। ব্যক্তিগত ৯৭ রানে গুলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক হাঁকিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ১৬৮ বলে অপরাজিত ১০৮ রান করেছেন সাবেক অধিনায়ক। ১৪টি চারের মার ছিলো তার ইনিংসে। সিরিজের প্রথম টেস্টেও অর্ধশতক (৫১) হাঁকান এই অলরাউন্ডার।

দুই টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে পাকিস্তান।

[Rifat]

make du'a make loads and loads of du'a match not really over yet....

[idrinkh2O]

Originally Posted by oronnya
kufa lagaitesen kan bhai???? eshob bolar shathe shathei amader dol er shocking performance dekhi amra... otto akash kushum shopno dekhe llabh nei... proshanto jolashoi ekhono bohuduuuuuuuur ... etto kichhu asha kori na... ora khali ettu dhorjo dhore khele 300 cross koruk... porerta pore dekha jabe...

MashAllah, SubhanAllah, Alhamdulillah, Allahu Akbar, InshAllah!!!

Dua' porlam/likhlam, asha kori nojor lagbe na, inshAllah!

[simon]

yes some gr8 individual performances but as a team we are still in a tough situation, need atleast a 70-80 runs more to the total.

[Roni_uk]

Guys don't get ur hopes up about tomorrow as most of the day may just be called off due to fog....I just saw the news. The country is submerged under heavy fog

[idrinkh2O]

Originally Posted by simon
Paniwala bhai, jan, ektu pani khaya ashen,gola nishchoi shukaya gesey
ar eto gula 100 marle khela je draw hobe eita ki mathay asey bhai?

Simon vhaya, ami pani khayna, pani paan kori shudu! Jaan miya, I'm thirsty, ek-glass pani anar bebostha koren

Eto gula 100 maira, tarpor amago Shakib, Sunny, SRK, Nazmul, Riyad, Robiul 20-to wicket nebo inshAllah.

Allah Malik!...Allah amader ei Test-ti jitie dao, ameen

[idrinkh2O]

BD vs PAK: Day 1 (December 17, 2011)















Source: http://www.banglanews24.com/photogallery.php

[idrinkh2O]

সাকিবদের প্রশংসায় চিমা (MashAllah, Alhamdulillah)
মাসুদ আলম | তারিখ: ১৮-১২-২০১১


দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির উদ্যাপনে হেলমেটটা খুললেন না সাকিব। হয়তো অপেক্ষায় রয়েছেন আরও বড় উপলক্ষের


রানের খাতা খোলার আগেই নাজিমউদ্দিনের বিদায়। শুরু হলো উইকেট পতনের মিছিল, যা থামল গিয়ে ৪৩/৪-এ

দিনের শুরু আর শেষের মধ্যে এমন অমিল! আইজাজ চিমার হাতে শুরুতে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপ বাংলাদেশের ইনিংস। চিমাই তিন উইকেট তুলে বাংলাদেশকে বানিয়ে দিয়েছেন ৪৩/৪। সকালে এই চিমা-ত্রাসে কম্পমান বাংলাদেশই দিনশেষে ২৩৪/৫। প্রবল প্রতিপক্ষের দিকে এখন অন্তত চোখ তুলে তাকাতে পারছে স্বাগতিকেরা।

পাঞ্জাবের পেসার চিমা তো বটেই, ৪ উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে গোটা পাকিস্তানের বোলিংকেই ভোগাল। পঞ্চম উইকেটের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হলো প্রায় দিনের শেষ পর্যন্ত। সাকিব-শাহরিয়ারের যুগল ব্যাটিং অন্ধকার সরিয়ে ফোটাল আলোর রেখা। ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন শেষে স্বাগতিকেরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে এই দুজনের কল্যাণেই।

পাকিস্তানের পক্ষে দিনের সেরা ওই চিমা। কিন্তু তাঁর শুরুর উচ্ছ্বাসটা শেষ বিকেলে আর রইল না। সংবাদ সম্মেলনে এসে বরং সাকিব-শাহরিয়ারকেই ভেজাতে হলো প্রশংসায়!

‘দুই ব্যাটসম্যানই (সাকিব-শাহরিয়ার) বল বুঝে ব্যাট করেছে। খারাপ শট এড়িয়েছে এবং ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আমরা সঠিক জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সতর্ক দুই ব্যাটসম্যান ভুল করেনি।’ চার টেস্টে এখন পর্যন্ত ১৭ উইকেট পাওয়া চিমা কি একটু মুগ্ধও নন! বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন, এই দৃশ্য তো এই সিরিজে অনেকটা অচেনাই ছিল চিমাদের কাছে।

সংবাদ সম্মেলনে তাই প্রশ্ন গেল—সাকিব-শাহরিয়ারকে বল করতে কতটা সমস্যা হয়েছে? ৩২ বছর বয়সে টেস্ট অভিষিক্ত চিমার উত্তর, ‘হ্যাঁ, সমস্যা তো হয়েছেই। ওরা ভালো ব্যাটিং করেছে। অধৈর্য হয়নি, অযথা বিগ শট না খেলে সিঙ্গেলসের দিকে মনোযোগ দিয়েছে বেশি।’

এই সিরিজের বাংলাদেশের আগের ব্যাটিং আর কালকের সাকিব-শাহরিয়ারের ব্যাটিং পুরোই ভিন্ন। প্রতিপক্ষ বোলার হিসেবে পার্থক্যটা কোথায় দেখলেন? চিমার কথা, ‘দ্রুত উইকেট পড়লেও সাকিব ও শাহরিয়ার তাদের ব্যাটিং সামর্থ্যটা দেখিয়েছে, আগের ম্যাচগুলোতে যা সেভাবে দেখা যায়নি।’

সকালে কন্ডিশন ছিল পেস বোলিং সহায়ক, সেটি কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে আবারও ধস নামিয়েছিল পাকিস্তান। বল হাতে সেই যজ্ঞের অগ্রণী চিমা সেটিই সামনে আনলেন, ‘কন্ডিশন ছিল ভালো বোলিং উপযোগী। আমরা সঠিক কাজটাই করার চেষ্টা করেছি। লাইন-লেংথে বল করে সাফল্য পেয়েছি।’
তবে নাজিমউদ্দিনের উইকেট এর মধ্যে না থাকলে সাফল্য বড় হতো না। টিভি রিপ্লেতে কারও কারও মনে হয়েছে, ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী এলবিডব্লু ছিলেন না। নাজিমের উইকেটটা পেয়ে নিজেকে একটু ভাগ্যবান ভেবেছেন? প্রশ্নটায় প্রচ্ছন্ন খোঁচা থাকলেও চিমার ডেলিভারিটা বেশ নিরীহ, ‘আমি বল করেছি এবং আবেদন করেছি। আউট দেওয়ার ব্যাপার আম্পায়ারের।’

চিমার আশাবাদ, ‘আমার জন্য আজকের (কালকের) সকালটা যেমন কাটল, কালও (আজ) তা ফিরিয়ে আনতে চাই। তবে এটা নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর, আজকের সকালটা যেমন ছিল বোলিং সহায়ক।’
বলাই বাহুল্য, সাকিব-মুশফিকরা তা হতে দিতে চাইবেন না।
------------------------
Cool & Cool Cup
Cheema credits Tigers duo
Sports Reporter

Pakistan pacer Aizaz Cheema praised the brilliant batting of the Bangladeshi duo of Shakib Al Hasan and Shahriar Nafees on the first day of the second and final Test at the Sher-e-Bangla National Stadium in Mirpur yesterday.

Cheema reduced Bangladesh to 43 for four, taking three wickets but Shakib joined Nafees to turn the tables on the home side, who had been performing poorly with the bat so far this series against a formidable Pakistan bowling attack.

Cheema thought the big difference in approach was the composure with which the two left-handers batted.

“The partnership was looking for singles and to hit the odd boundaries. They were concentrating on every ball delivered and they seemed to settle down better than any other game that we have played against them so far in the tour. Otherwise there wasn't much of a difference,” said Cheema after the day's play.

“Bangladesh batsmen batted well and the wicket also changed its behaviour as the day progressed for which our bowlers were not able to get the break-through,” he added.

The right-arm paceman also said that the conditions in the morning helped the pacers to inflict the damage on the Bangladesh top order.

“The wicket helped the pacers early. So we will follow the strategy that we had on Day One on the second day and much also depends on the weather. My aim was to bowl on a good line and length and try to hit the seam often. All went right and I am glad to have the wickets,” he explained the reason behind his success in the morning session.

When asked about the condition of Azhar Ali, who suffered an injury on his hand when a sweep shot from Shakib hit him at short leg, Cheema said: “He has been attended to by the doctor. He has got a bruise and is being examined by the team doctor and apparently the injury doesn't look to be a serious one.”

[MohammedC]

Originally Posted by simon
keno,raag korey, naki nijeke kufa mone kore,naki besto chilen? konta?

Just one of those thing. Dont have much energy to see the boys fail miserably. But they have done well from another dire position Nafis and Shakib rescued us.

Just watched the 14 minute highlight. Will upload it in youtube now and FB later. Has to be done for the highest 5th wicket stand.

[idrinkh2O]

৯৭-তে শাহরিয়ারের সান্ত্বনা!
তারেক মাহমুদ | তারিখ: ১৮-১২-২০১১


ওমর গুলের সেই বাউন্সার। সেঞ্চুরির সুবাস পেতে পেতে আউট শাহরিয়ার

দুটি কারণের কথা বললেন শাহরিয়ার নাফীস—

 সর্বশেষ টেস্টের পর পরিবারের সদস্য, সাবেক ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্ট, সতীর্থ এমনকি সাংবাদিক—যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, সবাই বলেছেন আমার ব্যাটিংয়ে নাকি খুব তাড়াহুড়ো দেখা যাচ্ছে। এ জন্যই ভেবেছি, আর যা-ই হোক, তাড়াহুড়ো করব না।

 আরেকটি ব্যাপার, সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাজেভাবে আউট হব না। আউট হতেই পারি, তবে এমনভাবে আউট হব না যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে; যেন কেউ বলতে না পারে, টেস্টে এমনভাবে কেন আউট হলো!

নিজেকে আরেকবার চেনানোর এই দুই পরীক্ষাতেই সফল শাহরিয়ার নাফীস। ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পেলেও ১৭৭ বলে ৯৭ রানের ইনিংসটাতে উইকেটে পড়ে থাকার মানসিকতা ছিল। বাজে বলেও আউট হননি। উমর গুলের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা যে বলটা তাঁর গ্লাভস ছুঁয়ে উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়ল, সেটা দিনের সেরা বলগুলোরই একটি।

শাহরিয়ার তার পরও খুশি হতে পারছেন না পুরোপুরি, আবার হচ্ছেনও। টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৬ সালের মার্চে, ফতুল্লায়। সাড়ে পাঁচ বছর পর কাল দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা যে পেতে পেতেও পেলেন না! তবে ব্যাটে খুব ভালো সময় যাচ্ছিল না বলে ওই ৯৭ রানের ইনিংসেও খুঁজছেন সান্ত্বনা, ‘৯৭ রানে আউট হওয়ায় আফসোস তো হবেই। তবে এমনও তো হতে পারত, ১০ রানে আউট হয়ে গেলাম। সে কারণে ৯৭ রান করায় আমি খুশি।’

শুধু তা-ই নয়, সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরির সঙ্গে মিরপুরে কাল আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয় ঠেকাতে শাহরিয়ারের ইনিংসেরও ছিল বড় ভূমিকা। ৪৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ১৮০ রানের জুটি হয়েছে দুজনের। সময়ের দাবি মেটানোর চ্যালেঞ্জটাও দারুণ উপভোগ করেছেন শাহরিয়ার, ‘এই মুহূর্তের পাকিস্তানি বোলিং আক্রমণ বিশ্বের অন্যতম সেরা। তাদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জ তো আছেই। আর সাকিবের সঙ্গে ব্যাটিং করাটাও দারুণ ব্যাপার। সকালে ব্যাটিং-সহায়ক কন্ডিশন ছিল না, দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম—এমন সময় ব্যাটিং করার চ্যালেঞ্জটা খুব উপভোগ করেছি।’ টেস্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করা সাকিবের প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর মুখে, ‘সাকিব বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ওর সঙ্গে ব্যাটিং করাটা দারুণ। খুবই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটসম্যান। ক্রিজে গিয়ে মাথা ঠান্ডা রাখে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। ও এক পাশ থেকে ভালো ব্যাটিং করায় আমার জন্য পরিস্থিতি সহজ হয়ে গিয়েছিল। কখনোই খুব একটা চাপে ভুগিনি আমরা।’

নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হয়ে গেলেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন শাহরিয়ার, ‘সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও কোনো টেনশন কাজ করেনি। বুঝতে পারছিলাম, ফাস্ট বোলাররা আমাকে বাউন্সারই দেবে। ফার্স্ট সেশনের পর থেকে ওরা আমাকে সারাক্ষণ বাউন্সার মারছিল। কিন্তু ওই বলটা এত ভালো জায়গায় পড়ল যে, ছাড়তে পারিনি। গ্লাভসে লেগে যায়। বাজেভাবে আউট হলে আফসোস বেশি লাগত। ভালো বলে আউট হয়েছি তো, কিছু করার নেই।’

নিজে আউট হয়ে গেলেও সাকিবের সঙ্গে উইকেটে আছেন অধিনায়ক মুশফিক। শাহরিয়ারের আশা, আজ দ্বিতীয় দিনেও ভালো ব্যাটিংয়ের ধারাটা ধরে রাখবেন তাঁরা, ‘দল এখন কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে। আমরা আশা করছি, ওরা ভালো ব্যাটিং করে আরেকটি বড় জুটি গড়বে। তাহলে বড় স্কোর করে বোলারদের ১০ উইকেট নেওয়ার একটা সুযোগ দিতে পারব। তবে এখনো অনেক দূর যেতে হবে। কাল (আজ) যদি অন্তত দেড় থেকে দুই সেশন ব্যাটিং করতে পারি...।’

মুশফিকের সঙ্গে দিনশেষে ১০৮ রানে অপরাজিত সাকিব। আজ আরও ভালো কিছু হবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে কাল মাঠ ছাড়ার আগে মৃদু হেসে বলেছেন, ‘দেখা যাক...হতেও পারে!’ সাকিবের আশা পূরণ হলে ঢাকা টেস্ট পাকিস্তান সিরিজের হতাশা ভোলার একটা উপলক্ষ হতেও পারে। শেষ ভালোর আশাটাও তাতে পূরণ হয়!

[idrinkh2O]

টুকরো টুকরো ছবি| তারিখ: ১৮-১২-২০১১  উৎপল শুভ্র

দর্শক
সব দেশের ক্রিকেট-দর্শকই চার-ছয় পছন্দ করে। তবে বাংলাদেশের দর্শকেরা বোধহয় একটু বেশিই করে। বিশেষ করে সেই চার যদি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে আসে। সেটি ব্যাটের কানায় লেগে এলেও সমস্যা নেই! আইজাজ চিমার চার বলে তিনটি চার মেরে সাকিব আল হাসান যেমন উত্তাল করে তুললেন গ্যালারি। তবে এই দর্শকদের স্পোর্টিং বলা কঠিন। তাহলে কি আর সাকিবের সুইপ হাতে লাগার পর ব্যথায় কাতর আজহার আলীকে দেখে গ্যালারি থেকে হর্ষধ্বনি ওঠে!

নিচেই ভালো
গত বছরের শুরুতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের সময় তাঁকে ‘বিশ্বের সেরা আট নম্বর’ বলে রায় দিয়ে দিয়েছিলেন সুনীল গাভাস্কার। পরপর দুই টেস্টে মাহমুদউল্লাহকে ৬৯ ও অপরাজিত ৯৬ করতে দেখে গাভাস্কারের মুগ্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। পরের টেস্টেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি, সেটিও ৮ নম্বরেই। আরও ওপরে খেলতে চান কি না—এই প্রশ্নও তখন নিয়মিতই শুনতে হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহকে। কাল টেস্ট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ওপরে ব্যাটিং করলেন। ৪ নম্বরে নেমে শূন্য রানেই আউট। টানা দ্বিতীয় শূন্য। টেস্টে মাহমুদের চার ফিফটির দুটি ৫ নম্বরে খেলে। তবে ৮ নম্বরেই সবচেয়ে সফল। ক্যারিয়ার-গড় যেখানে ৩০.০৯, ৮ নম্বরে তা ৪২.৫০।

এবার ব্যতিক্রম
শাহরিয়ার নাফীসের ফিফটি মানে ঠিক ফিফটিই! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ঠিক ৫০ করেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামেও তা-ই। এটা অবশ্য আইসিএল-উত্তর শাহরিয়ার নাফীসের কথা হচ্ছে। আইসিএলে যাওয়ার আগে তাঁর চারটি টেস্ট ফিফটির সব কটিই ছিল পঞ্চাশের বেশি (৫১, ৭৯, ৬৪ ও ৬৯)। কাল এই ৫০-এর বৃত্ত ভাঙতেই কিনা, ৪৭ রানে চার মেরে ফিফটিকে ৫১ রান বানিয়ে ফেললেন নাফীস। দিন শেষে অবশ্য সেই আনন্দ মুছে গিয়ে বড় হয়ে উঠল তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করার দুঃখ।

সাত বছর পর
টেস্ট অভিষেকের কথা ধরলে বাংলাদেশের এই দলে সবচেয়ে সিনিয়র নাজমুল হোসেন। অথচ টেস্ট অভিজ্ঞতায় তিনি নাজিমউদ্দিনের সঙ্গে নবীনতম। দুজনই খেলছেন দ্বিতীয় টেস্ট। পার্থক্য হলো, নাজিমের এটি টানা দ্বিতীয় টেস্ট আর নাজমুলের প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যে ব্যবধান ঠিক সাত বছরের। ৪টি ওয়ানডে খেলার পর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে। মাঝে সাত বছরে চোট-আঘাত আর নির্বাচকদের উপেক্ষায় খেলতে পেরেছেন মাত্র ৩৬টি ওয়ানডে। নাজমুলের দুই টেস্টের মধ্যে সবচেয়ে বড় মিল—দুটিরই শুরু ১৭ ডিসেম্বর!

পরে নেমে আগে
সাকিব আল হাসান যখন নামলেন, শাহরিয়ার নাফীসের রান ২২। লাঞ্চের সময় নাফীস অপরাজিত ২৪ রানে, সাকিব ৯। আস্তে আস্তে দুজনের রানের ব্যবধান কমতে শুরু করলেও নাফীসই আগে ফিফটি ছুঁলেন। সাকিব তখন অপরাজিত ৪১। ৪৯ থেকে দুই চারে সাকিব যখন ৫৭, নাফীস অপরাজিত ৬৩ রানে। ৬২তম ওভারের শুরুতেও নাফীসই (৯৩) এগিয়ে ৪ রানে। কিন্তু সেই ওভারের শেষ পাঁচ বলে ১১ রান নিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেলেন সাকিব। তবে নাফীসের অভিনন্দনের জবাব দেওয়ার আর সুযোগ পেলেন না তিনি। বাংলাদেশের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে যে নার্ভাস নাইনটিজে কাটা পড়ার স্বাদ পেতে হলো শাহরিয়ার নাফীসকে।

ফ্লাডলাইটও ব্যর্থ
চট্টগ্রাম টেস্টে বিকেলে আলো মরে এলেও একটি ওভারও নষ্ট হয়নি। কারণ ফ্লাডলাইট। ঢাকায় কিন্তু সেই ফ্লাডলাইটও হার মানল কুয়াশার কাছে। সকালে খেলা শুরু হলো ৭৫ মিনিট পর। শেষ হয়ে গেল নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪৫ মিনিট আগেই। ফ্লাডলাইট জ্বলে উঠতে শুরু করেছিল, কিন্তু সবগুলো বাতি জ্বলে ওঠার আগেই আলো অপর্যাপ্ত বলে রায় দিয়ে দিলেন আম্পায়াররা। নির্ধারিত ৯০ ওভারের ২২টি বাকি থাকল। পুষিয়ে নিতে দ্বিতীয় দিন থেকে আধঘণ্টা আগে খেলা শুরু হওয়ার কথা। তবে মাত্রই দেখা দেওয়া শীতের সঙ্গী কুয়াশা তা হতে দেবে কি না সন্দেহ! পুরো টেস্টেই বোধহয় চলবে এই লুকোচুরি খেলা।
------------------------------------------

মাঠের মুখ
ক্রীড়া প্রতিবেদক | তারিখ: ১৮-১২-২০১১


মাসুদ বিন আবদুল্লাহ

দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে গ্যালারির এক কোণে বসে আছেন ইয়াসমিন আক্তার। একটু পর স্বামী মাসুদ বিন আবদুল্লাহ এসে হাজির, বাচ্চাদের জন্য কী যেন আনতে গিয়েছিলেন। এসেই আট বছরের ছেলে ইয়ামিনকে বোঝাতে শুরু করলেন, ‘বাবা, এই যে দেখছ, এখন ওভার শেষ হয়েছে। ৬ বলে এক ওভার...দেখো, ভালো করে খেয়াল করো।’

পল্লবীর বাসা থেকে স্টেডিয়ামে এসেছেন বাংলাদেশের ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর। চারটি উইকেট পতনের দৃশ্যই বাসায় টিভিতে দেখেছেন ট্রাস্ট ব্যাংকের কাফরুল শাখার কর্মকর্তা। গোটা পরিবার নিয়ে এই প্রথম মাঠে। একা অনেকবারই এসেছেন, ‘আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের এমন সমর্থক, বাংলাদেশের খেলার প্রতিটি বল দেখা চাই-ই চাই। আর কোনো দলের খেলা দেখি না।’

৩৭ বছর বয়সী মাসুদের কালকের সকালটা কাটল বিরক্তিতে। বাংলাদেশ দলে এত পরিবর্তন দেখে মহাবিরক্ত, ‘দলে এত আসা-যাওয়া হলে কনফিডেন্স থাকে খেলোয়াড়দের? আশরাফুলকে নিল, আবার বাদ, কোনো মানে আছে! আরে বাবা, দশটা শূন্য করলেও তামিম, সাকিব, আশরাফুলদের দলে রাখা উচিত। কে বলবে কখন ক্লিক করে বসবে!’

পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেলা দেখার ঝক্কিও আছে। চার বছরের মেয়ে মাহজাবিনের বাথরুম পেয়েছে। ছেলেটা গরম কাপড়চোপড়ে বেশি গরম লাগছে বলে ঘ্যানঘ্যান করছে। স্ত্রীর তাড়া, মেয়েটাকে একটু খাওয়াও। সাকিব আর শাহরিয়ার জমিয়ে ব্যাট করছেন তখন, সাকিবের টানা দুটি চার দেখে মাসুদের আনন্দ দেখে কে, ‘হবে, হবে....খেলাটা ওরা ধরছে!’

[TigerEz]

Originally Posted by Roni_uk
Guys don't get ur hopes up about tomorrow as most of the day may just be called off due to fog....I just saw the news. The country is submerged under heavy fog

there you go just when we have something to cheer about and look forward to that's when something bad starts happening.

[TigerEz]

সেইসব কুলাঙ্গারদের জন্য, যারা আমার দেশের মাটিতে বসে পাকিস্তানকে সমর্থন করে :

২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১, ঢাকা স্টেডিয়ামে শুরু হলো চারদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। পাকিস্তান ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড দলের প্রতিপক্ষ কমনওয়েল্থ একাদশ। পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নামলেন ১৮ বছর বয়সী বাঙালি ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান।পাকিস্তান ক্রিকেট দলের একমাত্র বাঙালি সদস্য। পাকিস্তান দলের সব ব্যাটসম্যানের ব্যাটেই সোর্ড[তলোয়ার স্টিকার। যা জুলফিকার আলী ভুট্টোর নির্বাচনী প্রতীক। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু একজন। তিনি রকিবুল হাসান। তিনি মাঠে নামলেন ব্যাটে জয় বাংলা স্টিকার লাগিয়ে, পাশে বাংলাদেশের ম্যাপ ‼১ মার্চ ১৯৭১, সোমবার দুপুর ১টা ৫ মিনিট। নিশ্চিত ড্র-য়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে খেলা। তখন রেডিওতে শোনা গেলো ইয়াহিয়ার ঘোষণা, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিস্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে ‼সঙ্গে সঙ্গে গর্জে উঠলো গোটা স্টেডিয়াম।ব্যাটে যে জয় বাংলা ধ্বনি নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন রকিবুল হাসান, মুহূর্তে সেই জয় বাংলা ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠলো গোটা দেশ। খেলা মুলতবি ঘোষণা করা হলো। সমগ্র বাঙালি জাতি নেমে এলো রাজপথে। শুরু হলো অসহযোগ আন্দোলন। এর পরের ইতিহাস সবার জানা। একজন ক্রিকেটারের জন্য জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলার চেয়ে বড় আর কোনো চাওয়া নেই। কিন্তু মাতৃভূমির জন্য রকিবুল হাসান ত্যাগ করেছিলেন আজীবন লালিত টেস্ট খেলার স্বপ্ন। কোনোরকম রাজনৈতিক নির্দেশ ছাড়াই যিনি বরণ করে নিয়েছিলেন জুলুম নির্যাতন, যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। ১৮ বছরের টগবগে তরুণ রকিবুল হাসান মাতৃভূমির জন্য টেস্ট খেলার সুযোগ বিসর্জন দিতে পারেন, যে দলের ওপেনার হওয়ার সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেন, এই দেশে আমাদের সাথে খেলায় সেই দলকে সমর্থন দিতে আমাদের কেন লজ্জা হয় না??

সংগৃহীত


beautiful (found this on facebook)

[idrinkh2O]

একটি স্পেল ও একটি জুটি
উৎপল শুভ্র | তারিখ: ১৮-১২-২০১১
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৩৪/৫

একটি বোলিং স্পেল ও একটি পার্টনারশিপ।
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের সারাংশ বলা হয়ে গেল এতেই। আর ভাবসম্প্রসারণ?
নিয়ম অনুযায়ী সেখানে বিস্তারিত আসবে। আইজাজ চিমা আসবেন। আসবেন শাহরিয়ার নাফীস ও সাকিব আল হাসান।

সকালে চিমার বোলিং স্পেল আর শেষ দুই সেশনে দুই ‘এস’-এর ১৮০ রানের জুটির যোগ-বিয়োগে দিনশেষে স্থিরচিত্র হয়ে আছে একটি ছবি। মৌসুমের সবচেয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন বিষণ্ন দিনে বাংলাদেশের বিরল হাসিমুখের ছবি।

৫ উইকেটে ২৩৪ এমনিতে ব্যাটিং দলের জন্য একেবারে উদ্বেল হয়ে ওঠার মতো কোনো ছবি নয়। বরং বলা ভালো, রান-উইকেটের হিসাবে প্রথম দিনে দুই দলে সমতা। তার পরও বাংলাদেশ এগিয়ে! পরস্পরবিরোধী শোনাচ্ছে? আরে ভাই, এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের লেজেগোবরে অবস্থাটা মনে রাখবেন না! মেঘলা আকাশের নিচে চতুর্দশ ওভারে ৪৩ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে যাওয়ার মুহূর্তটাতে আপনি কী ভাবছিলেন, মনে করুন। কি, স্কোরটাকে এখন রানের চেয়ে আরও অনেক বড় বলে মনে হচ্ছে তো!

কুয়াশার কারণে খেলা শুরু হয়েছে ৭৫ মিনিট দেরিতে। টসের সময় মুশফিকুর রহিম কি নিজের হূৎকম্পন শুনতে পাচ্ছিলেন? শুনতে পাওয়ার কথা। তাঁর অধিনায়ক-জীবন শুরু হয়েছিল টানা পাঁচ ম্যাচে টস জিতে। তবে কালকের মতো আর কোনো ম্যাচে এমন মনেপ্রাণে টস জিততে চেয়েছেন বলে মনে হয় না। এমনিতেই ব্যাটিংয়ের যে অবস্থা, তার ওপর পেস বোলিংয়ের এমন আদর্শ পরিবেশ। মুশফিকুর রহিম টসটা হারলেন।

এই পরিস্থিতিতে যা হওয়া স্বাভাবিক, তা-ই হলো। ব্যাটিংয়ের এমন করুণ অবস্থা যে, বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম এখন ‘যদি লাইগা যায়’ মতবাদে বিশ্বাসী। মাহমুদউল্লাহকে চারে তুলে দেওয়া হলো। নাসির হোসেনকে পাঁচে। ফলাফল তথৈবচ।

চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেকটাকে স্মরণীয় করে রাখা নাজিমউদ্দিন মুদ্রার অন্য পিঠটা খুব দ্রুতই দেখে ফেললেন। যদিও বলটা প্যাডের যেখানে লেগেছিল, শট না খেলার ভুল না করলে হয়তো আম্পায়ারের আঙুল ওঠে না।

তামিম ইকবাল দিনের প্রথম বাউন্সারেই হুক করতে গিয়ে ফাইন লেগের হাতে। মাহমুদউল্লাহ বোল্ড হলেন উইকেটে তাঁর দুই পায়ের শিকড় গজিয়ে যাওয়ায়। নাসির অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড।

এর মধ্যে তামিম ইকবালের উইকেটটি শুধু উমর গুলের। বাকি তিনটিই আইজাজ চিমার। নাসিরকে আউট করার মুহূর্তে তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ: ৬.২-২-১৬-৩! চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন খেলা চলাকালীন সময়ে দেশ থেকে দ্বিতীয় পুত্রসন্তানের আগমনী সংবাদ পেয়েছেন চিমা। সতীর্থদের বলেছিলেন, ইনিংসে ৫ উইকেট পেলে সেটি সদ্যোজাত পুত্রকেই উৎসর্গ করবেন। সেটি আর পাওয়া হয়নি। একটু দেরিতে হলেও উৎসর্গের সেই কাজটা ঢাকায় হয়ে যাওয়াটা নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।
হতে দিলেন না শাহরিয়ার নাফীস ও সাকিব আল হাসান। সাম্প্রতিক বাংলাদেশ যেখানে এক সেশনেই অলআউট হয়ে যাওয়ার ভয় জাগায়, সেখানে দুজন অবিচ্ছিন্ন কাটিয়ে দিলেন দ্বিতীয় সেশনের পুরোটাই। শেষ সেশনটাও প্রায় কাটিয়েই দিচ্ছিলেন। শাহরিয়ার নাফীস আউট হওয়ার পর খেলা হয়েছে মাত্র ৩.৪ ওভার।

নাফীসের আউটটা এত সাদামাটা বর্ণনার চেয়ে বেশি কিছু দাবি করে। আইসিএল-উত্তর শাহরিয়ার নাফীসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল, বলে বলে চালাতে চান। সমালোচনায় কান না দিয়ে নিজের খেলাই খেলে গেছেন। সেটির পুরস্কারও পেলেন কাল।

‘পুরস্কার’ কথাটা একটু বেমানান মনে হচ্ছে! ৯৭ রানে আউট হওয়া ব্যাটসম্যানের মনে যে ৯৭ রান করার আনন্দ ছাপিয়ে আর মাত্র তিনটি রান করতে না পারার দুঃখই বড় হয়ে ওঠে। সান্ত্বনা হয় না, তার পরও শাহরিয়ার কিছুটা সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন এই ভেবে যে, গুলের ওই বলটাতে সম্ভবত টেন্ডুলকারও আউট হতেন!

শাহরিয়ারের বিদায়ে ১৮০ রানের জুটিটি ভাঙল। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি। পঞ্চম উইকেটে নতুন রেকর্ডও (আগের রেকর্ড: ১৪৪, মেহরাব জুনিয়র ও মুশফিকুর রহিম, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, চট্টগ্রাম, ২০০৮)। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো জুটিতেই বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড জুটির মালিকও এখন এই দুজন।

জুটিতে শাহরিয়ারের অংশীদার দিনশেষে অপরাজিত সেঞ্চুরির অভিনন্দনে ভিজে ব্যাট উঁচিয়ে মাঠ ছাড়লেন। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এই তৃপ্তি আছে আর শুধুই একজনের। সেই নামটি তখনো বিস্ময় জাগিয়েছিল, এখনো জাগায়। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় ৯ নম্বরে নেমে মোহাম্মদ রফিকের সেঞ্চুরি বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় রূপকথার অংশ হয়ে আছে। দ্বিতীয় দিন শেষে রফিক ড্রেসিংরুমে ফিরেছিলেন অপরাজিত ১০৩ রান নিয়ে। কাল সাকিব ফিরলেন ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে।

রফিকের ওই সেঞ্চুরির কথা আম্পায়ার ড্যারিল হার্পার এখনো ভোলেননি। আলোর স্বল্পতার ব্যাপার-স্যাপার ছিল সেখানেও। ‘আমি ব্যাটসম্যানদের লাইট অফার করলাম। রফিক বলল, লাইটে কোনো সমস্যা নেই। এক বল পরই চার মেরে বলল, “আম্পায়ার, ব্যাড লাইট”।’ পরিচিত সাংবাদিককে হার্পার যতবার গল্পটা বলেন, প্রতিবারই আগের চেয়ে বেশি হাসেন।

‘ব্যাড লাইট’-এর সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার এখন আর ব্যাটসম্যানদের নেই। এটা এখন শুধুই দুই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। কাল আগেভাগে খেলা শেষ হয়ে যাওয়াতেও যেমন সাকিব আর মুশফিকের কোনো ভূমিকা থাকল না। তবে একটা সিদ্ধান্ত কিন্তু তাঁদের হাতেই এবং সেটি দ্রুতই নেওয়া উচিত। সাকিব আল হাসানের নিজেরই উচিত আরও ওপরে ব্যাটিং করা। নিজে থেকে না বললে মুশফিকের উচিত অধিনায়কের ক্ষমতা প্রয়োগ করা। চট্টগ্রাম টেস্টে দুই ইনিংসে যখন নেমেছেন সাকিব, স্কোরবোর্ডে ২৮/৪ ও ৮০/৪। কাল নামলেন ৪৩/৪ দেখতে দেখতে।

পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাওয়ার পর উদ্ধারকর্তার ভূমিকায় দেখা দেওয়ার চেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হতে না দেওয়ার চেষ্টা করাই কি ভালো নয়?

[idrinkh2O]

Bangladesh v Pakistan, 2nd Test, Mirpur, 1st day

Shakib, Nafees rescue Bangladesh
The Report by Abhishek Purohit
December 17, 2011

Bangladesh 234 for 5 (Shakib 108*, Nafees 97, Cheema 3-52) v Pakistan
Scorecard and ball-by-ball details


Shakib Al Hasan and Shahriar Nafees showed that it was possible for Bangladesh batsmen to play shots without throwing their wickets away, with the country's first century partnership in Tests since June 2010. The duo batted for almost two sessions to rescue Bangladesh from what had looked set to be yet another low total, after Aizaz Cheema had reduced them to 43 for 4 in helpful morning conditions.

At no stage in their partnership were Shakib and Nafees subdued, and without doing anything reckless, put on 180 at more than three-and-a-half runs an over. Though the Mirpur track eased out completely after seaming around in the first session, Bangladesh had caved in for 135 on a flat Chittagong surface a week ago. With their Test status being called into question by some, they had everything to prove. Shakib and Nafees showed that there was more to Bangladesh cricket than a large and fanatical fan following.

Fog and dew had delayed the start by 75 minutes but also encouraged Misbah-ul-Haq to ask the under-pressure Bangladesh batsmen to face his fast bowlers - although Pakistan went in with only two of them as against Bangladesh's three. Cheema's morning spell read 8-2-18-3 but Shakib ensured he was kept out of the attack for most of the second session, hitting him for three fours in four deliveries soon after lunch.

Shakib's aggression forced Misbah to turn to his spinners but there was not much help for them from a pitch that had now revealed itself to be a typical flat first-day subcontinent pitch. Shakib continued to play positively against Saeed Ajmal and Abdur Rehman, working them on the leg side, and driving and punching through extra cover. A back-foot punch off Ajmal brought up his 50 and he stepped out next ball to caress a flighted delivery to the extra-cover boundary to bring up the century partnership - Tamim Iqbal and Imrul Kayes were involved in the previous one in Manchester, against England in June 2010.

Nafees had earlier showed his team-mates the way to play the fast bowlers on a surface that was aiding seam in the morning. Wary of edging angled deliveries to the four slips, Nafees aimed to play straight as much as he could. Though that meant letting go of a few scoring opportunities, he went hard when he was given width and pulled with panache. Nafees hammered Umar Gul's first delivery of his second spell through extra cover to reach his third 50 after his return to the Test side in August.

Going against the propensity of Bangladesh batsmen to implode after reaching half-centuries, both batsmen continued in the same vein after getting to their landmarks. With the light fading in the Dhaka winter, Shakib cut Gul for two boundaries in an over to move to 99 and brought the appreciative crowd to its feet with a characteristic chop through point to reach his second Test hundred. Nafees clattered Ajmal through extra cover to move to 97 but Gul sent down an accurate bouncer in his next over to have him gloving it to the wicketkeeper. By then, though, Bangladesh had restored their pride, and Pakistan had looked clueless for the first time in three weeks on this tour.

Things had looked almost predictably bleak for Bangladesh in the morning after Cheema, especially, and Gul were relentless in exposing the hosts' frailties. Getting sharp seam movement, Cheema had Nazimuddin padding up in his first over, though everyone except umpire Shavir Tarapore thought that the bounce would have taken the ball over the stumps.

Gul did not get the kind of movement off the pitch that Cheema managed, and in the absence of swing, he had to rely on his accuracy and the element of surprise. After Tamim Iqbal had tentatively survived against several pitched-up deliveries, Gul dug in the bouncer in his fourth over. Tamim did what Tamim does, and the top-edged hook was taken safely by Cheema at fine leg.

With Bangladesh bringing in a fast bowler at the expense of Mohammad Ashraful, Mahmudullah was given a promotion in the batting order to No. 4. It didn't work, as Cheema rattled Mahmudullah's stumps first ball with one that nipped in between bat and pad.

Nasir Hossain, who had batted as low as No. 8 in the first innings in Chittagong, was sent in at 21 for 3. He looked thoroughly uncomfortable initially, stabbing and getting beaten as the ball jagged around. Another prod at an away-going Cheema delivery produced the edge and ended in the gloves of Adnan Akmal to make it 43 for 4. Another Test involving Bangladesh could have been decided by the first innings, but for Nafees and Shakib.

[idrinkh2O]

Originally Posted by TigerEz
সেইসব কুলাঙ্গারদের জন্য, যারা আমার দেশের মাটিতে বসে পাকিস্তানকে সমর্থন করে :

২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১, ঢাকা স্টেডিয়ামে শুরু হলো চারদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। পাকিস্তান ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড দলের প্রতিপক্ষ কমনওয়েল্থ একাদশ। পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নামলেন ১৮ বছর বয়সী বাঙালি ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান।পাকিস্তান ক্রিকেট দলের একমাত্র বাঙালি সদস্য। পাকিস্তান দলের সব ব্যাটসম্যানের ব্যাটেই সোর্ড[তলোয়ার স্টিকার। যা জুলফিকার আলী ভুট্টোর নির্বাচনী প্রতীক। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু একজন। তিনি রকিবুল হাসান। তিনি মাঠে নামলেন ব্যাটে জয় বাংলা স্টিকার লাগিয়ে, পাশে বাংলাদেশের ম্যাপ ‼১ মার্চ ১৯৭১, সোমবার দুপুর ১টা ৫ মিনিট। নিশ্চিত ড্র-য়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে খেলা। তখন রেডিওতে শোনা গেলো ইয়াহিয়ার ঘোষণা, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিস্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে ‼সঙ্গে সঙ্গে গর্জে উঠলো গোটা স্টেডিয়াম।ব্যাটে যে জয় বাংলা ধ্বনি নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন রকিবুল হাসান, মুহূর্তে সেই জয় বাংলা ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠলো গোটা দেশ। খেলা মুলতবি ঘোষণা করা হলো। সমগ্র বাঙালি জাতি নেমে এলো রাজপথে। শুরু হলো অসহযোগ আন্দোলন। এর পরের ইতিহাস সবার জানা। একজন ক্রিকেটারের জন্য জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলার চেয়ে বড় আর কোনো চাওয়া নেই। কিন্তু মাতৃভূমির জন্য রকিবুল হাসান ত্যাগ করেছিলেন আজীবন লালিত টেস্ট খেলার স্বপ্ন। কোনোরকম রাজনৈতিক নির্দেশ ছাড়াই যিনি বরণ করে নিয়েছিলেন জুলুম নির্যাতন, যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। ১৮ বছরের টগবগে তরুণ রকিবুল হাসান মাতৃভূমির জন্য টেস্ট খেলার সুযোগ বিসর্জন দিতে পারেন, যে দলের ওপেনার হওয়ার সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেন, এই দেশে আমাদের সাথে খেলায় সেই দলকে সমর্থন দিতে আমাদের কেন লজ্জা হয় না??

সংগৃহীত
beautiful (found this on facebook)

Thanks for sharing TigerEz bro/sis...chokhe pani eshe ghelo!

[oronnya]

Originally Posted by idrinkh2O
MashAllah, SubhanAllah, Alhamdulillah, Allahu Akbar, InshAllah!!!

Dua' porlam/likhlam, asha kori nojor lagbe na, inshAllah!

doa portei thaken. .. amrao porchhi !!!

[zsayeed]

Originally Posted by MohammedC
I have not watched a single ball bowled since the first day of first test.

Aapne na africa-te gelen kaje?

[zsayeed]

My man Shak!! Chalio Jao on the wings of Angels.

[zsayeed]

[zsayeed]

Originally Posted by simon
yes some gr8 individual performances but as a team we are still in a tough situation, need atleast a 70-80 runs more to the total.

Ami to chai aro beshi. Tobey ai dui joney miley fara kataisey - ebong aajke chaliye jete hobey - money ai korey jey tara matro shuro korlo. Session by session khelo, 50 er jonno khelo. When you reach that (again for Shak) tarpor abar notun korey shuro koro.

[MohammedC]

Originally Posted by zsayeed
Aapne na africa-te gelen kaje?

you are thinking of someone else.

[zsayeed]

Originally Posted by oronnya
now I understand why both our batsmen got 50s... Shamim was not there for a longgggg time

The commentators change every half an hour, our team ( I mean shak and sn) survived two brutal spells of Shamim blitz. The batsmen read Sham well this time (sham word in intended here ). Next time Sham starts the water guy should take a message to the batsmen to watch out for "gremlins".

[zsayeed]

Originally Posted by MohammedC
you are thinking of someone else.

I remember you posted that you will be away somewher for the whole tour of PAK and wil not be able to see. Anyway, my mistake.