June 13, 2011, 10:31 AM
|
|
Cricket Legend
|
|
Join Date: February 3, 2011
Favorite Player: ShakTikMashNasir(ShakV2)
Posts: 2,024
|
|
ফিফার না, পাকিস্তানেই খেলবে বাংলাদেশ!
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আবেদনে সাড়া দেয়নি আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)। ফলে পাকিস্তানে গিয়েই বিশ্বকাপ প্রাক বাছাই ম্যাচ খেলতে হবে জাতীয় ফুটবল দলকে। মরার ওপর খড়ার ঘা, জাতীয় দলের কোচ রবার্ট রুবচিচও আর ফিরছনে না।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপের এশিয়ান অঞ্চলের প্রাক-বাছাই পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নির্বাচন করা হয়েছে পাকিস্তানকে। হোম এবং অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা হওয়ায় উভয় দেশকেই ম্যাচ আয়োজন করতে হবে। প্রথম ম্যাচ ঢাকায়, ২৯ জুন। লাহোরে ফিরতি ম্যাচ হবে, ৩ জুলাই।
কিন্তু পাকিস্তানকে অনিরাপত ভেবে লাহোরে খেলতে যাওয়াটা বিপদজনক মনে করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এমন কি জাতীয় দলের প্রধান কোচ রবার্ট রুবচিচ পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন। সেজন্য পাকিস্তানের হোম ম্যাচ ঢাকায় আয়োজনের জন্য ফিফার কাছে আবেদন করেছিলো বাফুফে। জুরিখে ফিফা কংগ্রেসে কর্মকর্তাদের বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। সেখানে বাফুফে সভাপতিকে মুখের ওপর না করে দেয় ফিফা কর্তাব্যক্তিরা।
বাফুফে সভাপতি জানিয়েছেন,“আমি জুরিখে ফিফা কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা প্রত্যাখান করেছেন।”
পাকিস্তানের ম্যাচটি ঢাকায় আয়োজনের পেছনে যুক্তি দেখিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। “খরচের বিষয়ের সঙ্গে কোচ এবং নিরাপত্তার কারণে দুটি ম্যাচই ঢাকায় চেয়েছিলাম।”
এদিকে বাফুফে সভাপতি ধারণা করছেন পাকিস্তান সফরের ভয়েই অগোচরে দেশে ফিরে গেছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ রুবচিচ। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে ই-মেইলে বাফুফেকে পদত্যাগ পত্রও পাঠিয়ে দিয়েছেন ওই ক্রোয়েশিয়ান। এবিষয়ে সালাউদ্দিন বলেন,“পাকিস্তানে যেতে হবে সে ভয় থেকেই হয়তো সে বাংলাদেশে আর ফিরতে চায় না।”
আসলেই রুবচিচ ফিরছেন না। ভুলেও তিনি বাফুফে কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। এমনকি নিজের এজেন্টকেও পাশকাটিয়ে চলছেন। এথেকেও স্পষ্ট রুবচিচ বাংলাদেশের ফুটবল দল নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ হারিয়ে দেশে ফিরে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন।
জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান বাদল রায় সোমবার সাংবাদিকদের বলেছে,"আজকের দিনই দেখবো। এরপর থেকে তাকে নিয়ে ভাববো না। ২৯ জুনের আগেই স্থানীয় কোচের ওপর জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া হবে।"
এথেকেও স্পষ্ট হয় রুবচিচ পদত্যাগ করেছেন এবং বাংলাদেশে আর আসছেন না। বাফুফে কর্মকর্তারা শুরু খবরটা একদিন বেশি সময় চেপে রাখার চেষ্টা করছেন। যাতে করে পরিস্থিতি ঘোলাটে না হয়।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কোন স্পোর্টস দল পাকিস্তানে খেলতে যায়নি। যাবেই বা কি করে, প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী হামলায় যেখানে পাকিস্তানের নাগরিকরাই প্রাণ দিচ্ছেন, সেখানে বিদেশিদের অবস্থা কতটা ভয়ানক হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেদিক থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দলের পাকিস্তানে না যেতে চাওয়াটাও যৌক্তিক। বিশেষ করে বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাই পর্বের ফিরতি ম্যাচটি যে শহরে হতে যাচ্ছে সেই লাহোরেই শ্রীলঙ্কার ওপর সন্ত্রাসীরা হমলা হয়েছিলো।
নিরাপত্তার অজুহাতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সহ-আয়োজক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিলো পাকিস্তানকে। এমনকি ২০০৯ সালের পর থেকে কোন আন্তর্জাতিক খেলা হয়নি পাকিস্তানে। খোদ পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে হোম ম্যাচ খেলতে হয় প্রবাসে। সেই দেশে গিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল দল খেলবে ভাবতেই গা ছমছম করে উঠার অবস্থা। কিন্তু ফিফার বাধ্যবাধকতায় শেষপর্যন্ত তাই করতে হবে। তবে জীবন বাজি রেখে কতজন ফুটবলাররা পাকিস্তানে যেতে রাজি হবেন সেটাও দেখার বিষয়।
SOURCE
|