রক্তে লাল ক্রিকেট মাঠ
এবার আর কোনো দলের টিম বাসে নয়, পাকিস্তানে এবার ম্যাচ চলাকালে সরাসরি মাঠে গিয়েই হামলা চালাল সন্ত্রাসীরা। আর এই হামলায় সন্ত্রাসীদের বুলেট কেড়ে নিল অন্তত ৮টি তাজা প্রাণ। আহত হয়েছে আরও ১৫ জন। গতকাল বর্বরোচিত এই ঘটনা ঘটেছে বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার উপশহরে। ক্রমবর্ধমান জাতিগত দাঙ্গায় বেলুচিস্তান এখন এক মৃত্যু উপত্যকা।
আনুষ্ঠানিক কোনো ম্যাচ নয়, কিছু ক্রিকেট উৎসাহী যুবক খেলছিলেন স্রেফ মনের আনন্দে। সেই আনন্দের মাঝেই সন্ত্রাসীদের এই রক্তের হোলি খেলা। ক্রিকেট খেলোয়াড়-দর্শক সন্ত্রাসীদের বুলেট কোনো বাছ-বিচার করেনি।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। ওই হামলার মাশুল এখনো দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। নিজ দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত। পাকিস্তানকে হোম সিরিজগুলোও খেলতে হচ্ছে ইংল্যান্ড, আরব আমিরাতের মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে গিয়ে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যখন দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে, তখনই এমন এক হামলা! হোক অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ, বিশ্বের কাছে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে গেল অবশ্যই।
দুটি লরি নিয়ে সরাসরি ক্রিকেট মাঠে ঢুকে তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। বেলুচিস্তানের পুলিশ কর্মকর্তা হামিদ শাকিল বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা প্রথমে রকেট ছুড়ে মারে। পরে মানুষ লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে অ্যাসল্ট রাইফেলের গুলি ছোড়া হয়।’ আহতদের একজন রাজা হামিদ বলেছেন, সন্ত্রাসীরা সংখ্যায় ১২ থেকে ১৫ জন ছিল। ওয়েবসাইট।