|
Forget Cricket Talk about anything [within Board Rules, of course :) ] |
January 13, 2015, 07:29 PM
|
|
Moderator
|
|
Join Date: June 7, 2005
Location: Victoria: Heaven's Earth!
Posts: 19,200
|
|
সন্ত্রাশ যখন ক্ষমতার হাতিয়ার
যখন একটি সরকারকে রাষ্ট্র- ক্ষমতায় থাকার জন্যে সন্ত্রাশ বেছে নিতে হয়, সেই সরকারের আয়ু বেশী দিন আর নেই - এটাই ইতিহাস বলে...
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ গুলিবিদ্ধ
রাজধানীর গুলশানে গত রাতে গুলিবিদ্ধ হন রিয়াজ রহমান। তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় l ছবি: প্রথম আলোবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। দুর্বৃত্তরা তাঁর গাড়িটিও জ্বালিয়ে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টার দিকে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের পাশে ৪৬ নম্বর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে ফিরছিলেন।
রিয়াজ রহমান বর্তমানে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের চিকিৎসক ফাউয়াজ শুভ প্রথম আলোকে জানান, রিয়াজ রহমানের পায়ে দুটি এবং কোমরে দুটি গুলি লেগেছে। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে।
রিয়াজ রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে অবরোধের মধ্যেই কাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টার হরতাল দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। গতকাল রাতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বরাত দিয়ে দলটির সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সরকারের উচ্চমহলের উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণেই এ হামলা করা হয়েছে।
২০-দলীয় জোটের টানা অবরোধ শুরুর পর গত কয়েক দিনে দলটির কয়েকজন নেতার বাসা ও চেম্বারে গুলি ও বোমা হামলা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। কারা এসব করছে পুলিশ তা বলতে পারছে না। পুলিশ বাদী হয়ে এ ধরনের পাঁচটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, সরকারের মদদপুষ্টরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে রিয়াজ রহমান গতকাল রাত আটটার দিকে পুলিশ-ঘেরা গুলশানের কার্যালয়ে ঢোকেন। সেখান থেকে বের হয়ে ব্যক্তিগত গাড়িযোগে তিনি বনানীর বাসায় ফিরছিলেন। গাড়িটি ওয়েস্টিন হোটেলের পাশে ৪৬ নম্বর সড়ক দিয়ে বনানী সড়কের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু ৪৬ নম্বর সড়কে বিলকিস টাওয়ারের সামনে যাওয়ামাত্র পেছন দিক থেকে এসে তিন-চারটি মোটরসাইকেলে সাত-আটজন যুবক রিয়াজ রহমানের গাড়িটির গতিরোধ করে। গাড়ির পেছনে বসা ছিলেন রিয়াজ রহমান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই যুবকেরা হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে গাড়ির কাচ ভাঙতে শুরু করে। একপর্যায়ে গাড়ির দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান চালক। এদিকে কয়েকজন যুবক রিয়াজ রহমানকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে দুটি গুলি তাঁর পায়ে ও দুটি গুলি কোমরে লাগে। গুলি খেয়ে দরজা খুলে গাড়ি থেকে তড়িঘড়ি বের হন রিয়াজ রহমান। তখন যুবকেরা গাড়ির পেছন দিকে কিছু একটা ছুড়ে মারলে গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। মাত্র দু-তিন মিনিটের মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়ে বনানীর দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায় যুবকেরা। ঘটনার পরপরই আতঙ্কে আশপাশে থাকা মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আশপাশে বিভিন্ন জায়গায় সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ।
গতকাল রাত সোয়া নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিলকিস টাওয়ারের সামনে সড়ক পানিতে সয়লাব। প্রত্যক্ষদর্শী চণ্ডীদাস সরকার প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীরা আগুন ধরানোর আগেই চালক পালিয়ে যায়। অন্যদিকে পেছনে বসে থাকা লোকটিও রক্তাক্ত অবস্থায় নেমে যান। আগুন ধরিয়ে দিয়ে যুবকেরা পালিয়ে গেলে তাঁরা কয়েকজন দৌড়ে গিয়ে পানি ছিটিয়ে গাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। অন্যদিকে রক্তাক্ত লোকটিকে লোকজন ধরে বিলকিস টাওয়ারের ঠিক বিপরীত পাশের সেবা হাউস ভবনে নিয়ে যান। পরে তিনি জানতে পারেন, ওই লোক বিএনপির একজন নেতা।
সেবা হাউস ভবনের সব দোকানপাট বন্ধ। ঢোকার মুখে মেঝেতে ছোপ ছোপ রক্ত। ওই ভবনে গেলে টিটু দাশ নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম আলোকে বলেন, ‘হঠাৎ দেখলাম কয়েকটা মোটরসাইকেল একটা প্রাইভেট কারকে থামাইল। এরপর হাতুড়ি দিয়া এলোপাতাড়ি ভাঙচুর শুরু করল তারা। কয়েকজনকে দেখলাম গাড়ির ভেতরে মাথা ঢুকাইতে। এরপর কয়েকটা গুলির আওয়াজ হইল। কিছুক্ষণ পর দেখি এক ভদ্রলোক গাড়ির পিছন সিট থেকে হামাগুড়ি দিয়া বাইর হইতেছে। রক্তে তার প্যান্ট ভিজে গেছে। ওই লোক দৌড়ে সেবা হাউস ভবনের দিকে আসার চেষ্টা করতেছিল। কিন্তু হাঁটতে পারতেছিল না। এর মধ্যেই ওই ছেলেগুলা গাড়িতে আগুন ধরাইয়া দিয়া চইলা যায়। এরপর আমিসহ কয়েকজন মিলে ওই লোককে ধরে নিয়ে ভবনের ভিতরে ঢুকিয়ে একটা ছোট বেঞ্চিতে বসাই। এরপর পাশে থাকা পুলিশ রে ডাইকা আনি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দগ্ধ গাড়িটি পুলিশ নিয়ে গেছে। তবে গুলশান থানায় গিয়ে গাড়িটির খোঁজ মেলেনি। থানার কয়েকজন পুলিশও জানান, গাড়িটি কোথায় তা তাঁরা জানেন না। এ ঘটনার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাত ১০টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায় গণমাধ্যমকর্মী ছাড়াও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও স্বজনদের ভিড়। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে একটি ট্রলিতে করে রিয়াজ রহমানকে এইচডিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এইচডিইউতে নিয়ে যাওয়ার সময় ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণের জন্য উপচে পড়েন গণমাধ্যমকর্মীরা।
এইচডিইউতে নিয়ে যাওয়ার পর একজন চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এখন মেডিকেল বোর্ড বসে তাঁর চিকিৎসার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এইচডিইউর সামনে কথা হয় রিয়াজ রহমানের কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে। ঘটনার আকস্মিকতায় আতঙ্কিত ও হতভম্ব হয়ে পড়েছেন তাঁরা। রিয়াজ রহমানের মেয়ে আমিনা রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাত পৌনে নয়টার দিকে তাঁর বাবার গাড়িচালক তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে ফোন করে বলেন, কে বা কারা গাড়িতে আগুন দিয়ে গুলি করেছে। আমিনা বলেন, চালক এখন তাঁদের বাসায় আছেন। তিনি খুবই আতঙ্কিত। কাঁদছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলা যাবে না।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত শনিবার রাত নয়টার দিকে গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এর এক ঘণ্টা পর আরেক উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক। পরদিন রোববার রাত ১০টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গুলশান-২ নম্বরের বাসার সামনে ফাঁকা গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। একই দিন বেলা তিনটার দিকে অপর উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেনের রামপুরার মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার চেম্বারের সামনে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে ধানমন্ডিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকারের বাসার সামনে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।
সাবিহ উদ্দিনের গাড়িতে আগুন এবং মিন্টু, মঈন খান ও মোশাররফ হোসেনের বাসার সামনে গুলি ছোড়ার ঘটনায় পুলিশ গুলশান থানায় চারটি জিডি করেছে। মিন্টুর বাসার একজন নিরাপত্তাকর্মীও থানায় জিডি করেন। মাহবুব হোসেনের চেম্বারের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় রামপুরা থানায় জিডি হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। তবে জমির উদ্দিন সরকারের বাসার সামনে গুলির ঘটনায় জিডি হয়নি।
ড়েয়াদ মরে @ http://www.prothom-alo.com/banglades...A7%8D%E0%A6%A7
__________________
> Start slow. Build a base. Then explode.
> I needed to perform so that I could give my countrymen an occasion to cherish and be proud of - Ice Man
> My photographs @ flickr http://www.flickr.com/photos/obayedh/
|
January 21, 2015, 04:57 PM
|
|
Cricket Savant
|
|
Join Date: June 30, 2005
Location: Little Rock
Favorite Player: Viv Richards, Steve Waugh
Posts: 32,798
|
|
All cut out from the same cloth. Nekkar jonok!!
+++
One is "this ponthi", one is "that ponthi" who is for "Bangladesh Ponthi"? No one. No one cares for the BD general people. All these political leaders Ex and current have so much money. Obviously they can't earn them from their salaries. #facefalm.
__________________
The Weak can never forgive. Forgiveness is an attribute of the Strong." - Gandhi.
|
January 21, 2015, 05:02 PM
|
|
Moderator
|
|
Join Date: June 7, 2005
Location: Victoria: Heaven's Earth!
Posts: 19,200
|
|
Quote:
Originally Posted by Tigers_eye
All cut out from the same cloth. Nekkar jonok!!
+++
One is "this ponthi", one is "that ponthi" who is for "Bangladesh Ponthi"? No one. No one cares for the BD general people. All these political leaders Ex and current have so much money. Obviously they can't earn them from their salaries. #facefalm.
|
I wonder who is the worse!? Debatable, of course.
I only dream / hope about Bangladesh is to see a govt. in power who represents general people, NOT BNP, BAL or Jamat.
__________________
> Start slow. Build a base. Then explode.
> I needed to perform so that I could give my countrymen an occasion to cherish and be proud of - Ice Man
> My photographs @ flickr http://www.flickr.com/photos/obayedh/
|
February 3, 2015, 04:43 PM
|
|
Moderator
|
|
Join Date: June 7, 2005
Location: Victoria: Heaven's Earth!
Posts: 19,200
|
|
আর কত মৃত্যু, আর কত পোড়া মুখ
পেট্রলবোমায় পুড়ে অঙ্গার সাতজন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গত সোমবার গভীর রাতে বাসে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় ঘটনাস্থলেই সাতজন প্রাণ হারান। মরদেহগুলো উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয় l ছবি: প্রথম আলোআবারও পেট্রলবোমা, আবারও নিভে গেল তাজা প্রাণ। এবার দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমার আগুন একসঙ্গে কেড়ে নিল নিরীহ সাধারণ সাতজন বাসযাত্রীর প্রাণ। বাসের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন অনেকেই। এর মধ্যেই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠা আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবা-মেয়ে, মা-ছেলেসহ ওই সাতজন। আহত হন আরও অন্তত ২৮ বাসযাত্রী। এঁদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জগমোহনপুর এলাকায় গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে যাত্রীবাহী ওই বাসে পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। আইকন পরিবহনের বাসটি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল।
৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ ও মাঝেমধ্যে হরতাল চলছে ২০-দলীয় জোটের ডাকে। এ কর্মসূচির মধ্যে চলছে সহিংসতাও। প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ সাধারণ মানুষ। তবে পেট্রলবোমায় একসঙ্গে নিহত হওয়ার ঘটনা এটাই সর্বোচ্চ।
পেট্রলবোমায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন যশোর শহরের সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা নুরুজ্জামান পপলু ও তাঁর মেয়ে যশোর পুলিশ লাইনস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইশা তাসনিম; কক্সবাজারের চকরিয়ার আবু তাহের ও আবু ইউসুফ; নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বালুচরপাড়া গ্রামের আসমা বেগম ও তাঁর ছেলে মো. শান্ত এবং ঢাকার কাপ্তানবাজার এলাকার মো. ওয়াসিম।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাসের বেশির ভাগ যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিলেন। জগমোহনপুর এলাকায় পৌঁছামাত্র সেখানে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা বাস লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছোড়ে। মুহূর্তেই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠা আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজন মারা যান। বাসযাত্রীদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সেখানে ১৯ জনকে ভর্তি করা হয়। এঁদের বেশির ভাগই বাস থেকে নামতে গিয়ে মাথা, হাত ও পায়ে আঘাত পান। কেউ কেউ সামান্য দগ্ধ হন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ হাসপাতালে নয়জনকে নেওয়া হয়। তাঁরা হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শফিকুল ইসলাম (২৯), মো. জিলফত (২২) ও মো. জিলকদ (২১), মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার কমলনগরের ফারুক আহমেদ (৩৪), একই গ্রামের আলী হোসেন (২০), মো. শরিফুল (১৯), কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রহরকান্দা গ্রামের রাশেদুল ইসলাম (৪২), ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়ার আরিফ হোসেন (১৮) ও মো. হানিফ (৩৪)। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শফিকুল, জিলফত ও রাশেদুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য ছয়জন নিজ উদ্যোগে ঢাকায় চলে যান।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক মির্জা মু. তাইয়েবুল ইসলাম জানান, তাঁদের হাসপাতালে নয়জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। অন্য ছয়জনের শরীরের ৫ শতাংশের মতো করে পুড়ে গেছে।
পেট্রলবোমায় নিহত যশোরের নুরুজ্জামানের স্ত্রী মিতা মাহফুজা (৩৭) বলেন, ‘বেশির ভাগ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে আগুন দেখে চিৎকার দিয়ে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ি। চেতনা ফিরে এলে দেখি, আমি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আমরা চট্টগ্রাম থেকে ওই বাসে উঠেছিলাম। ছেলে, মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এ যাত্রাই আমার কাল হলো। স্বামী ও মেয়েকে হারালাম।’
যশোরে নুরুজ্জামানের বাড়িতে বিলাপ করছিলেন তাঁর বোন আফরোজা পারভীন। তাঁর সব ক্ষোভ যেন চলমান রাজনীতির ওপর। ‘পেট্রলবোমা জামায়াত মেরেছে, না আওয়ামী লীগ মেরেছে, তা আমরা জানি না। আমরা কাউকে বিশ্বাস করি না। মানুষের জীবন নিয়ে ওরা নাটক করছে’, বলেন তিনি।
পেট্রলবোমায় মা আসমা ও ভাই শান্তকে হারিয়েছেন মো. মুন্না। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে বাসে উঠি। কাঁচপুর গিয়ে আমাদের নেমে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই সব শেষ হয়ে গেছে।’
চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট নাজিম উদ্দিন বলেন, পেট্রলবোমায় প্রায় পুরো বাস পুড়ে গেছে। যাত্রীরা ঘুমিয়ে থাকায় হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসহ মহাসড়ক পুলিশের কর্মকর্তারা গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার জানান, পেট্রলবোমায় ঘটনাস্থলেই সাতজন মারা গেছেন। লাশগুলো কুমিল্লার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হয়। পরে সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এসপি ও চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চক্রবর্তী গতকাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট দেশব্যাপী অবরোধ ডেকেছে। ওই অবরোধকে কেন্দ্র করেই ঘৃণ্য এ ঘটনা ঘটেছে।
মিয়াবাজার এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, একই রাত তিনটার দিকে মিয়াবাজার এলাকায় একটি লোকাল বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এই ফাঁকে জগমোহনপুর এলাকায় যাত্রীবাহী ওই বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। চৌদ্দগ্রাম জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত। তার পরও সেখানে পুলিশি তৎপরতা কম বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের। মহাসড়কের নিরাপত্তায় আনসার নামানো হলেও ওই গুরুত্বপূর্ণ স্পটে কোনো আনসার সদস্যের দেখা মেলেনি বলে জানান তাঁরা।
আটক ও তদন্ত কমিটি: চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি জানান, পেট্রলবোমা ছোড়ার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের ২০ হাজার করে টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে
Time for the general people to stand up and reject these two corrupt political parties along with Jamat and JP.
http://www.prothom-alo.com/banglades...A6%9C%E0%A6%A8
__________________
> Start slow. Build a base. Then explode.
> I needed to perform so that I could give my countrymen an occasion to cherish and be proud of - Ice Man
> My photographs @ flickr http://www.flickr.com/photos/obayedh/
|
Currently Active Users Viewing This Thread: 1 (0 members and 1 guests)
|
|
Posting Rules
|
You may not post new threads
You may not post replies
You may not post attachments
You may not edit your posts
HTML code is On
|
|
|
All times are GMT -5. The time now is 02:13 AM.
|
|