facebook Twitter RSS Feed YouTube StumbleUpon

Home | Forum | Chat | Tours | Articles | Pictures | News | Tools | History | Tourism | Search

 
 


Go Back   BanglaCricket Forum > Miscellaneous > Forget Cricket

Forget Cricket Talk about anything [within Board Rules, of course :) ]

Reply
 
Thread Tools Display Modes
  #1  
Old April 13, 2010, 06:46 AM
Purna's Avatar
Purna Purna is offline
First Class Cricketer
 
Join Date: August 20, 2009
Posts: 248
Default Bhondo pir-er kobole

http://www.prothom-alo.com/media-det...490/media/2163

ভণ্ড পীর, ভয়ংকর চিকিৎসা
শতদল সরকার, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফিরে | তারিখ: ১২-০৪-২০১০

১৫৬ মন্তব্য প্রিন্ট ShareThis
পরের সংবাদ»



আড়াই মাসের যমজ শিশু দীপা-নীপার জ্বর হয়েছে। মা পুষ্পরানী তাদের নিয়ে এসেছেন এলাকায় হঠাৎ আবির্ভূত আমজাদ ফকিরের কাছে। আমজাদ দেখেই বললেন, শিশু দুটিকে ভূত-পেত্নিতে একসঙ্গে ধরেছে। ততক্ষণে পুষ্পরানী দেখলেন অন্য কয়েকটি শিশুকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শিশুদের বুকফাটা কান্না দেখে পুষ্পরানী যমজ দুই মেয়েকে নিয়ে ফকিরের আস্তানা ছেড়ে যেতে বাইরে পা বাড়ান। সঙ্গে সঙ্গে আমজাদের দুই সহযোগী মনজিল ও সুরত আলী তাঁর কোল থেকে শিশু দুটিকে ছিনিয়ে নেন। এরপর আমজাদ এগিয়ে এসে প্রথমে শিশু দুটির পা কাপড় দিয়ে বেঁধে খুঁটিতে ঝুলিয়ে দেন। শিশুরা বুকফাটা কান্না শুরু করে। আমজাদের সহযোগীরা শিশুদের মাকে সরিয়ে নিয়ে যান। আধা ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখার পর পায়ের বাঁধন খুলে তাদের নামানো হয়। এরপর আমজাদ দুই হাতে দুই শিশুর পা ধরে চারদিকে চরকার মতো ঘোরাতে থাকেন। ঘোরানো শেষ হলে শিশু দুটিকে মাটিতে ফেলে প্রথমে লাথি মারতে মারতে উঠানের এ-মাথা থেকে ও-মাথা পর্যন্ত নেন আমজাদ। আতঙ্কে ও ব্যথায় চিৎকার করতে করতে প্রস্রাব করে দেয় শিশুরা। আতঙ্কিত এক শিশু আমজাদের লুঙ্গি খামচে ধরে। সবশেষে আমজাদ আড়াই মাসের শিশু দুটির পেটের ওপর উঠে দাঁড়ান। শিশুদের তখন কান্নারও শক্তি নেই। শিশুরা আবার প্রস্রাব করে দিলে ছেড়ে দেন আমজাদ। গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) এই প্রতিবেদকের সামনে ঘটে এই বর্বর ঘটনা।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার খাসনগর গ্রামে দেড় মাস ধরে চলছে এই বিকৃত চিকিৎসা। রোগীদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। কথিত এই পীরের নাম আমজাদ হোসেন বেপারি। গ্রামের লোকজন বলে ফকির। আমজাদ দুই মাস আগেও ভ্যানে করে গ্রামে সবজি বিক্রি করতেন।
গত বৃহস্পতিবার শিশু দীপা-নীপার মা পুষ্পরানী প্রথম আলোকে বলেন, শিশুদের জ্বর ও কাশি হয়েছিল। ফকিরের কাছে আনার পর জ্বর আরও বেড়েছে। তিনি জানান, অনেকের কাছে খোঁজ নিয়েছি, ফকিরের চিকিৎসার পর কেউই ভালো হয়নি।
চিকিৎসার নামে আমজাদ চরম নির্যাতন করেন ছোট্ট শিশুদের। সব অসুখ তাঁর কাছে জিন-ভূতের আছর। তরুণী থেকে বয়স্ক নারী—সবাইকে তিনি মোটা বেত দিয়ে পেটান। মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকেন। পুরুষদের চিকিৎসা চড়-থাপড়-লাথি।
গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আমজাদের আস্তানা ও এলাকা ঘুরে তিন দিনে প্রায় ৪০০ জনকে এমন নির্মম নির্যাতনের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে লাঠিপেটা শুরু হয়, চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। বেলা তিনটায় শুরু হয়ে সন্ধ্যায় খানিক বিরতির পর মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই বর্বরতা। দেড় মাস ধরে এ রকম চললেও বিষয়টি প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নজরে আসেনি।
আমজাদের ‘অমানবিক চিকিৎসায়’ যেকোনো রোগ ভালো হয়—লোকমুখে এমন প্রচার শুনে লোকজন সেখানে ভিড় করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রোগী সুস্থ হয়েছে, এমন খোঁজ কেউ দিতে পারেননি এই প্রতিবেদককে।
সিরাজদিখানের রাজনগর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলী আশরাফ বলেন, এটা কোনো চিকিৎসা নয়, অমানবিক নির্যাতন। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা কামানোর ফন্দি। রোগীরা সবাই দরিদ্র ও নিরক্ষর। প্রশাসনের এটা বন্ধ করা দরকার।
চিকিৎসা নিয়েছেন যাঁরা: নতুন বাকতারচর গ্রাম থেকে এনামুল হক এসেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন মা জরিনাকে নিয়ে। আমজাদ দেখেই বললেন, ‘ভূত ও জিন দুটোতেই ধরেছে।’ তাঁকে আমজাদের আস্তানায় রাখা হয়। সকাল-বিকেল দুই বেলা অচেতন না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে লাঠিপেটা করেন আমজাদ। সাত দিন এই প্রহার চলবে জানিয়ে এনামুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাকে শুধুই পেটাচ্ছে। অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।’
মধ্যরাতে ভূতের চিকিৎসা: রাতে ভূতের চিকিৎসার জন্য বাড়ির উঠানে আসর সাজিয়েছেন ধূর্ত আমজাদ। ঢোল, খোল, হারমোনিয়ামসহ আছে বাদক দল। বাদ্যযন্ত্রের উচ্চ শব্দের মধ্যে সব বয়সের নারী রোগীদের এনে মেঝেতে আছড়ে ফেলা হয়। এরপর চলে উপর্যুপরি লাথি, লাঠিপেটা ও চড়-থাপড়। মারধর শেষে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে আমজাদ নিজে নাচেন এবং রোগীদেরও নাচতে বাধ্য করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা। এক নারী এই আসরে আসতে চাইছিলেন না। তাঁকে আমজাদের সহযোগীরা টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসেন। পাঁচটি ঢোল, দু-তিনটি খোল, তিনটি হারমোনিয়ামসহ নানা বাদ্যযন্ত্রের উচ্চ শব্দের মাঝে নারীর চিৎকারের শব্দ হারিয়ে যায়। তাঁকে ফকিরের সামনে এনে আছড়ে ফেলা হয়। এরপর লাথি আর মোটা বেত দিয়ে পেটানো হয়।
এরপর যে মেয়েকে আনা হলো, তিনি অবস্থা দেখে নিজেই এলোপাতাড়ি নাচতে শুরু করলেন। নাচ শেষে রোগীর কাছে আমজাদের প্রশ্ন, ‘তুই কী চাস?’ কিছুক্ষণ পর নিজেই জবাব দেন, জিন আরও নাচ দেখতে চায়। এরপর মেয়েটিকে নিয়ে নাচতে শুরু করেন আমজাদ।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত ৭১ জন রোগীকে লাথি, বেত্রাঘাত ও আছাড় চিকিৎসা দেওয়া হয়। এঁদের কয়েকজন ওসমান মোল্লার স্ত্রী বৃদ্ধ নূরজাহান, প্রতিবেশী আয়েশা বেগম, চরকুন্দলার মোহাম্মদ লিয়াকতের ছেলে নাজমুল সাত দিন ধরে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁরা কেউই সুস্থ হননি বলে জানিয়েছেন।
চিকিৎসার দৃশ্য দেখতে প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক শ মানুষ ভিড় করে আমজাদের বাড়িতে। ভিড় বাড়তে থাকলে টাকা সংগ্রহ করতে নেমে পড়েন আমজাদের খাদেম মনজিল, সুরত আলীসহ অনেকে। তাঁরা খরচের জন্য ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকা করে দিতে বলেন। কেউ বেশি দিলে দিতে পারেন কিন্তু ১০ টাকার কম দেওয়া যাবে না।
‘এটা আধ্যাত্মিক জগত্’: আমজাদ বেপারি বলেন, ‘রোগী আসার আগেই আমি আন্দাজ পাই, কার চিকিৎসা কীভাবে করতে হবে। ছোট বাচ্চাকে পারাইছি। ফুটবলের মতো শট দিছি। আবার দেখেন পাও বাইন্ধা ঝুলাইয়া রাখছি। পাও ধইরা ঘুরাইছি। এ সবই আল্লাহর ইশারা। উনি বলে দেন, কোন রোগীর জন্য কী করতে হবে। এটাই হলো আমাদের আধ্যাত্মিক জগত্।’
শিশুদের ঝুলিয়ে রাখার বিষয়ে আমজাদ বলেন, ‘বাচ্চাদের মধ্যে শয়তানের আছর থাকে। এ জন্য ঝুলিয়ে রাখতে হয়।’ কেউ কি ভালো হয়েছে—জানতে চাইলে আমজাদের জবাব, ‘রোগ সারানোর মালিক আল্লাহ। আল্লাহ আর আমার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।’
আমজাদের খাদেম মনজিল জানান, এই চিকিৎসায় মারধরের পর সরষের তেলই প্রধান ওষুধ। তবে এখন তিনি ডাব, মুরগি ও ডিমপড়া দিতে শুরু করেছেন। সন্তান না হলে ডিমপড়া আর ক্যানসারের জন্য ডাবপড়া দেওয়া হচ্ছে।
সরষের তেলের সঙ্গে ডাব, ডিম দিচ্ছেন কেন—জানতে চাইলে আমজাদ অর্ধেক বাংলায় ও ভুল ইংরেজিতে বলেন, ‘আল্লাহ আমারে একটা জিনিস দিছে। জিনিসটা ভালা না মন্দ, তাই জাস্টিভিট (জাস্টিফাই) কইরা দেখতাছি।’
রোগীদের মারধরের পর আমজাদ সরিষার তেল খাইয়ে দেন। বাড়ির উঠানের এক কোণে সরষের তেলের দোকানও বসেছে। আমজাদের ছোট ভাই জিন্নাত হোসেন কিছুদিন আগেও অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন, এখন উঠানে সরষের তেল, মোম ও গোলাপজল বিক্রি করছেন।
রিকশাচালক থেকে ভণ্ড পীর: আমজাদ জানান, তাঁর বয়স ৩৫ বছর। অক্ষরজ্ঞান নেই। প্রায় ১০ বছর কুয়েতে ছিলেন। প্রতিবেশীরা জানান, কিছুদিন আগেও আমজাদ গ্রামে ঘুরে ঘুরে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করতেন। জানতে চাইলে আমজাদ বলেন, ‘তখন কেউ আমাকে ইজ্জত দিত না। অহোন পীর মানে।’
আমজাদের বাবা নাজির আলী দুই বছর আগে আত্মহত্যা করেছেন। মা সানোয়ারা বাড়িতেই থাকেন। আমজাদ চার কন্যাসন্তানের জনক। এই ভয়াবহ চিকিৎসা প্রতিদিন আমজাদের মা, স্ত্রী এবং সন্তানেরাও দেখে।
নারী-শিশুদের ওপর ছেলের এই নির্মম নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলতে বললে আমজাদের মা বলেন, ‘বাড়িতে অনেক লোকের সমাগম হয়, হয়তো ছেলে কিছু পাইছে।’
তাঁর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাদেরও কি এই একই চিকিৎসা করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আমজাদ বলেন, ‘হ্যাঁ’।
আমজাদের কমিটি: আমজাদের কেরামতি প্রচার করছে কয়েকজন ‘খাদেম’। এঁরা কমিটিও করেছেন। কমিটির সভাপতি আমজাদের চাচাতো ভাই আরব আলী, সাধারণ সম্পাদক একই বাড়ির পিয়ার আলী, কোষাধ্যক্ষ সাইদ হোসেন ও আবুল কালাম এবং সদস্য প্রতিবেশী মনজিল, সুরত আলী, মো. হান্নান প্রমুখ।
যোগাযোগ করা হলে সিরাজদিখান উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমি এ ঘটনা শুনিনি। খোঁজ নেব।’ সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। আর আমরা শুনিনিও।’
__________________
Intellectuals solve problems, geniuses prevent them.

Last edited by ammark; April 13, 2010 at 09:56 AM.. Reason: mod.misc: added bangla tags
Reply With Quote

  #2  
Old April 13, 2010, 07:08 AM
Purna's Avatar
Purna Purna is offline
First Class Cricketer
 
Join Date: August 20, 2009
Posts: 248

bhaiya, now can u see it?
__________________
Intellectuals solve problems, geniuses prevent them.
Reply With Quote
  #3  
Old April 13, 2010, 07:13 AM
riankhan's Avatar
riankhan riankhan is offline
BanglaCricket BPL Fantasy League Winner 2012
 
Join Date: January 9, 2008
Favorite Player: To Bash = AshDaFool
Posts: 2,042

Unbelievable!I
My father is from Munshigong....I am ashamed!
No one is saying anything?!@#
Reply With Quote
  #4  
Old April 13, 2010, 07:15 AM
Purna's Avatar
Purna Purna is offline
First Class Cricketer
 
Join Date: August 20, 2009
Posts: 248

NO no...dont be.....he is already arrested!
__________________
Intellectuals solve problems, geniuses prevent them.
Reply With Quote
  #5  
Old April 13, 2010, 07:18 AM
riankhan's Avatar
riankhan riankhan is offline
BanglaCricket BPL Fantasy League Winner 2012
 
Join Date: January 9, 2008
Favorite Player: To Bash = AshDaFool
Posts: 2,042

Reply With Quote
  #6  
Old April 13, 2010, 07:21 AM
Purna's Avatar
Purna Purna is offline
First Class Cricketer
 
Join Date: August 20, 2009
Posts: 248

thank you so much! I wasnt being able to download the pics...pc's rather slow....but u have done it for me...but people dont seem to be interested to see this.....onke procharonai to korlam!
__________________
Intellectuals solve problems, geniuses prevent them.
Reply With Quote
  #7  
Old April 13, 2010, 07:27 AM
riankhan's Avatar
riankhan riankhan is offline
BanglaCricket BPL Fantasy League Winner 2012
 
Join Date: January 9, 2008
Favorite Player: To Bash = AshDaFool
Posts: 2,042

Quote:
Originally Posted by Purna
thank you so much! I wasnt being able to download the pics...pc's rather slow....but u have done it for me...but people dont seem to be interested to see this.....onke procharonai to korlam!
No worries lill sis, u did a very good job. Thanks.
Just trying to find the Arresting news. Not in today's Prothom-alo
Reply With Quote
  #8  
Old April 13, 2010, 07:35 AM
riankhan's Avatar
riankhan riankhan is offline
BanglaCricket BPL Fantasy League Winner 2012
 
Join Date: January 9, 2008
Favorite Player: To Bash = AshDaFool
Posts: 2,042

ভণ্ডপীরের কাহিনীর পুরোটাই ভণ্ডামি_ নেপথ্যে কারা?

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ:

প্রথম আলোতে 'ভন্ডপীরের ভয়ঙ্কর চিকিৎসা' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সমালোচনার ঝড় তুলেছে। দৃশ্যমান ছবিগুলো ভণ্ডপীরের মতোই ভণ্ড বলে অধিকাংশ লোকেরই ধারণা। কেন না আড়াই মাসের কোন শিশুর পেটে ৩৫ বছর বয়স্ক কোন ব্যক্তি দাঁড়ালে আদৌ এই শিশু বেঁচে থাকতে পারে কিনা_ এ প্রশ্ন এখন মুখে মুখে। এছাড়া পত্রিকাটিতে প্রকাশিত বক্তব্য অনুযায়ী আধা ঘণ্টা উল্টিয়ে ঝুলিয়ে রাখলে আড়াই মাসের বাচ্চাদের অবস্থা কি হতে পারে? চরকার মতো ঘোরানো এবং লাথি দিতে দিতে উঠানের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত নেয়া যমজ বোন নিপা ও দীপাকে সোমবার সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় থানায় আনা হয়, যা ভণ্ডপীরের স্বপ্নে পাওয়া ওষুধের মতোই বিস্ময়কর! এ বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেন বলেছেন, তাঁর বাড়ির পাশের এ ফটোসাংবাদিক খ্যাতির লোভ দেখিয়ে এই ছবি তোলেন। আমজাদ হোসেন বলেন, আমি চিকিৎসা দেই ঝাড়ফুঁক এবং তেল ও পানি পড়া দিয়ে। কেন এমন ছবি তুলতে চাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ঐ ফটোসাংবাদিক বলেন, আমি তো এলাকারই, এমন কিছু করছি যাতে আরও বেশি লোক এখানে আসে। শুধু প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিকই নন, এই ছবি তুলতে প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিকের ভাইও তাঁকে প্রভাবিত করেছেন। মাটিতে শুয়ে থাকা শিশুর গায়ে পা রাখতে বলেন এবং তারপর ছবি তোলেন। পা দিয়ে বাচ্চাকে সরাতে বলেন, বাচ্চাকে উল্টো করে ধরতে বলেন_ এভাবে এই ফটোসাংবাদিকের ইচ্ছানুযায়ী বিভিন্ন পোজে ছবি তোলেন।
কেন সাংবাদিকের কথায় এমন ছবি তুলতে সুযোগ দিলেন_ এই প্রশ্নের জবাবে আমজাদ হোসেন বলেন, 'ফটোগ্রাফার বলেন আপনে আমার এলাকার লোক, আমার ভাই প্রথম আলোর সাংবাদিক, যেভাবে বলি সেভাবে ছবি তুললে প্রথম আলোতে ছাপিয়ে দেব, সারাদেশের লোক জানতে পারবে তুমি ভাল ফকির, তখন আরও লোক আসবে। আমি একবার আফ্রিকায় গিয়েছিলাম, সেখানে এমন ফকির আছে, যারা এভাবে চিকিৎসা করে। এতে রোগ ভাল হয়ে যায়, তুমিও কর দেখি কি হয়.....।' দুই দিন তার আসত্মানায় ও আশপাশ থেকে আমজাদ হোসেনকে প্রলুব্ধ করে ছবিগুলো তুলে নেন।
সোমবার আমজাদ হোসেনের বাড়ির আশপাশের এলাকায় কথা বলে জানা গেছে, এভাবে নির্যাতনের কোন ঘটনা বিগত দেড় মাসেও কেউ দেখেননি। ঝাড়ফুঁক দিয়েই তিনি চিকিৎসা করতেন। তাঁর আসত্মানায় থাকা রোগী বা চিকিৎসা নেয়া রোগীরাও এমন নির্যাতনের কথা বলেননি। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার, এমন একটি বর্বরোচিত (!) ঘটনা দিনের পর দিন প্রধান সড়কের পাশে প্রকাশ্যে চলছে আর স্থানীয় সাংবাদিক, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, প্রতিবেশী কেউই জানলেন না? এমনকি বিষয়টি পত্রিকাটির স্থানীয় প্রতিনিধিরও অজানা।
তবে কী কারণে এ ঘটনা, কার স্বার্থে? এই প্রশ্ন সকলের মুখে মুখে। অনেক সচেতন পাঠক বলেছেন, এই ঘটনা '৭৪ সালের দুর্ভিক্ষাবস্থার সময় বাসন্তীদের দিয়ে বমি খাওয়ানো এবং জাল পরানোর সেই ছবিগুলোরই পুনরাবৃত্তি কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। অনেকেই বলেছেন, বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্যই এ পরিকল্পনা। আবার অনেকে বলেছেন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের পাশাপাশি পুরস্কার পাওয়ার জন্যও এটা করা হতে পারে।
এদিকে আমজাদ হোসেন গ্রেফতার হয়েছেন। সিরাজদিখান উপজেলার খাসনগর গ্রামের আসত্মানা থেকে সোমবার সকালে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। পরবতর্রীতে তাঁর দেয়া তথ্য মতে, সহযোগী নুরু মেম্বার (৪৫), কালাম (৪৬) ও ইলিয়াসকে (৬০) গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও আসত্মানায় রোগীদের ভিড় আছে। রোগীদের বিশ্বাস তাদের পীরকে (!) আটকে রাখতে পারবে না, ফিরে আসবেই। গ্রেফতারকৃত ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেন বলেছেন, নানাভাবে চিকিৎসা করেন, তবে পত্রিকায় যেভাবে ছবি ছাপা হয়েছে, তা পাশের গ্রামের ফটোসাংবাদিক কবিরের ইচ্ছায় হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও যারা এর সঙ্গে আছে সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এতদিন বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসন অবগত ছিল না।
পুলিশের এএসপি সাইদুজ্জামান ফারুকী জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেন অনেক তথ্য ইতোমধ্যেই দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী পুলিশ কাজ করছে। এই ভণ্ডপীরের কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাবের ও কাজ করছে। ব্যাবর স্থানীয় ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি মোঃ মিলন মাহমুদ জানান, ভণ্ডপীরের কর্মকাণ্ডর বিষয়ে তিনি ৫/৭ দিন আগে জেনেছেন। তিনি বৃহস্পতিবারের অপেক্ষায় ছিলেন। কারণ প্রতি বৃহস্পতিবারই লোকজন বেশি হয়। এ সময় সব সহযোগীসহ ধরার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন বলে জানান তিনি।
থানার ওসি মোঃ মতিউর রহমান জানান, এ বিষয়ে ভণ্ডপীর আমজাদ ও তাঁর ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আমজাদ দু'টি সূরা জানেন তাও ভুল
পুলিশ সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, ভণ্ডপীর ও সহযোগীদের বিরম্নদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে ভণ্ডপীরের বরাত দিয়ে এসপি জানান, লাথি দিয়ে বা টাঙ্গিয়ে সে চিকিৎসা করত না, ফটোসাংবাদিকই তাকে বলেছে-উঁচু করে ধরতে, পা দিয়ে লাথি দিতে। এভাবে পত্রিকায় এটা প্রচার করলে তার ব্যবসা ভাল হবে_ এমনটাই তাকে বোঝানো হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, ভ-পীর আমজাদ হোসেনের অক্ষরজ্ঞানও নেই। শুধু দু'টি সূরা (সূরা ফাতেহা ও সূরা এখলাস) জানেন, তাও ভুল।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বানগাঁও গ্রামের যমজ শিশু নিপা-দীপার মা পুষ্প রানী মণ্ডল ও সিরাজদিখানের নয়াগাঁও গ্রামের মানসিক রোগী জরিনা বেগম বাদী হয়ে পৃথক দু'টি মামলা করেছে বলে সিরাজদিখান থানা বিকেলে জানিয়েছে। এছাড়াও পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন এসপি।
প্রতিবেশী জহুরা বেগম জানিয়েছেন, সাংবাদিকের অনুরোধেই ছবিগুলোতে আমজাদ হোসেন পোজ দিয়েছেন। প্রতিবেশী সাকিরা বেগম বলেছেন, জিনের ভর উঠিয়ে মারধরের ভয় দেখিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে। তবে শিশুদের লাথি দিতে বা মারধর করতে তিনি দেখেননি। লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হতো বলেও এলাকার মোঃ হাসান জানান। তাঁর এই অপচিকিৎসার আসরের টাকা ভাগবাটোয়ার সঙ্গেও অনেকে জড়িত। ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেন জানান, নুরু মেম্বার (৪৫), ইলিয়াস মাদবর, কালাম মাদবর ছাড়াও আসলাম মাদবর (৪৫), খালেক মাদবর (৬০), রেজা মাদবর (৭০), সাঈদ মাদবর (৫০), হোসেন মোল্লা (৪০), রুহুল মেম্বার ও আরব আলী জড়িত। এই কমিটির সভাপতি আরব আলী । তিনি এখন গা-ঢাকা দিয়েছেন। প্রথম ৩ জনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা পলাতক রয়েছে। এছাড়া ভণ্ডপীরের পক্ষে আসরে টাকা তুলত সুরত আলী (৬০), মঞ্জিল (৩৫), আমির (৪০)। তাদেরও ধরা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ১১ বছর মধ্যপ্রাচ্যে ছিল ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেন। কিন্তু এতে তাঁর অর্থনৈতিক অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। ভাঙ্গা ঘরের দৃশ্য দেখলেই তা বোঝা যায়। ৪/৫ মাস আগে দেশে এসে রিক্সা বা ভ্যান চালিয়েছেন। তবে প্রথমে ভণ্ডামির এই ব্যবসা শুরুর আগে মিটিংও করা হয়েছে বলে পুলিশ ও ব্যারব নিশ্চিত হয়েছে। প্রথমেই নুরু মেম্বারের মায়ের চিকিৎসা করে ভাল হয়েছে, স্বপ্নে পাওয়া ওষুধে সব রোগ ভাল হয়ে যায় এমন খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
চারপাশে বাঁশের মুলি ও পাটখড়ির বেড়া। ওপরে টিনের চালা। এটাই পীরের বাসভবন। এর পাশে একটি ছোট ঘর সেটি নাকি দরবার শরীফ। সেখানে দুই ঝুড়ি ভরা আপেল। পাশে স্তূপাকারে বিস্কুটসহ নানা কিছু। এগুলো রোগীরা তার জন্য নিয়ে আসে। এর পাশে নতুন টিন ও কাঠের চালার হাসপাতাল, যা দেখে বলা চলে জিন, ভূত-পেত্নী তাড়ানোর অদ্ভুত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রতিবন্ধী চিকিৎসাও চলে এখানে। মাথায় মৌলভীদের ন্যায় কালো কাপড়ের পাগড়ি মোড়ানো, পরনে তাঁর সাদা পাঞ্জাবি ও পাজামা- ওই হাসপাতালটির একমাত্র ডাক্তার ভণ্ডপীর আমজাদের বেশভুষা। তাঁর কয়েকজন সহযোগীও আছেন।
সহযোগীদের নিয়ে ডাক্তার স্বপ্নে দেখা চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করতেন রোগীদের ওপর। ঢাকঢোল বাজিয়ে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে চিকিৎসা করেন ডাক্তার সাহেব। সিরাজদিখান উপজেলার দুর্গম গ্রাম খাসনগরের কারও সামান্য জ্বর-সর্দি হলেও ওই পীরের (!) কাছে ছুটে যান। পরে আমজাদ রোগীদের ওপর চালান তাঁর স্বপ্নে পাওয়া চিকিৎসা পদ্ধতি।
খাসনগর গ্রামে হঠাৎ করেই আমজাদ পীরের আবির্ভাব হয়। মাস দুয়েক আগে তিনি নিজ বাড়িতে আসত্মানা খুলে বসেন। তারপর রোগীদের আগমন বাড়তে থাকলে তিনি সেখানে ২০ শয্যার হাসপাতাল গড়ে তোলেন। ওই হাসপাতালে কথিত পীর আমজাদ গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের লোকজনকে চিকিৎসা দেন। দারিদ্র্যের সুযোগে পীর আমজাদ হয়ে ওঠেন তাদের কাছে মস্ত ডাক্তার। ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকা ফি তাঁর চিকিৎসার জন্য। কেউ কেউ ক্ষেতের লাউ-কুমড়া আর আলু দিয়েও ওই পীরের কাছ থেকে চিকিৎসা পেতেন। এ হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের দুর্গম অঞ্চল সিরাজদিখান উপজেলার খাসনগর গ্রামের কথিত পীর আমজাদের চিকিৎসাশালার পটচিত্র।

এখনও রোগীর ভিড়
খাসনগর গ্রামের একবারে প্রধান সড়ক ঘেঁষে এ ভণ্ডপীরের আসত্মানা। তেঘরিয়া-বেতকা সড়কের বালুর চরবাজারের কাছের এই বাড়িটিতে সোমবার গিয়েও রোগীর ভিড় দেখা গেছে। তাদের যিনি চিকিৎসা করবেন তিনি গ্রেফতার হয়েছেন, নেই সহযোগীরাও। ঘরে ভণ্ডপীরের বউ বাচ্চারাও গা-ঢাকা দিয়েছে। তার পরও রোগীরা যাচ্ছে না। সিভিল সার্জন এএসএম মোসলেম উদ্দিন তাঁর সহযোগীদের নিয়ে গেছেন রোগীদের উপজেলা হাসপাতালে আনতে। কিন্তু তাঁরা কেউ আসবেন না। ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তাঁদের কোন অভিযোগ নেই, সবাই বলছেন তাঁর কাছে এসে সুস্থ হচ্ছেন তাঁরা। এমন অন্ধ বিশ্বাসে থাকা একই উপজেলার চাইনপাড়া গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন (৩০) অবস্থান করছেন। তাঁর কোমরের হাড়ে সমস্যা। তাই ১৬ দিন ধরে এখানে। তাঁর ধারণা এখানে তিনি ভাল হবেন। আগের থেকে নাকি এখন তিনি অনেকটা ভাল। একই কথা গজারিয়ার তেতুইতলা গ্রামের রানা মিয়ার (৩২)। পঙ্গু এই রানা বলেছেন, হাসপাতালে থেকে অনেক ওষুধ খেয়ে ভাল হচ্ছি না, এখানে এসে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি আছেন মায়ের সঙ্গে। তাঁর মা আবেলা বেগম (৭০) বলেন, সব মনের ব্যাপার, বিশ্বাসের ব্যাপার। বোবা রবিউল (৬০) এই ভণ্ডপীরের আসরে বসেই আছেন। তাঁর স্ত্রী লুৎফা বেগম জানান, স্ট্রোক করে বোবা হয়ে গেছেন তিনি, শরীরের একাংশ প্যারালাইজড। ৬ দিন ধরে এখানে। মানসিক রোগী জরিনা বেগম (৫০) কথা বলেন না। তাঁর সঙ্গে থাকা ভাগ্নে মাহবুব জানান, এখানেই আমরা চিকিৎসা নেব, কোথাও যাব না। মারধর বা নির্যাতনের কথা সবাই অস্বীকার করলেন একবাক্যে। এমন আরও রোগী দেখা গেল। আরেক মহিলা বিছানায় ঘুমাচ্ছেন। এত লোকের আনাগোনা তাঁর কোন খবর নেই। অন্যরা বললেন, পাগল। তাঁর সঙ্গেও কেউ নেই।

আমজাদের বিরুদ্ধে ৩ মামলা

ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে ৩টি মামলা হয়েছে। প্রতিটি মামলায়ই ভণ্ডপীরসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রথম মামলাটির সিরাজদিখানের নয়াগাঁও গ্রামের মানসিক রোগী জরিনা বেগমের পুত্র এনামুল হকের, মামলা নং ১২। দ্বিতীয়টি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বানগাঁও গ্রামের যমজ শিশু নিপা-দীপার মা পুষ্প রানী মণ্ডলের। মামলা নং ১৩। সিরাজদিখান থানার ওসি মতিউর রহমান বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন। মামলা নং ১৪। প্রতারণা ও হত্যাচেষ্টাসহ নানা রকমের অভিযোগ রয়েছে মামলা ৩টিতে। রাত পৌনে ৯টায় পুলিশ সুপার মোঃ সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতিটি মামলায়ই ভণ্ডপীর প্রধান আসামি। মঙ্গলবার তাদের কোর্টে হাজির করে রিমান্ড প্রার্থনা করা হবে। পত্রিকায় যে দুই শিশুর ছবি ছাপা হয়েছে সেই যমজ শিশু নিপা-দীপা এখন সুস্থ রয়েছে বলে তিনি জানান। মায়ের সঙ্গে তারাও থানায় এসেছিল। ছবি ছাপা হওয়া মানসিক রোগী জরিনা বেগমও থানায় এসেছিলেন। তাদের পুলিশ থানায় এনে মামলা গ্রহণ করে। প্রথমে তারা মামলা না করে ভণ্ডপীরের পক্ষে কথা বলে। পরে বোঝানোর পর চোখ খোলে এবং মামলা করতে রাজি হয়।
চার কন্যার জনক এই ভণ্ডপীর।
তার এক কন্যার বিয়ে হয়েছে। বাকি ৩ কন্যাই শিশু। স্ত্রী ও শিশু কন্যারা এখন বাড়িতে নেই। তারও এখন আতঙ্কে। তবে তারা কেউ আসামি নয় বলে থানা সূত্র জানায়।

তদন্ত কমিটি গঠন

সিরাজদিখান উপজেলার খাসনগর গ্রামের ভণ্ডপীরের অপচিকিৎসার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ৩ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাসিনুল ইসলাম। অপর ২ সদস্য হচ্ছেন সহকারী পুলিশ সুপার সাইদুজ্জামান ফারুকী ও মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. রুজদুল করিম। রাত সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসেন এ তথ্য জানান।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ফটোসাংবাদিক ও রিপোর্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফটোসাংবাদিকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং রিপোর্টার জনকণ্ঠের পরিচয় জেনে পনেরো মিনিট পরে ফোন করবেন বলে জানান। কিন্তু তিনি আর ফোন করেননি। এরপর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি বার বার ফোন কেটে দেন।

Last edited by ammark; April 13, 2010 at 09:57 AM.. Reason: mod.misc: bangla tags
Reply With Quote
  #9  
Old April 13, 2010, 07:56 AM
Purna's Avatar
Purna Purna is offline
First Class Cricketer
 
Join Date: August 20, 2009
Posts: 248

Quote:
Originally Posted by riankhan
No worries lill sis, u did a very good job. Thanks.
Just trying to find the Arresting news. Not in today's Prothom-alo
It is there in today's Prothom Alo...I myself have read it!
__________________
Intellectuals solve problems, geniuses prevent them.
Reply With Quote
  #10  
Old April 13, 2010, 08:16 AM
bujhee kom's Avatar
bujhee kom bujhee kom is offline
Cricket Savant
 
Join Date: June 27, 2007
Location: Dhaka Mental Hospital
Favorite Player: Jahanara Alam, Zuccarello
Posts: 25,243

Yes, we must take strong initiative to hunt down all these bhondo Peers!!! They are leaching on our vulnaribility and taking full advantage of that and holding us emotional hostage!! We must bring down their chain/gang activity and mureedaans crime sindicate acivity totally and for good!

Ei jonno shorkarke o jonogonke egie ashar jonno amra ahbaan janacchi!
__________________
God bless Ingrid Newkirk, Dianne Feinstein, Hillary Clinton, Kamala Harris, Kirsten Gillibrand, Elizabeth Warren & Mitch Landrieu!
twitter.com/bujheekom

Last edited by bujhee kom; April 13, 2010 at 09:23 AM..
Reply With Quote
  #11  
Old April 13, 2010, 08:21 AM
riankhan's Avatar
riankhan riankhan is offline
BanglaCricket BPL Fantasy League Winner 2012
 
Join Date: January 9, 2008
Favorite Player: To Bash = AshDaFool
Posts: 2,042

The Pir is Vondo to be sure, but the report from Prothom Alo is not fully correct either

http://www.dailyjanakantha.com/news_...04-13&ni=14780
Reply With Quote
  #12  
Old April 13, 2010, 09:22 AM
Tigers_eye's Avatar
Tigers_eye Tigers_eye is offline
Cricket Savant
 
Join Date: June 30, 2005
Location: Little Rock
Favorite Player: Viv Richards, Steve Waugh
Posts: 32,798

Bhondami korey pir nijei nijer khoti korlo. Allah ki oray chairey dibey? He is the Most Just.

Bindu matro bhalo kaj tao dekhano hobay, bindu matro mondo kaj tao dekhano hoaby. Palaitey parba na bhondo.
__________________
The Weak can never forgive. Forgiveness is an attribute of the Strong." - Gandhi.
Reply With Quote
  #13  
Old April 13, 2010, 09:26 AM
bujhee kom's Avatar
bujhee kom bujhee kom is offline
Cricket Savant
 
Join Date: June 27, 2007
Location: Dhaka Mental Hospital
Favorite Player: Jahanara Alam, Zuccarello
Posts: 25,243

How is he holding those two babies that way? Are those babies possessed? Is there an or 2 invisible birth givers? What is going on here? Is this picture a hoax? Is he performing and demonstrating supernatural phenomenon? Please help me find these answers.
__________________
God bless Ingrid Newkirk, Dianne Feinstein, Hillary Clinton, Kamala Harris, Kirsten Gillibrand, Elizabeth Warren & Mitch Landrieu!
twitter.com/bujheekom
Reply With Quote
  #14  
Old April 13, 2010, 09:43 AM
Tigers_eye's Avatar
Tigers_eye Tigers_eye is offline
Cricket Savant
 
Join Date: June 30, 2005
Location: Little Rock
Favorite Player: Viv Richards, Steve Waugh
Posts: 32,798

Quote:
Originally Posted by bujhee kom
How is he holding those two babies that way? Are those babies possessed? Is there an or 2 invisible birth givers? What is going on here? Is this picture a hoax? Is he performing and demonstrating supernatural phenomenon? Please help me find these answers.
swinging the babies. This is a photo not a motion picture. Shala'r paa dhoira swing korano uchit.

If some one does that with animals in this country then he would face charges against Animal cruelty. Let alone human babies.
__________________
The Weak can never forgive. Forgiveness is an attribute of the Strong." - Gandhi.
Reply With Quote
  #15  
Old April 13, 2010, 09:47 AM
bujhee kom's Avatar
bujhee kom bujhee kom is offline
Cricket Savant
 
Join Date: June 27, 2007
Location: Dhaka Mental Hospital
Favorite Player: Jahanara Alam, Zuccarello
Posts: 25,243

Hahahahah...this classicc....hahhahah...
....পুরুষদের চিকিৎসা চড়-থাপড়-লাথি। ....

Am I even reading this right???....Waht is going on in here??./..

....আধা ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখার পর পায়ের বাঁধন খুলে তাদের নামানো হয়। এরপর আমজাদ দুই হাতে দুই শিশুর পা ধরে চারদিকে চরকার মতো ঘোরাতে থাকেন। ঘোরানো শেষ হলে শিশু দুটিকে মাটিতে ফেলে প্রথমে লাথি মারতে মারতে উঠানের এ-মাথা থেকে ও-মাথা পর্যন্ত নেন আমজাদ। আতঙ্কে ও ব্যথায় চিৎকার করতে করতে প্রস্রাব করে দেয় শিশুরা। আতঙ্কিত এক শিশু আমজাদের লুঙ্গি খামচে ধরে। সবশেষে আমজাদ আড়াই মাসের শিশু দুটির পেটের ওপর উঠে দাঁড়ান। শিশুদের তখন কান্নারও শক্তি নেই। শিশুরা আবার প্রস্রাব করে দিলে ছেড়ে দেন আমজাদ।...this is complete insanity, what is going on in there, this is not human, this is not even beyond wrong!!!

And while writing these, the observer must have seen all these happen, why didn't he jump on this 'Fakir' and rescue the hostage tortured infants right away??


...."আমজাদের আস্তানা ও এলাকা ঘুরে তিন দিনে প্রায় ৪০০ জনকে এমন নির্মম নির্যাতনের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে লাঠিপেটা শুরু হয়, চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। বেলা তিনটায় শুরু হয়ে সন্ধ্যায় খানিক বিরতির পর মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই বর্বরতা। দেড় মাস ধরে এ রকম চললেও বিষয়টি প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নজরে আসেনি।"...I can't even believe this, and people go there to watch and they don't don't do nothing....Now I am beginning to question our basic sense of logic, razational and right and wrong, this is very serious damage that reflects very badly on a larger society, are we really that spineless and zombie like mentally malfunctioning....this is national insanity!!! I am completely speechless now..."এরপর চলে উপর্যুপরি লাথি, লাঠিপেটা ও চড়-থাপড়। মারধর শেষে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে আমজাদ নিজে নাচেন এবং রোগীদেরও নাচতে বাধ্য করেন।"

...Outragious..."এরপর যে মেয়েকে আনা হলো, তিনি অবস্থা দেখে নিজেই এলোপাতাড়ি নাচতে শুরু করলেন। নাচ শেষে রোগীর কাছে আমজাদের প্রশ্ন, ‘তুই কী চাস?’ কিছুক্ষণ পর নিজেই জবাব দেন, জিন আরও নাচ দেখতে চায়। এরপর মেয়েটিকে নিয়ে নাচতে শুরু করেন আমজাদ।"...
__________________
God bless Ingrid Newkirk, Dianne Feinstein, Hillary Clinton, Kamala Harris, Kirsten Gillibrand, Elizabeth Warren & Mitch Landrieu!
twitter.com/bujheekom

Last edited by bujhee kom; April 13, 2010 at 10:03 AM..
Reply With Quote
  #16  
Old April 13, 2010, 09:58 AM
Tormuz Tormuz is offline
ODI Cricketer
 
Join Date: March 10, 2010
Posts: 603

Nothing new. There are full of bhondo baba in Bangladesh. Even i\'m one of them
Reply With Quote
  #17  
Old April 13, 2010, 10:03 AM
Tigers_eye's Avatar
Tigers_eye Tigers_eye is offline
Cricket Savant
 
Join Date: June 30, 2005
Location: Little Rock
Favorite Player: Viv Richards, Steve Waugh
Posts: 32,798

koli kaal'er bhondo baba
khaja baba'r nam bhaghaiya
shorgo tarey leng maria bhaotabhaji'r ....

baba'rey baba O baba bhondo baba!!
__________________
The Weak can never forgive. Forgiveness is an attribute of the Strong." - Gandhi.
Reply With Quote
  #18  
Old April 13, 2010, 10:11 AM
ialbd's Avatar
ialbd ialbd is offline
Cricket Legend
 
Join Date: January 7, 2005
Location: Toronto, Canada
Posts: 5,845

Quote:
Originally Posted by riankhan
The Pir is Vondo to be sure, but the report from Prothom Alo is not fully correct either

http://www.dailyjanakantha.com/news_...04-13&ni=14780
this better be true for the sake of HUMANITY !!!
Ever since I read the main article, I wondered how can someone do those to 2.5 months old infants and I was certain that this guy was mentally unstable rather than bhondo...

hmm.. lets see how far this story unfolds. If this is true it'll be a big blow for Prothom-Alo as they made a huge headline story out of this that day...
__________________
KingKortobboBimur.....
Reply With Quote
  #19  
Old April 13, 2010, 10:24 AM
bujhee kom's Avatar
bujhee kom bujhee kom is offline
Cricket Savant
 
Join Date: June 27, 2007
Location: Dhaka Mental Hospital
Favorite Player: Jahanara Alam, Zuccarello
Posts: 25,243

আমজাদের খাদেম মনজিল জানান, এই চিকিৎসায় মারধরের পর সরষের তেলই প্রধান ওষুধ। তবে এখন তিনি ডাব, মুরগি ও ডিমপড়া দিতে শুরু করেছেন। সন্তান না হলে ডিমপড়া আর ক্যানসারের জন্য ডাবপড়া দেওয়া হচ্ছে। -Great!!
সরষের তেলের সঙ্গে ডাব, ডিম দিচ্ছেন কেন—জানতে চাইলে আমজাদ অর্ধেক বাংলায় ও ভুল ইংরেজিতে বলেন, ‘আল্লাহ আমারে একটা জিনিস দিছে। জিনিসটা ভালা না মন্দ, তাই জাস্টিভিট (জাস্টিফাই) কইরা দেখতাছি।’ রোগীদের মারধরের পর আমজাদ সরিষার তেল খাইয়ে দেন।......
Are you kidding me!!!

.....বাড়ির উঠানের এক কোণে সরষের তেলের দোকানও বসেছে। আমজাদের ছোট ভাই জিন্নাত হোসেন কিছুদিন আগেও অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন, এখন উঠানে সরষের তেল, মোম ও গোলাপজল বিক্রি করছেন।...what now!!! Is this an attack on Amjad's younger brother as he is trying to better his life?


...বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত ৭১ জন রোগীকে লাথি, বেত্রাঘাত ও আছাড় চিকিৎসা দেওয়া হয়। এঁদের কয়েকজন ওসমান মোল্লার স্ত্রী বৃদ্ধ নূরজাহান, প্রতিবেশী আয়েশা বেগম, চরকুন্দলার মোহাম্মদ লিয়াকতের ছেলে নাজমুল সাত দিন ধরে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁরা কেউই সুস্থ হননি বলে জানিয়েছেন।
চিকিৎসার দৃশ্য দেখতে প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক শ মানুষ ভিড় করে আমজাদের বাড়িতে। ভিড় বাড়তে থাকলে টাকা সংগ্রহ করতে নেমে পড়েন...
This is beyond funny...people are like, "Ohh I have some money, I haven't had a good kick and beating in the a$$ for a while, why not take a week off and go to Hon. Amjasd Peer Baba and pay him to get my a$$ whipped and kicked!!!Thai is insanity at it's supreme!!!
__________________
God bless Ingrid Newkirk, Dianne Feinstein, Hillary Clinton, Kamala Harris, Kirsten Gillibrand, Elizabeth Warren & Mitch Landrieu!
twitter.com/bujheekom

Last edited by bujhee kom; April 13, 2010 at 10:29 AM..
Reply With Quote
  #20  
Old April 13, 2010, 10:38 AM
bujhee kom's Avatar
bujhee kom bujhee kom is offline
Cricket Savant
 
Join Date: June 27, 2007
Location: Dhaka Mental Hospital
Favorite Player: Jahanara Alam, Zuccarello
Posts: 25,243

Aiii haai hai...now I am reading Rian Khan bhai's report!!! Now I am embarrassed at myself....but this is very interesting...

চারপাশে বাঁশের মুলি ও পাটখড়ির বেড়া। ওপরে টিনের চালা। এটাই পীরের বাসভবন। এর পাশে একটি ছোট ঘর সেটি নাকি দরবার শরীফ। সেখানে দুই ঝুড়ি ভরা আপেল। পাশে স্তূপাকারে বিস্কুটসহ নানা কিছু (this is a major stash!!)।..hahahahah, this guy knows how to eat, my kind of man.... এগুলো রোগীরা তার জন্য নিয়ে আসে।

This is superb...hahaahahaahha....এমন আরও রোগী দেখা গেল। আরেক মহিলা বিছানায় ঘুমাচ্ছেন। এত লোকের আনাগোনা তাঁর কোন খবর নেই। অন্যরা বললেন, পাগল। তাঁর সঙ্গেও কেউ নেই।
__________________
God bless Ingrid Newkirk, Dianne Feinstein, Hillary Clinton, Kamala Harris, Kirsten Gillibrand, Elizabeth Warren & Mitch Landrieu!
twitter.com/bujheekom

Last edited by bujhee kom; April 13, 2010 at 01:27 PM..
Reply With Quote
  #21  
Old April 13, 2010, 10:52 AM
Equinox Equinox is offline
Cricket Guru
 
Join Date: May 25, 2009
Favorite Player: Mustafizur Rahman
Posts: 8,649

There are hundreds of them out there maybe even thousands. Education is the long-term and permanent solution to this type of nonsense. The situation isn't as bad as India though.
Reply With Quote
  #22  
Old April 13, 2010, 01:17 PM
series series is offline
ODI Cricketer
 
Join Date: February 3, 2007
Location: Abu Dhabi
Favorite Player: None Specifically
Posts: 511

Bhais this news is all bhondo - check it out -
http://www.dailyjanakantha.com/news_...04-13&ni=14780
Reply With Quote
  #23  
Old April 13, 2010, 01:58 PM
magic boy magic boy is offline
Cricket Legend
 
Join Date: June 8, 2009
Posts: 3,934

Quote:
Originally Posted by series
Bhais this news is all bhondo - check it out -
http://www.dailyjanakantha.com/news_...04-13&ni=14780
Wow Wow Wow!!! Interesting........আজকাল দেখি কিছু বিশ্বাস করা কঠিন। পায়ের কাছে হাত জোর করে বসে গডফাদারের সাথে কথা বলা ছবি নাকি আসলে অন্তরঙ আলাপচারিতা । আবার এই পীরের ছবিও দেখি ভন্ড

thanx for sharing the news man!
Reply With Quote
  #24  
Old April 13, 2010, 02:05 PM
magic boy magic boy is offline
Cricket Legend
 
Join Date: June 8, 2009
Posts: 3,934

Quote:
মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ প্রথম আলোতে 'ভন্ডপীরের ভয়ঙ্কর চিকিৎসা' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সমালোচনার ঝড় তুলেছে। দৃশ্যমান ছবিগুলো ভণ্ডপীরের মতোই ভণ্ড বলে অধিকাংশ লোকেরই ধারণা। কেন না আড়াই মাসের কোন শিশুর পেটে ৩৫ বছর বয়স্ক কোন ব্যক্তি দাঁড়ালে আদৌ এই শিশু বেঁচে থাকতে পারে কিনা_ এ প্রশ্ন এখন মুখে মুখে। এছাড়া পত্রিকাটিতে প্রকাশিত বক্তব্য অনুযায়ী আধা ঘণ্টা উল্টিয়ে ঝুলিয়ে রাখলে আড়াই মাসের বাচ্চাদের অবস্থা কি হতে পারে? চরকার মতো ঘোরানো এবং লাথি দিতে দিতে উঠানের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত নেয়া যমজ বোন নিপা ও দীপাকে সোমবার সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় থানায় আনা হয়, যা ভণ্ডপীরের স্বপ্নে পাওয়া ওষুধের মতোই বিস্ময়কর! এ বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেন বলেছেন, তাঁর বাড়ির পাশের এ ফটোসাংবাদিক খ্যাতির লোভ দেখিয়ে এই ছবি তোলেন। আমজাদ হোসেন বলেন, আমি চিকিৎসা দেই ঝাড়ফুঁক এবং তেল ও পানি পড়া দিয়ে। কেন এমন ছবি তুলতে চাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ঐ ফটোসাংবাদিক বলেন, আমি তো এলাকারই, এমন কিছু করছি যাতে আরও বেশি লোক এখানে আসে। শুধু প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিকই নন, এই ছবি তুলতে প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিকের ভাইও তাঁকে প্রভাবিত করেছেন। মাটিতে শুয়ে থাকা শিশুর গায়ে পা রাখতে বলেন এবং তারপর ছবি তোলেন। পা দিয়ে বাচ্চাকে সরাতে বলেন, বাচ্চাকে উল্টো করে ধরতে বলেন_ এভাবে এই ফটোসাংবাদিকের ইচ্ছানুযায়ী বিভিন্ন পোজে ছবি তোলেন।
কেন সাংবাদিকের কথায় এমন ছবি তুলতে সুযোগ দিলেন_ এই প্রশ্নের জবাবে আমজাদ হোসেন বলেন, 'ফটোগ্রাফার বলেন আপনে আমার এলাকার লোক, আমার ভাই প্রথম আলোর সাংবাদিক, যেভাবে বলি সেভাবে ছবি তুললে প্রথম আলোতে ছাপিয়ে দেব, সারাদেশের লোক জানতে পারবে তুমি ভাল ফকির, তখন আরও লোক আসবে। আমি একবার আফ্রিকায় গিয়েছিলাম, সেখানে এমন ফকির আছে, যারা এভাবে চিকিৎসা করে। এতে রোগ ভাল হয়ে যায়, তুমিও কর দেখি কি হয়.....।' দুই দিন তার আসত্মানায় ও আশপাশ থেকে আমজাদ হোসেনকে প্রলুব্ধ করে ছবিগুলো তুলে নেন।
সোমবার আমজাদ হোসেনের বাড়ির আশপাশের এলাকায় কথা বলে জানা গেছে, এভাবে নির্যাতনের কোন ঘটনা বিগত দেড় মাসেও কেউ দেখেননি। ঝাড়ফুঁক দিয়েই তিনি চিকিৎসা করতেন। তাঁর আসত্মানায় থাকা রোগী বা চিকিৎসা নেয়া রোগীরাও এমন নির্যাতনের কথা বলেননি। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার, এমন একটি বর্বরোচিত (!) ঘটনা দিনের পর দিন প্রধান সড়কের পাশে প্রকাশ্যে চলছে আর স্থানীয় সাংবাদিক, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, প্রতিবেশী কেউই জানলেন না? এমনকি বিষয়টি পত্রিকাটির স্থানীয় প্রতিনিধিরও অজানা।
তবে কী কারণে এ ঘটনা, কার স্বার্থে? এই প্রশ্ন সকলের মুখে মুখে। অনেক সচেতন পাঠক বলেছেন, এই ঘটনা '৭৪ সালের দুর্ভিক্ষাবস্থার সময় বাসন্তীদের দিয়ে বমি খাওয়ানো এবং জাল পরানোর সেই ছবিগুলোরই পুনরাবৃত্তি কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। অনেকেই বলেছেন, বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্যই এ পরিকল্পনা। আবার অনেকে বলেছেন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের পাশাপাশি পুরস্কার পাওয়ার জন্যও এটা করা হতে পারে।
এদিকে আমজাদ হোসেন গ্রেফতার হয়েছেন। সিরাজদিখান উপজেলার খাসনগর গ্রামের আসত্মানা থেকে সোমবার সকালে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। পরবতর্রীতে তাঁর দেয়া তথ্য মতে, সহযোগী নুরু মেম্বার (৪৫), কালাম (৪৬) ও ইলিয়াসকে (৬০) গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও আসত্মানায় রোগীদের ভিড় আছে। রোগীদের বিশ্বাস তাদের পীরকে (!) আটকে রাখতে পারবে না, ফিরে আসবেই। গ্রেফতারকৃত ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেন বলেছেন, নানাভাবে চিকিৎসা করেন, তবে পত্রিকায় যেভাবে ছবি ছাপা হয়েছে, তা পাশের গ্রামের ফটোসাংবাদিক কবিরের ইচ্ছায় হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও যারা এর সঙ্গে আছে সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এতদিন বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসন অবগত ছিল না।
পুলিশের এএসপি সাইদুজ্জামান ফারুকী জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেন অনেক তথ্য ইতোমধ্যেই দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী পুলিশ কাজ করছে। এই ভণ্ডপীরের কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাবের ও কাজ করছে। ব্যাবর স্থানীয় ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি মোঃ মিলন মাহমুদ জানান, ভণ্ডপীরের কর্মকাণ্ডর বিষয়ে তিনি ৫/৭ দিন আগে জেনেছেন। তিনি বৃহস্পতিবারের অপেক্ষায় ছিলেন। কারণ প্রতি বৃহস্পতিবারই লোকজন বেশি হয়। এ সময় সব সহযোগীসহ ধরার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন বলে জানান তিনি।
থানার ওসি মোঃ মতিউর রহমান জানান, এ বিষয়ে ভণ্ডপীর আমজাদ ও তাঁর ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

তবে ভণ্ডপীরের বরাত দিয়ে এসপি জানান, লাথি দিয়ে বা টাঙ্গিয়ে সে চিকিৎসা করত না, ফটোসাংবাদিকই তাকে বলেছে-উঁচু করে ধরতে, পা দিয়ে লাথি দিতে। এভাবে পত্রিকায় এটা প্রচার করলে তার ব্যবসা ভাল হবে_ এমনটাই তাকে বোঝানো হয়েছে।
kalerkontho

unbelievable ....whom to believe ?
Reply With Quote
  #25  
Old April 13, 2010, 04:08 PM
BANFAN's Avatar
BANFAN BANFAN is offline
Cricket Sage
 
Join Date: March 26, 2007
Favorite Player: Bangladesh Team
Posts: 18,761

I have visited Shorshina, Atroshi, Andha pir Ctg, Enayet Puri bogra, Joypur Hat, Maizbhandar etc and several other less known pirs. Never thought that they had some divine power...... is there really any real pir... Of course some of them could be pious people.... but do we really need any pirs? I haven't seen any such references in Quran....
__________________
[Post CWC19 Consistency Record: [B]Test: W-0 L-0 D-0/B]// ODI: W-0 L-3 // T20: W-0 L-0]
Reply With Quote
Reply


Currently Active Users Viewing This Thread: 1 (0 members and 1 guests)
 

Posting Rules
You may not post new threads
You may not post replies
You may not post attachments
You may not edit your posts

BB code is On
Smilies are On
[IMG] code is On
HTML code is On



All times are GMT -5. The time now is 08:35 AM.



Powered by vBulletin® Version 3.8.7
Copyright ©2000 - 2024, vBulletin Solutions, Inc.
BanglaCricket.com
 

About Us | Contact Us | Privacy Policy | Partner Sites | Useful Links | Banners |

© BanglaCricket