প্রথম ক্রিকেট খেলা চালু হয় আমাদের কিশোরগঞ্জে।
From Kishoreganj Bichitra
সোহান
December 27, 2017
শুনে হয়তো চমকে যাবেন কিন্তু সত্যি। উপমহাদেশে প্রথম ক্রিকেট খেলা চালু হয় আমাদের কিশোরগঞ্জে। আর এই খেলা চালু করেন কিশোরগঞ্জের সারদারঞ্জন রায়। ২৬-০৫-১৮৫৮ ইং তারিখে সারদারঞ্জন রায় জন্মেছিলেন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার কটিয়াদি থানার মসুয়া গ্রামের বিখ্যাত রায় পরিবারে। আগে এই গ্রামের নাম ছিল ‘খুকুরপাড়া’ আর সেখানেই বাংলা ক্রিকেটের শুরু। সেখানেই গঠিত হয়েছিল উপমহাদেশের প্রথম দিকের ক্রিকেট দল। অঞ্চলের বাসিন্দা রামনারায়ণ রায় খ্যাতি–প্রতিপত্ত তে ছিলেন প্রবল প্রতাপান্বিত। রামানারায়ণেরই বংশধর কালীনাথ, হরিকিশোর ও শিবেন্দ্রকিশোর। কালীনাথ রায় ছিলেন তাঁর বাবা, তাঁরা পাঁচ ভাই তিন বোন—সারদারঞ্জন, কামদারঞ্জন, মুক্তিদারঞ্জন, কুলদারঞ্জন, প্রমোদারঞ্জন, গিরিবালা, ষোড়শীবালা ও মৃণালিনী। জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন সম্পর্কে তাঁদের কাকা। জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর কোনো সন্তান না থাকায় তাঁরা কামদারঞ্জনকে পাঁচ বছর বয়সে দত্তক নিয়েছিলেন, নাম বদলিয়ে রেখেছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। বঙ্গ ক্রিকেটের পুরোধা সারদারঞ্জন রায়ের এই ছোট ভাই উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীও ছিলেন বাংলা সাহিত্যের আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর ছেলে সুকুমার রায় ছিলেন বিখ্যাত ছড়াকার আর সুকুমার রায়ের ছেলে সত্যজিৎ রায় ছিলেন আরও বিখ্যাত, চলচ্চিত্র নির্মাতা পরে তিনি অস্কার পুরস্কারও পেয়েছিলেন।
এ পরিবারের আবহে গণ্ডিবাঁধা কিছু ছিল না। যাঁর যাতে আগ্রহ, তিনি সেটা নিয়েই মেতেছেন অনেক দূর পর্যন্ত। কেউ বা লেখক কেউ বা কবি, কেউ বা আবার চিত্রকলা কেউ বা আবার ছবি নিয়ে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। সারদারঞ্জন বিখ্যাত হয়েছেন ক্রিকেট নিয়ে। কিন্তু তিনি কোত্থেক, কীভাবে ক্রিকেট শিখেছেন, সে ইতিহাস স্পষ্ট নয়। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের মাইনর তারপর ময়মনসিংহ জেলা স্কুল—সব জায়গায় ক্রিকেটের সাক্ষী রেখে গেছেন তিনি। তারপর ভর্তি হন ঢাকা কলেজে, এখানে এসে ক্রিকেটের পরিপূর্ণ চর্চা শুরু করেন তিনি। সেই সঙ্গে শারীরিকভাবে শক্তিশালী থাকতে তাঁরা চার ভাই ঢাকা কলেজে নিয়মিত ব্যায়ামচর্চাও শুরু করেন। তিনি শিকার করতেও ভালবাসতেন, শেয়াল তরমুজের ক্ষেত নষ্ট করত বলে ফাঁদ পেতে শেয়ালও ধরতেন । একদিন সকালে ছোট ছোট ভাইদের নিয়ে ফাঁদ দেখতে গিয়ে দেখেন ফাঁদের মধ্যে শেয়ালের বদলে বাঘ-মশাই বসে আছে। তারপর থেকে ফাঁদ পাতা বন্ধ হয়েছিল।
ষোড়শ শতকে ক্রিকেট খেলার প্রচলন শুরু হলেও যখন আন্তর্জাতিকভাবে ১৮৭৭ সালে টেস্ট ক্রিকেট শুরু হয়, তারও আগ থেকে এ বাংলায় সারদারঞ্জন রায় ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। সারদারঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে ১৮৮০ সালের দিকে ঢাকা কলেজ ক্লাব গড়ে ওঠার পর ঢাকায় আস্তে আস্তে ক্রিকেটের প্রচলন প্রসারিত হতে থাকে। অখণ্ড বাংলার প্রথম ক্রিকেট ক্লাব হিসেবে সেটি খ্যাতিও অর্জন করে। ১৮৮৪ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ক্যালকাটা প্রেসিডেন্সি ক্লাবের সঙ্গে এক খেলায় ঢাকা কলেজ জয়লাভ করে। তারপর একের পর এক এ দল জয়লাভ করে অনেকবার। অন্যদিকে তখন ব্রিটিশ উপনিবেশীদের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষের সংগ্রাম-আন্দোলন চলছিল তীব্রভাবে। সিপাহি বিদ্রোহের পর ব্রিটিশদের অত্যাচারে পুরো উপমহাদেশে একটা হতাশা নেমে এসেছিল। তখন তিনি জাতীয়তাবাদী চেতনা উজ্জ্বীবিত করতে আরও শক্তিশালী ক্রিকেট দল তৈরি করেন। তাঁর এ স্বদেশি দল ব্রিটিশদের কয়েকবার পরাজিত করে মেহনতি নির্যাতিত মানুষদের সংগ্রামী করে তুলতে সাহায্য করে। শুধু যে বিদেশি দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়েছেন তিনি এমন নয়, যেখানে অন্যায় দেখেছেন, সেখানেই সোচ্চার হয়েছেন। কলকাতায় যখন পূর্ব বাংলার খেলোয়াড়দের প্রতি অবহেলা বেড়ে যায়, তখন ওখানে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব বাংলার মানুষজন মিলে তাদের প্রতি অবহেলার প্রতিবাদে ১৯২০ সালে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। ওই ক্লাবের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি।
ব্রিটিশরা ক্রিকেটকে সীমাবদ্ধ রেখেছিলো অভিজাতদের মধ্যে। সেখান থেকে বের করে ক্রিকেটকে সাধারণ মানুষের খেলা করে তোলেন সারদারঞ্জন রায়চৌধুরী। ক্রিকেট কোচ হিসেবেও সারদারঞ্জন ছিলেন অনন্য।বাঙালি তরুনদের ক্রিকেট অনুরাগকে সংহত ও স্থায়ী করে তোলার বিষয়ে নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ সারদারঞ্জন রায়। শ্মশ্রুমন্ডিত দীর্ঘ আকৃতি দেখে সারদারঞ্জনকে ইংল্যান্ডের ড. ডব্লু ডি গ্রেসের সঙ্গে তুলনা করা হত। এই তুলনা আরেক কারণে যুক্তিযুক্ত ছিল। ড. গ্রেসকে যেমন বলা হত ইংল্যান্ডের ‘জনক’ তেমনি অধ্যক্ষ সারদারঞ্জনের এক পরিচয় ছিল বাংলার ক্রিকেটের ’জনক’ রূপে। ক্রিকেট খেলাকে এ দেশের মানুষের কাছে সহজ করার জন্য বাংলা ভাষায় ক্রিকেট খেলাবিষয়ক বই লিখেছেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, ক্রিকেটকেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন জীবনের সবকিছুতে। যখন চরম বিপদ, চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন, তখনো ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে পারেননি। ক্রিকেট যখন হাঁটি হাঁটি পা পা, এর সরঞ্জামাদি বিক্রয় করে চলার মতো নয় তখন, তবুও ক্রিকেট খেলার সামগ্রী উৎপাদন করে জীবন নির্বাহের মতো একটা কঠিন পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে এ প্রতিষ্ঠান ক্রিকেট খেলার সরঞ্জামাদি সহজপ্রাপ্যতায় যেমন উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল, তেমনি খ্যাতিও পেয়েছিল অনেক। ১৮৯৫ সালে ‘এস রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলার প্রথম ক্রিকেট সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। সারদারঞ্জন পেশায় ছিলেন শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক, অধ্যক্ষ। তবে ক্রিকেট ছিল তাঁর নেশা। কুমুদরঞ্জন তাঁর পুস্তিকাটিতে লিখেছেন “সারদারঞ্জন জীবনে একটিমাত্র মানুষকে ভয় করতেন, তিনি হলেন ওর বাবা শ্যামসুন্দর। সারদারঞ্জনের একমাত্র রিপু ছিল ক্রোধ। একমাত্র ব্যসন ছির মাছ-ধরা। ক্রিকেট-খেলাটা তিনি এত বেশি গুরুত্ব দিতেন যে তাকে ব্যসন বলা চলে না।” পেশার টানে যেখানে গেছেন সেখানেই ছাত্রমহলে ক্রিকেট চালু করায় সক্রিয় ছিলেন। প্রথমে আলিগড়ে, পরে বিদ্যাসাগর কলেজে। তারও পরে টাউন ক্লাবে। একটা সময় কলকাতা ও আশপাশে শুধু সাহেব সুবোরাই ক্রিকেট খেলত। ঊনবিংশ-বিংশ শতাব্দীর সন্ধিক্ষনে সারদারঞ্জনের নেতৃত্বে বঙ্গসন্তানেরা ক্রিকেট মাঠে আসতে শুরু করেন। সারদারঞ্জনের চেষ্টাতেই বিলিতি ছুতমার্গ নিশ্চিহ্ন হয়। প্রীতি আসরে সাহেবরা বাঙালিদের মুখোমুখি হতে রাজি হয়। তাঁর উদ্যোগেই ১৯১৩-১৪ মরসুমে স্কুল ক্রিকেট ম্যাচের (ইংলিশ বনাম বেঙ্গলি স্কুল) প্রচলন হয়।
প্রাক-টেস্ট ও রনজি ট্রফি পর্বে এই সব বার্ষিক ’স্কুল ম্যাচই’ ছিল কলকাতার ক্রিকেটের সংসারে সবচেয়ে বড় ও মর্যাদামন্ডিত অনুষ্ঠান। প্রতিনিধিত্বমূলক স্কুল ম্যাচে খেলতে ডাক পাওয়াকে সব বাঙালি ক্রিকেটারই মস্ত সম্মান বলে মনে করতেন। প্রথম মহাযুদ্ধের কিছু আগে ও পরে নাটোর ও কোচবিহারের মহারাজাদের চেষ্টা বাংলার মাঠে ক্রিকেট অনুরাগের বীজ পোঁতায় সারদারঞ্জনের প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। নাটোর ও কোচবিহাররাজ বাছাই খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়ে প্রদর্শনী খেলার ব্যবস্থা করতেন। এই সব খেলায় যেমন ইংল্যান্ডের পেশাদার সর্বভারতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারা অংশ নিতেন, তেমনি এগুলিতে যোগ দিতেন বিধু মুখার্জি, শৈলজারঞ্জন রায়, মণি দাস, কালাধন মুখার্জি, প্রতুল ব্যানার্জি, সুরেন আয়কত প্রমুখের মতো খাঁটি বাঙালি তরুণরা। এমনি করেই ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের মাটির মূলে শেকড় নামাতে ব্যস্ত ছিল। বাঙালিদের মধ্যে ক্রিকেট খেলাকে জনপ্রিয় করে তোলেন কোচবিহারের মহারাজ স্যার নৃপেন্দ্রনারায়ণ ভূপ বাহাদুর (১৮৬৩-১৯১১ খ্রি. ) এবং নাটোরের মহারাজ জগদিন্দ্রনাথ রায় (১৮৬৮-১৯২৬ খ্রি.)।একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ক্রিকেটে পূর্ববাংলার সন্তানদের অবদান ছিল বিস্ময়কর এবং বলিষ্ঠ। ১৯৩৮-৩৯ খ্রিস্টাব্দের রঞ্জি ট্রফি জয়লাভকারী বাংলার ক্রিকেট দলের সদস্য কার্তিক বসু (১৯০৬-১৯৮৪ খ্রি .) কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি গ্রামের বিখ্যাত হেমেন্দ্র্রমোহন বসুর (১৮৬৬-১৯১৬ খ্রি .) সন্তান। হেমেন্দ্রমোহন বসুও কলকাতার স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি। বাংলার ক্রিকেটের বহু ব্যাটসম্যানের শিক্ষক এই কার্তিক বসু।
ঠিক এমনিসময়ে কলকাতার অভিজাত ইউরোপীয় সংস্থা ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যমন্ডিত ক্রিকেট সংস্থা এম সি সি- কে ভারতে আনার পরিকল্পনা নেয়। ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব এক প্রাচীন সংস্থা। এই সংস্থার ক্রিকেট ক্লাব ইডেন ইতিহাসে চিহ্নিত ক্রিকেট উদ্যান রূপে। এম সি সি- কে সফরে শুধু আমন্ত্রনই জানানো হয়নি, আমন্ত্রক ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব সফরকারী দলের ব্যয়ভার বহনেও স্বীকৃত ছিল। এর ফলে এম সি সি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ভারত সফর করে ১৯২৬-২৭ মরসমে। এম সি সি-র প্রথম ভারত সফরে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক আর্থার গিলিগ্যান। দলভুক্ত ছিলেন সেকালের বিশ্বশ্রেষ্ঠ বোলার মরিস টেস্ট এবং অ্যান্ডি স্যান্ডহাস, জর্জ গিয়ারির মতো ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলোয়াড়রা। গিলিগ্যান ভারত সফরকালে এদেশীয় তরুণদের ক্রীড়াদক্ষতা দেখে তাঁদের প্রতিভা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হয়ে দেশে ফিরে যে অনুকূল রিপোর্ট দেন, তার ভিত্তিতেই ইম্পিরিয়াল (একালের ইন্টান্যাশনাল) ক্রিকেট কনফারেন্স ভারতকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হলে ১৯২৭- এর নভেম্বরে দিল্লিতে (অন্য মতে ১৯২৮ এর এপ্রিলে, বোম্বাইয়ে) ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই সব ঘটনা থেকেই উপলব্ধি করা যায় যে, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কলকাতার হাত ছিল প্রত্যক্ষ। আর তখন এই অখন্ড ভারতে বাঙালিদের জীবনযাত্রা, রাজনীতি ছিল এই কলকাতা কেন্দ্রীকই। সুতরাং ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনিক দিক থেকে গড়ে তোলার বিষয়ে এই বাংলার অগ্রণী ভূমিকা অস্বীকৃত থাকার নয়।
সারদারঞ্জন রায়ের নানা প্রায়োগিক পদ্ধতি তরুনদের ক্রিকেটে অনুরাগ ও উৎসাহকে বাড়িয়ে তুলেছিল। এই মহান ক্রিকেটার, ক্রিকেট পুরোধা নিজের সীমাবদ্ধতার মাঝেও ক্রিকেট খেলার বিকাশে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও ইএসপিএন, টেন স্পোর্টসের ক্রিকেট গবেষক ড. বড়িয়া মজুমদারের মতে, ”ভারতে প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু করে পার্সিরা, মুম্বাইয়ে। কিন্তু ক্রিকেটকে তারা সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল অভিজাত মানুষদের মধ্যে। সারদারঞ্জন রায়ই প্রথম মানুষ, যিনি ক্রিকেটকে গণমানুষের কাছে নিয়ে এসেছিলেন। ক্রিকেটের জন্য যা যা করা দরকার, সবকিছুই করেছেন দুই হাত খুলে। তাই তাঁকে উপমহাদেশের ক্রিকেটের অগ্রদূত তো বটেই, উপমহাদেশের ক্রিকেটের জনক বললেও ভুল কিছু হবে না।” এই ক্রিকেট পুরোধা ০১-১১-১৯২৫ ইং তারিখে মৃত্যু বরণ করেন। আমরা এই তরুন প্রজন্ম এই ইতিহাস খুব কমই জানি।
আজ বাংলার ক্রিকেট যদি যৌবনে এসে পৌঁছে থাকে, তাহলে অবশ্যই তার বাল্যের ও কৈশোরের পালকদের সুকৃতির কথা স্মরণে রাখতে হবে। যেহেতু সমকাল সব ক্ষেত্রেই বহমান ঐতিহ্যের ধারক। আগের কর্মোদ্যমের সুফল বহতা নদীর মতো। যেতে যেতে দু’পাশের তটভূমিকে সমৃদ্ধ করে । যে আলো আজ জ্বলছে, তার সলতে পাকানোর কাজ কিন্তু অনেককাল আগেই শুরু হয়েছিল। যাঁরা শুরু করেছিলেন তাঁরা আজ চোখের সামনে না থাকলেও ইতিহাসে আছেন। সবাই ঋণী, কৃতজ্ঞ অতীতের কাছে।
আমাদের কিশোরগঞ্জের বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও রাজনীতিক নাজমুল হাসান পাপন এবং পরিচালক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ভাই ইচ্ছা করলেই পারেন এই সারদারঞ্জন রায়কে তরুন প্রজন্মের মধ্যে স্মরনীয় করে রাখতে। জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক খেলায় উনার সম্মানে কয়েকমিনিটের নীরবতা পালন করে । কিশোরগঞ্জে উনার নামে একটি স্টেডিয়াম হলে খুব ভাল হয় যেখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলা হবে।
তথ্য সূত্রঃ
১. পাকদণ্ডী
– লীলা মজুমদার (প্রমদারঞ্জনের মেয়ে )
আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড.
কলকাতা -৯
২. ফিরে ফিরে চাই
- অজয় বসু
আজকাল পাবলিশার্স(প্রাঃ) লিমিটেড,
কলকাতা-৭০০ ০০৯.
৩. প্রথম আলো (মুনতাসীর মামুন, ইফতেখার মাহমুদের লেখা বই ও প্রতিবেদন এবং ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব)
৪. সংসদ বাঙালী চরিতাভিধান
শিশু সাহিত্য সংসদ প্রাইভেট লিমিটেড,
কলিকাতা- ৭০০ ০০৯
৫. কলিকাতা দর্পণ
- রাধারমণ মিত্র
সুবর্ণ রেখা, শ্রেীদামোদর প্রেস,
কলকাতা-৯
Image may contain: one or more people and baseball
Like
|